loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • নারী এশিয়া কাপে মালয়েশিয়াকে হারিয়ে সেমির পথে টাইগ্রেসরা

  • কয়েকদিনের মধ্যে দেশের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

  • সিদ্ধান্ত পরিবর্তন, চলছে না ট্রেন

  • সংগীতশিল্পী শাফিন আহমেদ আর নেই

  • ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সার্ভিস পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হবে

এশিয়া কাপে ভারতের বিপক্ষে টাইগারদের দারুণ জয়


এশিয়া কাপে ভারতের বিপক্ষে টাইগারদের দারুণ জয়

এশিয়া কাপ ক্রিকেটের মঞ্চে রুদ্ধশ্বাস এক ম্যাচ হলো। বাংলাদেশ-ভারতের সুপার ফোরের শেষ ম্যাচটিতে জয়-পরাজয় কোনো দলের জন্যই জরুরি ছিল না। কারণ, ফাইনালিস্ট আগেই নির্ধারিত হয়ে গেছে। তবে, এশিয়া কাপের মঞ্চে ম্লান নৈপুণ্য দেখানো বাংলাদেশ দলের জন্য একটা জয় ছিল খুবই প্রয়োজনীয়। ভারতকে ছয় রানে হারিয়ে সেই আরাধ্য জয়টাই শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) তুলে নিলো সাকিব আল হাসানের দল।

এদিন কলম্বোর আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে রান তাড়ায় নেমে অভিষিক্ত পেসার তানজিম হাসান সাকিবের তোপের মুখে পড়ে ভারত। ইনিংসের দ্বিতীয় বৈধ বলেই ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মাকে (০) এনামুলের তালুবন্দি করেন তানজিম। ফিরতি ওভারে এসে তিনে নামা তিলক ভার্মাকে (৫) বোল্ড করে দেন এই পেসার। ১৭ রানে দুই উইকেট হারানোর পরে অপর ওপেনার শুভমান গিল এবং লোকেশ রাহুল হাল ধরেন। এই দু’জনের ৫৭ রানের জুটি ভাঙে মেহেদি মিরাজের বলে লেকেশ রাহুল (১৯) আউট হওয়ায়। নতুন ব্যাটার ইশান কিশানকে (৫) লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন মিরাজ। রিভিউ নিয়ে বাঁচতে পারেননি ইশান। 

৩৩তম ওভারে নিজের প্রথম শিকার ধরেন সাকিব। ২৬ রান করে বোল্ড হয়ে যান সূর্যকুমার যাদব। ভাঙে ৪৫ রানের আরেকটি জুটি। মুস্তাফিজের বলে বোল্ড হয়ে যান রবীন্দ্র জাদেজা (৭)। কিন্তু একপ্রান্ত আগলে রাখা ওপেনার শুভমানের সেঞ্চুরি ঠেকানো যায়নি। ১১৭ বলে ক্যারিয়ারের পঞ্চম সেঞ্চুরি তুলে নেন এই তরুণ। আট চার পাঁচ ছক্কায় ১২১ রান করা সেই শুভমানকে থামান শেখ মেহেদি; ক্যাচ নেন হৃদয়। তবে অক্ষর প্যাটেল আর শার্দুল ঠাকুরের ২৭ বলে ৪০ রানের অষ্টম উইকেট জুটিতে জয়ের কাছাকাছি চলে যায় ভারত। শেষ ১২ বলে তাঁদের প্রয়োজন ছিল ১৭ রান।

৪৯তম ওভার করতে এসে প্রথম বলেই শার্দুল ঠাকুরকে (১১) তুলে নেন মুস্তাফিজ। স্কয়ার লেগে দুর্দান্ত ক্যাচ নেন মিরাজ। তৃতীয় বলে অক্ষরের বাউন্ডারি হজম করে পরের বলেই তাঁকে তানজিদের তালুবন্দি করেন মুস্তাফিজ। ৩৪ বলে ৩ চার ২ ছক্কায় ৪২ রান করেন অক্ষর। শেষ ওভারে প্রয়োজন ১২ রান। তানজিম সাকিবের প্রথম তিন বলে কোনো রান না এলেও চতুর্থ বলে বাউন্ডারি হাঁকান মোহাম্মদ শামি। শেষ বলে শামি রানআউট হয়ে গেলে ২৫৯ রানে অলআউট হয় ভারত। টাইগাররা পায় ছয় রানের রোমাঞ্চকর জয়।

এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে আট উইকেটে ২৬৫ রান করে বাংলাদেশ। দলীয় ১৫ রানের মধ্যেই দুই ওপেনার লিটন দাস (০) এবং তানজিদ তামিম (১৩) আউট হয়ে যান। শার্দুল ঠাকুরের শিকার হওয়ার আগে প্রথমবার টুর্নামেন্টে সুযোগ পাওয়া এনামুল হক বিজয় ১১ বলে চার রানের বেশি করতে পারেননি। দ্রুত তিন উইকেট পতনের পরে দলের হাল ধরেন অধিনায়ক সাকিব ও মেহেদি মিরাজ। ১৩ রান করে মিরাজ আউট হলে সাকিবের সঙ্গী হন তাওহীদ হৃদয়। দু’জনের জুটি একশ ছাড়াতেই ছন্দপতন। চার বছর ধরে ওয়ানডে সেঞ্চুরি অপেক্ষায় থাকা সাকিব শার্দুল ঠাকুরের বলে বোল্ড হয়ে যান। 

টাইগার অধিনায়কের ৮৫ বলে ৮০ রানের ইনিংসে ছিল ছয়টি চার এবং তিনটি ছক্কার মার। সাত নম্বরে নেমে শামীম পাটোয়ারী এক রান করে রবীন্দ্র জাদেজার বলে এলবিডাব্লিউ হয়ে যান। তাওহীদ হৃদীয় আউট হন ৮১ বলে ৫৪ রান করে। তাঁর ইনিংসে ছিল পাঁচ চার দুই ছক্কা। শেষদিকে নাসুম আহমেদ ৪৫ বলে ছয় চার এক ছক্কায় ৪৪ এবং শেখ মেহেদি ২৩ বলে তিন চারে অপরাজিত ২৯* রানের ইনিংস খেললে নির্ধারিত ৫০ ওভারে বাংলাদেশ দলের সংগ্রহ দাঁড়ায় আট উইকেটে ২৬৫ রান।

ভারতের শার্দুল ঠাকুর ৬৫ রানে তিন উইকেট শিকার করেছেন। মোহাম্মদ শামির সংগ্রহ ৩২ রানে দুই উইকেট।

Loading...