একুশে পদকপ্রাপ্ত নৃত্যশিল্পী জিনাত বরকতউল্লাহ মৃত্যুবরণ করেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। জিনাত বরকতউল্লাহ’র মেয়ে অভিনেত্রী বিজরী বরকতউল্লাহ গণমাধ্যমকে জানান, বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ধানমন্ডিস্থ নিজ বাসায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। জানা গেছে, জিনাত বরকতউল্লাহ দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। তাঁকে চলতি বছরের শুরুতে মস্তিস্কে রক্তক্ষরণ ও ফুসফুসে সংক্রমণ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।
জিনাত বরকতউল্লাহর জন্ম ১৯৫২ সালের ৩ অক্টোবর কুমিল্লায়। তিনি স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক আন্দোলনের ধারায় নৃত্য চর্চার প্রসারে তিনি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখেন। তিনি উপমহাদেশের শাস্ত্রীয় নৃত্যের তিন ধারা ভরতনাট্যম, কত্থক, মণিপুরি নৃত্যে তালিম নিলেও লোকনৃত্যেই নিজেকে সুপ্রতিষ্ঠিত করেন।
গুণী এই শিল্পী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের পারফর্মিং আর্টস একাডেমিতে যোগ দেন। পরবর্তী সময়ে শিল্পকলা একাডেমির সংগীত ও নৃত্যকলা বিভাগের অন্তর্ভুক্ত প্রোডাকশন বিভাগের পরিচালক হিসেবে যোগ দেন। তিনি দীর্ঘ ২৭ বছর সেখানে কর্মরত ছিলেন।
নৃত্যশিল্পে বিশেষ অবদানের জন্য জিনাত বরকতউল্লাহ ২০২২ সালে একুশে পদক লাভ করেন।
তিনি শুধু নৃত্য চর্চাই নয়, অভিনয়েও তার মেধার স্বাক্ষর রেখেছিলেন। ১৯৮০ সালে বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রচারিত ‘মারিয়া আমার মারিয়া’ নাটকের মাধ্যমে অভিনয় জীবন শুরু করেন তিনি। প্রায় ৮০টি
টেলিভিশন নাটকে অভিনয় করেছেন জিনাত বরকতউল্লাহ। তাঁর অভিনীত নাটকগুলোর মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য – ‘ঘরে বাইরে’,‘অস্থায়ী নিবাস’, ‘বড় বাড়ি’,‘কথা বলা ময়না’।