loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • নারী এশিয়া কাপে মালয়েশিয়াকে হারিয়ে সেমির পথে টাইগ্রেসরা

  • কয়েকদিনের মধ্যে দেশের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

  • সিদ্ধান্ত পরিবর্তন, চলছে না ট্রেন

  • সংগীতশিল্পী শাফিন আহমেদ আর নেই

  • ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সার্ভিস পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হবে

মার্টিনেজের চার গোলে ইন্টারের জয়, জিতেছে নাপোলিও


মার্টিনেজের চার গোলে ইন্টারের জয়, জিতেছে নাপোলিও

সিরি-আ লিগে ইন্টার মিলান শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) তলানির থেকে দ্বিতীয় স্থানে থাকা সালেরনিতানাকে ৪-০ গোলে বিধ্বস্ত করেছে। অ্যাওয়ে ম্যাচটিতে ইন্টারের হয়ে চারটি গোলই করেছেন বদলি হিসেবে মাঠে নামা আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার লাউতারো মার্টিনেজ। দিনের আরেক ম্যাচে এসি মিলান ২-০ গোলে লাৎসিওকে পরাজিত করে ইতালিয়ান লিগ টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে। এদিন বড় জয় পেয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন নাপোলিও।

সাসৌলোর বিপক্ষে সপ্তাহের মাঝামাঝিতে মৌসুমের প্রথম পরাজয়ের থেকে বেরিয়ে এসে মার্টিনেজের দ্বিতীয়ার্ধের দুর্দান্ত পারফরমেন্সে ইন্টারের জয় নিশ্চিত হয়। ৬২ মিনিটে মার্কোস থুরামের অসাধারণ একটি বল থেকে স্বাগতিক গোলরক্ষক গিলার্মো ওচোয়ার মাথার উপর দিয়ে বল জালে জড়িয়ে ডেডলক ভাঙেন মার্টিনেজ। সালেরনিতানা মাতেয়াজ লেগোভস্কির একটি গোল অফসাইডে বাতিল হয়ে যায়। 

নিকোলো বারেলার ক্রস থেকে মার্টিনেজ ব্যবধান দ্বিগুণ করেন। ৮৫ মিনিটে পেনাল্টি স্পট থেকে হ্যাট্রিক করেন মার্টিনেজ। থুরামের আদায় করা পেনাল্টি থেকে হ্যাট্রিক পূরণে মার্টিনেজকে খুব একটা বেগ পেতে হয়নি। কার্লোস অগাস্টোসের পাস থেকে ম্যাচের একেবারে শেষভাগে চতুর্থ গোলটি করেন মার্টিনেজ।

সিরি-আ লিগে এ-পর্যন্ত নয় গোল করে গোলদাতার তালিকায় শীর্ষে থাকা মার্টিনেজ বলেছেন, ‘আমি খুশি; কারণ, আমি দলকে জিততে সহায়তা করেছি। দিনের শেষে এটাই গুরুত্বপূর্ণ। গত বুধবারের ম্যাচে পরাজয়ের পরে আমাদের নিয়ে যে-সমালোচনা তৈরী হয়েছিল, তাতে এই জয়টা জরুরি ছিল। আমি শিরোপা কিংবা সর্বোচ্চ গোলদাতার বিষয় নিয়ে ভাবছি না, আমি শুধুমাত্র দলের জয়ে ভূমিকা রাখতে চাই।’

এই জয়ে ইন্টার সাত ম্যাচ খেলে মিলানের সাথে সমান ১৮ পয়েন্ট নিয়ে গোল ব্যবধানে এগিয়ে শীর্ষে রয়েছে।

দিনের শুরুতে ধুকতে থাকা লাৎসিওকে ২-০ ব্যবধানে পরাজিত করে অল্প সময়ের জন্য পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থান দখল করেছিল মিলান। সান সিরোতে ক্রিস্টিয়ান পুলিসিচ ৬০ মিনিটে রাফায়েল লিয়াওয়ের দারুণ পাস থেকে প্রথম গোল করেন। চেল্সি থেকে আসার পরে এটা পুলিসিচের তৃতীয় গোল। ৮৮ মিনিটে মিলানের তিন পয়েন্ট নিশ্চিতের গোলেও যোগানদাতা ছিলেন লিয়াও। পর্তুগিজ এই উইঙ্গারের কাট-ব্যাকে নোয়া ওকাফোর স্বাগতিক ক্লাবের ব্যবধান দ্বিগুণের পাশাপাশি জয় নিশ্চিত করেন।

ম্যাচ শেষে পুলিসিচ বলেছেন, ‘আমি মনে করি, আজ আমরা অনেক বেশি চাপে ছিলাম; কিন্তু সময়ের সাথে সাথে সেটা কাটিয়ে উঠতে পেরেছি। প্রথম গোলের পরে আমরা সত্যিকার অর্থেই লাৎসিওর উপর আধিপত্য দেখিয়েছি। আমি এখানে অনেকদিন পরে খেলতে এসেছি; এই দলে এখন বেশ কিছু নতুন খেলোয়াড় এসেছে। মৌসুমে আমাদের শুরুটা ভালো হয়েছে। এখানকার সময়টা আমি দারুণভাবে উপভোগ করছি।’

ফরাসি গোলরক্ষক মাইক মেইগনান উরুর ইনজুরির কারণে গত দুই ম্যাচ অনুপস্থিত থাকার পরে আবারো মিলানে ফিরেছেন। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে নিউক্যাসল ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে গোলশূন্য ড্রয়ের ম্যাচটিতে মেইগনান আঘাত পেয়েছিলেন।

এছাড়া, নাপোলির তারকা স্ট্রাইকার ভিক্টর ওশিমেহ বদলি বেঞ্চ থেকে উঠে এসে লেচ্চের বিপক্ষে দলকে চার দিনের ব্যবধানে দ্বিতীয় জয় উপহার দিয়েছেন। এই জয়ে ইতালিয়ান চ্যাম্পিয়ন দলটি লিগ টেবিলের তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে। টানা তিন ম্যাচে জয়বিহীন থাকার পরে রুডি গার্সিয়ার দল রিয়াল মাদ্রিদের বিরুদ্ধে আগামী সপ্তাহে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের হোম ম্যাচের আগে কিছুটা হলেও আত্মবিশ্বাস সঞ্চয় করতে পেরেছে।

এদিন ষোড়শ মিনিটে সেন্টার-ব্যাক লিও ওস্টিগার্ড নাপোলিকে এগিয়ে দেন। ক্লাবের হয়ে এটি ওস্টিগার্ডের প্রথম গোল। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে নাইজেরিয়ান স্ট্রাইকার ওশিমেহ নামার আগ পর্যন্ত নাপোলি ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের করতে পারেনি। ৫১ মিসিটে কাভিচা কাভারাটসখেলিয়ার ক্রসে ওশিমেহ ব্যবধান দ্বিগুণ করেন। এরপর ম্যাচের শেষভাগে জিয়ানলুকা গায়েটানো ও মাত্তেও পলিটানো আরো দুই গোল করলে নাপোলির বড় জয় নিশ্চিত হয়।

স্পট কিক থেকে পলিটানো দলের হয়ে চতুর্থ গোলটি করেছে। টানা দ্বিতীয় ম্যাচে ওশিমেহ তাঁর পেনাল্টি শুটের দায়িত্ব পলিটানোর উপর দিয়ে দিয়েছেন।

বড় এই জয়ের পরেও সাত ম্যাচ শেষে নাপোলি ইন্টার ও এসি মিলানের চেয়ে চার পয়েন্ট পিছিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে। ১১ পয়েন্ট সংগ্রহ করে লেচ্চের অবস্থান সপ্তম।

গার্সিয়া বলেছেন, ‘এদিন শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত প্রত্যেকেই দারুণ খেলেছে। আমরা প্রথম ১৫ মিনিটেই গোল আদায় করে নিতে চেয়েছিলাম। ওস্টিগার্ডের উপর আমি খুব খুশি। কারণ, সে এমন একজন খেলোয়াড় – যে প্রতিনিয়ত দলের জন্য নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছে। জেনোয়ার সাথে ২-২ গোলের ড্রয়ের ম্যাচটি থেকে আমরা অনেক শিক্ষা নিয়েছি। আজ সব খেলোয়াড়রই তাঁদের শতভাগ দেওয়ার চেষ্টা করেছে এবং তাঁরা সফলও হয়েছে। এখন এই ধারাবাহিকতা বজায় রাখাই মূল চ্যালেঞ্জ।’

Loading...