loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • ঢাকাসহ পাঁচ জেলায় সোমবার মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্ধ; প্রাথমিক খোলা

  • আবারও ৭২ ঘণ্টার তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি

  • এসএসসি’র ফলাফল প্রকাশের সম্ভাবনা ১১ মে’র মধ্যে

  • কৃষিখাতের ১১ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান পেলো স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড-চ্যানেল আই অ্যাগ্রো অ্যাওয়ার্ড

  • স্পেস এক্সপ্লোরেশন অলিম্পিয়াডের গ্রান্ড ফিনালে অনুষ্ঠিত

ঢাকায় তিনদিনব্যাপী এসএটিআরসি’র ২৪তম সম্মেলন


ঢাকায় তিনদিনব্যাপী এসএটিআরসি’র ২৪তম সম্মেলন

দক্ষিণ এশীয় টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক কাউন্সিল (এসএটিআরসি)-এর তিনদিনব্যাপী ২৪তম সম্মেলন মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) ঢাকায় শুরু হয়েছে। ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলংকা, নেপাল, ভুটান, আফগানিস্তান, মালদ্বীপ ও ইরানসহ দক্ষিণ এশিয়ার নয়টি দেশের টেলিযোগাযোগ ও তথ্য যোগাযোগ-প্রযুক্তিবিষয়ক নিয়ন্ত্রক সংস্থার প্রধান, টেলিকম অপারেটর, সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার কর্মকর্তা, টেলিকম ও তথ্যপ্রযুক্তি সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের প্রায় ১০০ জন প্রতিনিধি এতে অংশগ্রহণ করবেন। ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের তত্ত্বাবধায়নে বিটিআরসি ও এশিয়া-প্যাসিফিক টেলিকমিউনিটি (এপিটি) এই সম্মেলনের উদ্বোধন করেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার, সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান, বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার এবং এপিটি সেক্রেটারি জেনারেল মাসানোরি কোন্ডো অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন। খবর – স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের।

স্পিকার শিরিন শারমিন টেলিযোগাযোগ ও তথ্যযোগাযোগ প্রযুক্তিতে দক্ষিণ এশিয়াকে এমার্জিং টাইগার আখ্যায়িত করে বলেন, এই অঞ্চলের নয়টি দেশের পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে এই খাতকে আরও বেশি এগিয়ে নেওয়ার জন্য এসএটিআরসি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ খাতের রূপান্তর দেশের আর্থ সামাজিক উন্নয়নে বিস্ময়কর অবদান রাখছে উল্লেখ করে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত সময়ে বাংলাদেশকে কম্পিউটার যুগে রূপান্তর করেন। ২০০৮ সালে ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির সফল বাস্তবায়নের পরে স্মার্ট বাংলাদেশের অভিযাত্রা আমরা শুরু করেছি।

তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিশনারি নেতৃত্বে ইতোমধ্যে দেশের শতকরা ৯৮ শতাংশ এলাকায় মোবাইলের ফোরজি প্রযুক্তি পেঁছে গেছে। প্রতি ইউনিয়নে পৌঁছেছে ফাইবার অপটিক ফাইবার। ডিজিটাল সংযুক্তির শক্তিশালী ভিত্তির উপর দাঁড়িয়ে ২০৪১ সালে গড়ে উঠবে স্মার্ট বাংলাদেশ। মন্ত্রী ডিজিটাল সংযুক্তি স্মার্ট বাংলাদেশের মূল ভিত্তি উল্লেখ করে স্পিকার বলেন, আমরা প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী  আগামী ২০৪১’ সালে বাংলাদেশকে উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে বদ্ধপরিকর।

তিনি বলেন, ২০০৮ সালে দেশে টেলিডেনসিটি ছিলো শতকরা ৩০ ভাগ, বর্তমানে টেলিডেনসিটি শতকরা ১০৫ ভাগে উন্নীত হয়েছে। সে-সময় দেশে সাড়ে সাত জিবিপিএস ইন্টারনেট ব্যবহৃত হতো এবং মাত্র আট লাখ মানুষ তা ব্যবহার করতো। বর্তমানে প্রায় তেরো কোটি মানুষ প্রায় পাঁচ হাজার জিবিপিএস ইন্টারনেট ব্যবহার করছে। ২০৩০ সালে দেশে ৩০ হাজার জিবিপিএস ইন্টারনেট ব্যবহৃত হবে। ২০০৮ সালে প্রতি এমবিপিএস ইন্টারনেটের দাম ছিল ২৭ হাজার টাকা। বর্তমানে সেটি কমিয়ে ‘এক দেশ এক রেটে’ কর্মসূচির আওতায় মাত্র ৬০ টাকায় নির্ধারণ করা হয়েছে।

Loading...