loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • ঢাকাসহ পাঁচ জেলায় সোমবার মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্ধ; প্রাথমিক খোলা

  • আবারও ৭২ ঘণ্টার তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি

  • এসএসসি’র ফলাফল প্রকাশের সম্ভাবনা ১১ মে’র মধ্যে

  • কৃষিখাতের ১১ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান পেলো স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড-চ্যানেল আই অ্যাগ্রো অ্যাওয়ার্ড

  • স্পেস এক্সপ্লোরেশন অলিম্পিয়াডের গ্রান্ড ফিনালে অনুষ্ঠিত

তরুণ প্রজন্মকে রক্ষায় ই-সিগারেট নিষিদ্ধ করতে হ: ই-ক্যাব


তরুণ প্রজন্মকে রক্ষায় ই-সিগারেট নিষিদ্ধ করতে হ: ই-ক্যাব

তরুণ প্রজন্মকে নেশায় আসক্ত করতে হিট-নট-বার্ন, বা ই-সিগারেট একটি নতুন অস্ত্র, যা এ-প্রজন্মের জন্য মারাত্মক হুমকি। তাই দেশের তরুণ সমাজকে রক্ষায় এখনই ই-সিগারেট বন্ধ করা জরুরি বলে মতামত দিয়েছেন ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ (ই-ক্যাব)-এর সদস্যরা। সিগারেট কোম্পানিগুলো তরুণদের মাঝে ই-সিগারেট উৎসাহিত করার লক্ষ্যে বিভিন্ন কৌশলে প্রচারণা চালাচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন তাঁরা। ঢাকা আহছানিয়া মিশন, স্বাস্থ্য সেক্টর কর্তৃক আয়োজিত এক আলোচনা সভায় শনিবার (১৮ নভেম্বর) বক্তারা এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন, ঢাকা আহছানিয়া মিশন, তামাক নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের সমন্বয়কারী শরিফুল ইসলাম। তিনি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উদ্বৃতি দিয়ে বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ই-সিগারেটসহ সকল ইমার্জিং টোব্যাকো প্রোডাক্টকে স্বাস্থের জন্য মারাত্নক ক্ষতির পণ্য হিসেবে চিহ্নিত করেছে। এমনকি, ই-সিগারেটকে তামাক পণ্য ব্যবহারের গেটওয়ে হিসেবেও উল্লেখ করা হয়েছে।

ই-ক্যাব-এর সহ-সভাপতি সাহাব উদ্দিন শিপন বলেন, তামাক কোম্পানি সবসময়ই বিভিন্ন কূট-কৌশল অবলম্বন করে দেশের জনম্বাস্থ্যকে ক্ষতির মুখে ফেলে। বর্তমানে তাঁরা দেশে ই-সিগারেট আমদানি ও প্রচার প্রচারণা শুরু করেছে এবং তরুণদের এই নেশায় আসক্ত হওয়ার প্রেরণা দিচ্ছে। ই-সিগারেট বন্ধে কঠোর উদ্যোগ নিতে হবে। এ-সংক্রান্ত আইন পাস করতে হবে।

ক্যাব-এর নির্বাহী পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম শোভন বলেন, ই-সিগারেট ধূমপান ছাড়ার কোনো উপায় হতে পারে না; বরং এটি নতুন আরেকটি নেশায় আসক্ত হওয়ার শুরু। ই-সিগারেট স্পষ্টভাবেই একটি ড্রাগ, যা দেশে খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। তাই ই-সিগারেট আমদানি বন্ধ করতে হবে।

অনুষ্ঠানে ব্যারিস্টার মাহফুজুর রহমান মিলন তাঁর বক্তব্যে বলেন, তামাক কোম্পানিগুলো তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন অমান্য করে ইউটিউব, ফেইসবুক, ওয়েবসাইট ও অন্যান্য সামাজিক মাধ্যমে ই-সিগারেটের চটকদার বিজ্ঞাপন প্রচার করে তরুণদের আকৃষ্ট করার চেষ্টা করছে। এছাড়াও যাঁরা ধূমপান ছাড়তে চায়, তাঁদেরকে প্রচলিত সিগারেটের বদলে ই-সিগারেট ব্যবহারে উৎসাহিত করছে। ই-সিগারেটের প্রসার বন্ধে এখনই কঠোর আইন প্রণয়ন ও প্রচলিত আইনের কঠোর প্রয়োগ জরুরি।

নতুন প্রজন্ম ই-সিগারেটে আসক্ত হয়ে পড়ার আগেই এর প্রসার রুখতে হবে। এছাড়া, ই-সিগারেট কিভাবে আমদানি হচ্ছে – তা নির্ণয় করে এখনই আমদানি বন্ধের উদ্যোগ নিতে হবে বলে জানান ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডস, বাংলাদেশ-এর গ্রান্টস ম্যানেজার আব্দুস সালাম মিয়া।

ই-ক্যাব-এর সদস্য হুরায়রা শিশিরের উপস্থাপনায় সেমিনারে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা আহছানিয়া মিশন, স্বাস্থ্য সেক্টরের উপ-পরিচালক মোখেলেসুর রহমান, পুষ্টিবিদ ইসরাত জাহানসহ অনেকে।

– সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

Loading...