বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, গণতন্ত্র ত্রুটিমুক্ত করতে আওয়ামী লীগ কাজ করছে। যাঁরা নির্বাচন বানচাল করতে হরতাল-অবরোধ করছে, তাঁরা গণতান্ত্রিক শক্তি নয়। সেতুমন্ত্রী মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর ৬০তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তাঁর সমাধিতে শ্রদ্ধা জানানো শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ-কথা বলেন। খবর – স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের।
তিনি বলেন, ‘একেবারেই ত্রুটিমুক্ত বা পারফেক্ট ডেমোক্রেসি পৃথিবীর কোথাও রয়েছে বলে আমাদের জানা নেই। আমরা মনে করি, গণতন্ত্রের জন্য এমন একটা স্বাধীন অবস্থা আমরা তৈরি করতে পেরেছি, শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত প্রচেষ্টায়।’
আগামী ১০ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের সমাবেশ হচ্ছে না জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আগামী ১০ ডিসেম্বর মানবাধিকার দিবস। এই মানবাধিকার দিবসে আমরা বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে একটি বড় সমাবেশ করব, এরকম একটা কর্মসূচি আমাদের ছিল। আমরা নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদন করেছিলাম; সেই আবেদন তারা গ্রহণ করেননি। বাইরে সমাবেশের নামের শোডাউন হবে – সেই আশঙ্কা রয়েছে। যে-কারণে দশ তারিখে আমাদের মানবাধিকার দিবসের আনুষ্ঠানিকতা ভেতরেই পালন করবো। বাইরে যে-সমাবেশ করার কথা, সেটি করছি না। নির্বাচনী বিধির বাইরে আমরা যেতে চাই না।
হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি বলেন, গণতন্ত্রের মানসপুত্র হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী আমাদের গণতন্ত্রের রাজপথের এক অকুতোভয় বীর। গণতন্ত্রই ছিল তাঁর সারাজীবনের ব্রত। গণতন্ত্রের জন্য তিনি লড়াই করেছেন। আন্দোলন করেছেন। পাকিস্তানিদের দ্বারা বারবার নির্বাচিত হয়েছেন, জেলে গেছেন, নিগৃহীত হয়েছেন।
এ-সময় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন্নাহার চাপা, কৃষি ও সমবায়বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, উপ-প্রচার ও প্রকাশনাবিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ আব্দুল আউয়াল শামীম, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।