ছোট বয়স থেকেই হাতে-কলমে বিজ্ঞান চর্চা শিক্ষাক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে; সেই সাথে কৌতূহল, ক্রিটিক্যাল চিন্তাভাবনা, পর্যবেক্ষণ এবং প্রয়োজনীয় দক্ষতা বৃদ্ধি করে। তাঁরা শুধুমাত্র মজা করার জন্যই শেখে না বরং আত্মবিশ্বাস, শিক্ষার প্রতি একটি ইতিবাচক মনোভাব তৈরী করে, যা পরবর্তী সময়ে তাঁদের একাডেমিক সাফল্যের জন্য একটি শক্তিশালী ভিত্তি তৈরি করে। সম্প্রতি বাংলাদেশ ইনোভেশন ফোরাম এবং স্পেস ইনোভেশন ক্যাম্প-এর উদ্যোগে ৪-১৪ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হলো – ‘হাতে-কলমে বিজ্ঞান শিক্ষা কেন গুরুত্বপূর্ণ’ শীর্ষক ইন্টারএকটিভ সেশন। সারাদেশ থেকে প্রায় ২০০ জন ছাত্র-ছাত্রী আয়োজনটিতে অংশগ্রহণ করেছে।
সেশনটিতে ইনস্ট্রাক্টর হিসেবে ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোবটিক্স অ্যান্ড মেকাট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের অধ্যাপক ড. লাফিফা জামাল। তিনি বলেন, “সায়েন্স, টেকনোলজি, ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ম্যাথেম্যাটিক্স এডুকেশনের মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীরা হাতে-কলমে যে-প্রশিক্ষণগুলো নেয়, সেটার মাধ্যমে তাঁদের টিম ওয়ার্ক, প্রবলেম সল্ভিং স্কিল, জটিল সমস্যা সমাধানের মনোভাব ও দক্ষতা তৈরি হয়। বিজ্ঞান সম্পর্কে তাঁদের জানাশোনা তৈরি হয় এবং শিক্ষার্থীরা আবিষ্কারক ও উদ্ভাবক হয়ে উঠতে পারে।”
সেশনটি পরিচালনা করেন বাংলাদেশ ইনোভেশন ফোরামের প্রেসিডেন্ট আরিফুল হাসান অপু। তিনি বলেন, “শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিজ্ঞানের প্রতি আগ্রহ তৈরি করা এবং তাঁদের মধ্যে বিজ্ঞানমনস্কতা তৈরি করার জন্য হাতে-কলমে বিজ্ঞান চর্চা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে। আমি মনে করি, শিশুদের জন্য বিজ্ঞান চর্চার মধ্যে থাকবে নানাধরণের কৌতূহল জাগানো প্রশ্ন, সেগুলোর উত্তর খোঁজার চেষ্টা, তথ্য সংগ্রহ, পরীক্ষা চালানো, রেজাল্ট যা আসবে – সেটা নিয়ে নিজের একটি মতামত দেওয়া ইত্যাদি। শিশুদের মধ্যে বিজ্ঞানচর্চার মূল লক্ষ্য – শিশুদের মধ্যে পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা বাড়ানো, লজিক এবং যুক্তি দিয়ে চিন্তা করা, পরীক্ষার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা, এসব বাড়ানো।
উল্লেখ্য, শিশু-কিশোরদের মহাকাশ বিজ্ঞান-সম্পর্কিত বিষয়ে আগ্রহী করে গড়ে তুলতে বাংলাদেশ ইনোভেশন ফোরাম ও স্পেস ইনোভেশন ক্যাম্প-এর যৌথ উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে “স্পেস এক্সপ্লোরেশন অলিম্পিয়াড” পাওয়ার্ড বাই এসিআই পিউর সল্ট।
অলিম্পিয়াডে অংশগ্রহণের জন্য রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করতে হবে এই ঠিকানায়: http://www.spaceolympiadbd.com
– সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
