টেনিসের ‘বিগ থ্রি’র বাইরে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের পুরুষ এককটা সর্বশেষ জিতেছিলেন স্ট্যান ভাভরিঙ্কা; সেটিও ১০ বছর আগের ঘটনা। এরপর ফেদেরার-জোকোভিচ-নাদালরা টানা নয়টি অস্ট্রেলিয়ান ওপেন ভাগাভাগি করার পরে এলো নতুন এক নাম – ইয়ানিক সিনার। চতুর্থ বাছাই হিসেবে এবারের অস্ট্রেলিয়ান ওপেন খেলা সিনার বিস্মৃতি থেকে উঠিয়ে এনেছেন আদ্রিয়ানো পানাত্তার নামও। কেননা, সিনারের আগে সর্বশেষ ইতালিয়ান হিসেবে পুরুষদের গ্র্যান্ড স্লাম জয়ের কীর্তি যে পানাত্তারই! তিনি ১৯৭৬ সালে ফ্রেঞ্চ ওপেনে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন।
ডানিল মেদভেদেভকে আগেও দুইবার অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের ফাইনাল খেলে দুবারই রানার্সআপ ট্রফি নিয়ে বাড়ি ফিরতে হয়েছিল। তিনি ২০২১ সালের ফাইনালে নোভাক জোকোভিচের কাছে পরাজয়ের পরের বছরই টেনিসের আরেক কিংবদন্তি রাফায়েল নাদালের কাছে ফাইনালে হেরে যান। এবার সেমিফাইনালে আলেক্সান্ডার স্পেরেভকে হারানোর পরে মেদভেদেভ বলেছিলেন, ‘হয়তো তৃতীয়বারে সৌভাগ্যবান হবো আমি।’ কিন্তু এবারও সৌভাগ্য ধরা দিলো না এই রুশ তারকাকে।
তৃতীয় বাছাই হিসেবে এবারের অস্ট্রেলিয়ান ওপেন খেলা মেদভেদেভ রোববার (২৮ জানুয়ারি) প্রথম সেটে দুবার সিনারের সার্ভিস ব্রেক করেন। নিজের সার্ভিসে প্রতিটি গেমেই জয় পাওয়া রুশ তারকা প্রথম সেটটি জিততে সময় নেন মাত্র ৩৬ মিনিট। দ্বিতীয় সেট শেষ হতে একটু বেশি সময়ই লেগেছিল। প্রথম সেটের মতো ৬-৩ গেমে জিতলেও এবার প্রথম গ্র্যান্ড স্লাম ফাইনাল খেলা সিনারকে হারাতে ৪৯ মিনিট লাগে মেদভেদেভের। এই সেটে সিনারের দুটি সার্ভিস ব্রেক করা মেদভেদেভ এগিয়ে গিয়েছিলেন ৫-১ গেমে। এরপর সিনার মেদভেদেভের একটি সার্ভিসই শুধু ব্রেক করে সময় একটু বাড়িয়েছেন।
সিনার ঘুরে দাঁড়ান তৃতীয় সেটে। তৃতীয় সেটে লড়াই হচ্ছিল সমান-সমান। ৪-৪ গেমে সমতায় নিয়ে গিয়েছিলেন মেদভেদেভ-সিনার। নিজের সার্ভে নবম গেমটা জিতে এগিয়ে যাওয়া সিনার পরের গেমে মেদভেদেভের সার্ভিস ব্রেক করে ম্যাচটাকে চতুর্থ সেটে নিয়ে যান। চতুর্থ সেটেও একই গল্প। সিনার একদম শেষ গেমে মেদভেদেভের সার্ভিস ব্রেক করে সেটটি জিতে নেন। এই সেটের স্থায়িত্ব ছিল ৫৬ মিনিট।
মেদভেদেভের দিকে যে-আরেকটি দুঃস্বপ্ন ধেয়ে আসছে – সেটি প্রায় নিশ্চিত হয়ে যায় শেষ সেটের ষষ্ঠ গেমে। নিজের সার্ভিসের ওই গেমে তিন-তিনটি আনফোর্সড এরর করে বসেন মেদভেদেভ। অন্যদিকে, একটি ব্যাকহ্যান্ড ও একটি ফোরহ্যান্ড উইনার মেরে গেমটি ৪০-১৫ পয়েন্ট জিতে ৪-২ গেমে এগিয়ে যান সিনার।
তিন গেম পরে আরেকটি ফোরহ্যান্ড উইনার মেরেই কোর্টে লুটিয়ে পড়েন সিনার। কারণ, ওই উইনারেই যে নিশ্চিত হয় তাঁর প্রথম গ্র্যান্ড স্লাম ট্রফি স্পর্শ করা!