সংক্ষিপ্ত স্কোর
রংপুর রাইডার্স: ১৫০-১০, ১৯.৫ ওভার (নিশাম ৬৯*, সাকিব ২৪; মুশফিক ৩-১৮, রাসেল ৩-২০)
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স: ১৫১-৪, ১৭.৪ ওভার (রাসেল ৪৩*, লিটন ৪৩, অঙ্কন ৩৯; সাকিব ৩-২০)
ফলাফল: কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ছয় উইকেটে জয়ী
ম্যাচ-সেরা: আন্দ্রে রাসেল (কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স)
ওয়েস্ট ইন্ডিজের আন্দ্রে রাসেলের ১২ বলে অপরাজিত ৪৩ রানের ঝড়ো ইনিংস এবং ২০ রানে তিন উইকেটের সুবাদে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ৪০তম ম্যাচে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ছয় উইকেটে সাকিব আল হাসানের রংপুর রাইডার্সকে পরাজিত করেছে। এই জয়ে কুমিল্লা ১১ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে থেকে রংপুরের সাথে প্রথম কোয়ালিফাইয়ার-এ খেলা নিশ্চিত করলো। পক্ষান্তরে, রংপুর লিগ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে হেরেও ১২ খেলায় ১৮ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষস্থানেই রইলো।
দুই দলেরই প্লে-অফ পর্বে উত্তরণ আগেই নিশ্চিত হয়েছিল। তবে, শীর্ষ দুইয়ে থাকতে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের জন্য এই ম্যাচে জয়টা ছিল গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমান চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ছয় উইকেটে রংপুর রাইডার্সকে হারিয়েই চট্টগ্রাম পর্বের ইতি টানলো।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) ১৫১ রানের লক্ষ্যে কুমিল্লা ভালো শুরু সূচনা করে লিটন দাস ও সুনিল নারিনের ব্যাটিংয়ে। নারিন ১৫ রানে আউট হলেও লিটন ৪৩ রান করেছেন। দু’জনেই ফেরেন সাকিব আল হাসানের বলে। লিটনের আগে মাঝে সাকিব ফেরান তাওহিদ হৃদয়কেও। তবে, মাহিদুল ইসলাম অংকনের ৩৯ ও শেষ দিকে আন্দ্রে রাসেলের ৪৩ রানের ঝড়ো ইনিংসে সহজেই জয় পেয়ে যায় কুমিল্লা।
রাসেল ১২ বলে সমান চারটি করে চার-ছক্কায় ৪৩ রানে অপরাজিত ছিলেন।
এদিন আগে ব্যাট করে রংপুরের ব্যাটাররা কুমিল্লার বোলারদের দাপটে সুবিধা করতে পারেননি। দলীয় শত রানের আগেই ড্রেসিংরুমে ফেরেন সাতজন ব্যাটার। দুই ওপেনার ব্রেন্ডন কিং-রনি তালুকদারকে ফেরান তানভীর ইসলাম ও ম্যাথু ফোর্ড। এরপর সাকিব আল হাসানের সঙ্গে জুটি বড় করতে পারেননি শেখ মেহেদী হাসানও। মেহেদীকেও ফিরিয়েছেন ফোর্ড। নুরুল হাসান সোহানকে শিকার করেছেন আরেক ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডার রাসেল।
সাকিবের সঙ্গে জিমি নিশামের জুটিটা যখন বড় বলে মনে হচ্ছিল, তখন রংপুরকে হতাশ করেন মুশফিক হাসান। এই পেসারের বলে সুনিল নারিনের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাকিব ফেরেন ২৪ রান করে। তাঁর ১৯ বলের ইনিংসটিতে ছিল তিনটি চার। রংপুর এখান থেকে এক পর্যায়ে ১০৭ রানে নয় উইকেট হারায়।
তবে, জেমস নিশাম শেষ উইকেটে ইমরান তাহিরকে নিয়ে কুমিল্লার বোলারদের ভালোই ভুগিয়েছেন। এই দুইজন যোগ করেন ৪৩ রান। অবশ্য, তাহিরের ব্যাট থেকে এসেছে মাত্র পাঁচ রান। ছয়ে নামা নিশাম অপরাজিত থেকে যান ৬৯ রানে। এই কিউই অলরাউন্ডারের ৪২ বলের ইনিংসে নয়টি চারের সঙ্গে দুটি ছক্কা রয়েছে।
কুমিল্লার হয়ে তিনটি করে উইকেট শিকার করেছেন রাসেল ও মুশফিক।