সংগীতশিল্পী পঙ্কজ উদাস সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) মুম্বাইয়ের একটি বেসরকারি হাসপাতালে বেলা ১১টা নাগাদ ইহলোকের সব সম্পর্ক ছিন্ন করে অনন্তলোকে পাড়ি দিয়েছেন। ৭২ বছর বয়সী এই শিল্পীর মৃত্যুর খবর তাঁর কন্যা নায়াব উদাস ইনস্টাগ্রামে এক পোস্টের মাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন। নায়াব আরেক পোস্টের মাধ্যমে এই জনপ্রিয় গজলশিল্পীর শেষকৃত্য-সংক্রান্ত খবর বিস্তারিত জানিয়েছেন। তিনি এই পোস্টে জানিয়েছেন, মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) মুম্বাইয়ে পঙ্কজজির শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে। বেলা তিনটা থেকে বিকেল পাঁচটা তাঁর শেষকৃত্য হবে বলে জানানো হয়েছে।
পঙ্কজ উদাসের জন্ম রাজকোটের কাছে অবস্থিত চারখাদি নামের একটি ছোট্ট শহরে ১৯৫১ সালের ১৭ মে। ছেলেবেলা থেকেই সংগীতের পরিবেশে বড় হয়ে ওঠা তাঁর। তিনি সংগীত-জগতে যাত্রা শুরু করেন ১৯৮০ সালে ‘আহাত’ শিরোনামের গজল অ্যালবাম প্রকাশের মাধ্যমে। অল্প কিছুদিনের মধ্যেই তিনি বলিউডের সংগীতজগতে একটি উল্লেখযোগ্য নাম হয়ে ওঠেন। সঞ্জয় দত্ত অভিনীত ১৯৮৬ সালের মুক্তি পাওয়া ছবি ‘নাম’-এর ‘বড়ে দিনো কে বাদ/ হাম বে বসনে কো ইয়াদ...’ সংগীতপ্রেমী অগণিত শ্রোতাকে মুগ্ধ করেছে, এখনো এই গান জনপ্রিয়।
‘চান্দি জ্যায়সা রং’, ‘না কাজরে কি ধার’, ‘দিওয়ারো সে মিলকর রোনা’, ‘আহিস্তা’, ‘থোড়ি থোড়ি প্যায়ার করো’, ‘নিকলো না বেনাকাব’ –পঙ্কজ উদাসের গাওয়া অসাধারণ সব গজল আজও শ্রোতাদের মনে দাগ কেটে যায়।
‘নশা’, ‘পয়মানা’, ‘হসরত’, ‘হামসফর’-এর মতো বেশ কয়েকটি বিখ্যাত অ্যালবামও রয়েছে তাঁর ঝুলিতে। বাংলা ‘যায়রে চলে যায়’, ‘তুমি খাঁচা হলে আমি হবো পাখি’, ‘কত স্বপ্ন দেখেছি, কত ছবি এঁকেছি’, ‘তোমার চোখেতে ধরা’ ইত্যাদি গান জনপ্রিয়তা পেয়েছে।
পঙ্কজ উদাসের মৃত্যুর খবরে বিভিন্ন মহলে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁর এক্স অ্যাকাউন্টে এক পোস্টের মাধ্যমে জনপ্রিয় এই সংগীতশিল্পীর প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেছেন।
বলিউড থেকে সংগীতজগতের তারকারা পঙ্কজ উদাসকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেষ শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন।