loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে এনসিপির মাসব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা

  • ‘আগামী নির্বাচন হবে দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে ভালো নির্বাচন

  • এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা সকাল সাড়ে আটটায় কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবে

  • বেনফিকাকে হারিয়ে ক্লাব বিশ্বকাপের কোয়ার্টারে চেল্সি

  • জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে মাসব্যাপী কর্মসূচি ঘোষিত

লোকসভা নির্বাচনে মোদির রাজনৈতিক জোটের জয়


লোকসভা নির্বাচনে মোদির রাজনৈতিক জোটের জয়

ভারতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির রাজনৈতিক জোট দেশটিতে কয়েক সপ্তাহ ধরে চলা লোকসভা নির্বাচনে জিতেছে। এর ফলে মোদি টানা তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন। অবশ্য তাঁর দল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) পার্লামেন্টে একক সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন পায়নি। গত এক দশকে প্রথমবারের মতো পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন না-পাওয়ায় বিরোধীরা একে “মোদির বিরুদ্ধে স্পষ্ট বার্তা” হিসেবে দেখছে।ভারতের নির্বাচন কমিশন ও গণমাধ্যমের মঙ্গলবারের (৪ জুন) তথ্যানুযায়ী, বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট ২৯৩ আসন পেয়েছে। ইন্ডিয়া জোট পেয়েছে ২০২টি আসন। বিজেপি একা সরকার গঠনের জন্য ২৭২টি আসন পেতে ব্যর্থ হয়েছে। দলটি পেয়েছে ২৪০ আসন। কংগ্রেস পেয়েছে ৯৯টি। অর্থাৎ, বিজেপিকে সরকার গড়তে হলে নির্ভর করতে হবে মূলত দুই শরিক – নীতিশ কুমারের জেডি-ইউ ও অন্ধ্র প্রদেশের চন্দ্রবাবু নাইডুর দল তেলেগু দেশম পার্টির (টিডিপি) ওপর। এই দুই দলের সম্মিলিত আসন ২৮টি।

নির্বাচনের ফলাফলের পর বিজেপি ও কংগ্রেস উভয় শিবিরেই আনন্দ উদযাপন করা হচ্ছে। রাজধানী নয়াদিল্লিতে উৎফুল্ল সমর্থকদের উদ্দেশ্যে মোদি বলেছেন, ভারত তাঁর দল ও জোটকে টানা তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠনের রায় দিয়েছে। তিনি আরও বলেছেন, আমাদের তৃতীয় মেয়াদ হবে অনেকগুলো বড় সিদ্ধান্তের একটি এবং দেশ উন্নয়নের নতুন অধ্যায় রচনা করবে; এটা মোদির গ্যারান্টি।

নরেন্দ্র মোদি ২০১৪ সালে ২৮২ আসন পেয়ে সরকার গড়েছিলেন। পরের নির্বাচনে তিনি পেয়েছিলেন ৩০৩ আসন। এবারে তা নেমে এসেছে ২৪০-এ। সরকার গড়ার যে-৩২টি আসন ঘাটতি রয়েছে, তার 

জন্যে মোদিকে নির্ভর করতে হবে জেডি-ইউ, টিডিপি, শিবসেনার শিন্ডে গোষ্ঠী, চিরাগ পাসোয়ানের এলজেপি ও উত্তর প্রদেশের জয়ন্ত চৌধুরীর আরএলডির মতো দলগুলোর ওপর।

নির্বাচন কমিশন থেকে পাওয়া তথ্যানুযায়ী, এবারের নির্বাচনে ৯৬ কোটি ৮০ লাখ ভোটার ভোট দিয়েছেন, যা শতকরা হিসাবে ৬৬.৩। এটি ২০১৯ সালের নির্বাচনের তুলনায় এক শতাংশ কম। বিশ্লেষকেরা এর কারণ হিসেবে উত্তর-ভারতজুড়ে বয়ে যাওয়া তাপপ্রবাহকে দায়ী করেছেন। ওই অঞ্চলে এবার ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।

(সংকলিত)

Loading...