loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • নারী এশিয়া কাপে মালয়েশিয়াকে হারিয়ে সেমির পথে টাইগ্রেসরা

  • কয়েকদিনের মধ্যে দেশের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

  • সিদ্ধান্ত পরিবর্তন, চলছে না ট্রেন

  • সংগীতশিল্পী শাফিন আহমেদ আর নেই

  • ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সার্ভিস পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হবে

মোদির শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী


মোদির শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোববার (৯ জুন) সন্ধ্যায় টানা তৃতীয় মেয়াদে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদির শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর মেয়ে সায়মা ওয়াজেদের সাথে রাষ্ট্রপতি ভবনে তৃতীয় বিদেশি নেতা হিসেবে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দেন। শ্রীলংকা, মালদ্বীপ, ভুটান, নেপাল, মরিশাস ও সিসিলির শীর্ষ নেতারাও মোদির শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দেন। অনুষ্ঠানে ৮,০০০ জনেরও বেশি বিশিষ্টজনের রেকর্ড উপস্থিতি দেখা গেছে। নেতৃবৃন্দ পরে রাষ্ট্রপতি ভবনে রাষ্ট্রপতি শ্রীমতি দ্রৌপদী মুর্মু প্রদত্ত ভোজসভায় যোগ দেবেন। শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে নয়াদিল্লিকে কঠোর বহু-স্তরীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থার আওতায় রাখা হয়েছে, যার লক্ষ্য – অনুষ্ঠান চলাকালীন রাষ্ট্রপতি ভবন এবং এর বাইরে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। খবর – স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের।

এর আগে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইট শনিবার সকাল ১১টা ৫১ মিনিটে (স্থানীয় সময়) ভিভিআইপি বিমানবন্দর পালাম এয়ার ফোর্স স্টেশনে অবতরণ করে। পালাম বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (সিপিভি ও ওআইএ) মুক্তেশ পরদেশি, বাংলাদেশে ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা এবং ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. মুস্তাফিজুর রহমান স্বাগত জানান। খবর – স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের।

নয়াদিল্লিতে অবস্থানকালে শেখ হাসিনা রাষ্ট্রপতি ভবনে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগদানের পরে নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে ওয়ান-টু-ওয়ান বৈঠক করবেন।

প্রধানমন্ত্রীর সোমবার (১০ জুন) বিকেলে ঢাকার উদ্দেশ্যে নয়াদিল্লি ত্যাগ করার কথা রয়েছে।

এর আগে বুধবার টেলিফোনে আলাপের সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁর সরকারের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানান। শেখ হাসিনা আমন্ত্রণ গ্রহণ করেন।

ভারতের সদ্য সমাপ্ত অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ ২৯৩টি আসন জিতেছে এবং বিরোধী ইন্ডিয়া ব্লক ২৩৪টি আসন পেয়েছে।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী মোদিকে অভিনন্দন জানানো প্রথম বিদেশি নেতাদের মধ্যে অন্যতম, যা দুই নেতার মধ্যে উষ্ণ ব্যক্তিগত সম্পর্ক প্রতিফলিত করে। শেখ হাসিনা লোকসভা নির্বাচনে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)’র নেতৃত্বাধীন জাতীয় গণতান্ত্রিক জোটের (এনডিএ) নিরঙ্কুশ বিজয়ে নরেন্দ্র মোদিকে অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, ‘বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রের নেতা হিসাবে, আপনি ভারতের জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতীক।’

ভারতের প্রেস ইনফরমেশন বিউরো জানায়, বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ’র জয়ের জন্য শেখ হাসিনা টেলিফোনে নরেন্দ্র মোদিকে অভিনন্দন জানান।

নির্বাচনে জয়ের পরে শেখ হাসিনার উষ্ণ শুভেচ্ছার জন্য মোদি তাঁকে ধন্যবাদ জানান। মোদি বলেন, ‘ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে – যা গত এক দশকে অভূতপূর্ব বৃদ্ধি পেয়েছে।’ এক্স-এ শেয়ার করা এক বার্তায় মোদি বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে জনগণকেন্দ্রিক অংশীদারিত্ব আরও জোরদার করতে তিনি একসঙ্গে কাজ করার অপেক্ষায় রয়েছেন।

দুই নেতা বিকশিত ভারত ২০৪৭ এবং স্মার্ট বাংলাদেশ ২০৪১ অর্জনের লক্ষ্যে নবায়নকৃত ম্যান্ডেটের আওতায় ঐতিহাসিক ও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ককে আরও গভীর করার জন্য একসাথে কাজ চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেন।

Loading...