সংক্ষিপ্ত স্কোর
ওমান: ২০ ওভারে ১৫০-৭ (আঠাবলে ৫৪, আইয়ান ৪১*; হুইল ১৯-১, শরীফ ৪০-২)
স্কটল্যান্ড: ১৩.১ ওভারে ১৫৩-৩ (ম্যাকমুলেন ৬১*, মান্সি ৪১, ১৫*; বিলাল ১২-১ মেহরান ১৬-১)
ফলাফল: স্কটল্যান্ড সাত উইকেটে জয়ী
ম্যাচ-সেরা: ব্রান্ডন ম্যাকমুলেন (স্কটল্যান্ড)
পুরুষদের গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের রানার্সআপ পাকিস্তান এবার বিপাকে পড়লো। যুক্তরাষ্ট্রের পরে ভারতের কাছেও পরাজিত হয়ে বাবর আজমদের সুপার এইটে ওঠা এখন অনিশ্চিত। একই দশায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডও। তাঁদের প্রতিবেশী দেশ স্কটল্যান্ড, জস বাটলারদের গ্রুপ পর্ব থেকে বাদ পড়ার আশংকা বাড়িয়ে তুলেছে। ইংল্যান্ডের সঙ্গে বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে এক পয়েন্ট পাওয়া স্কটল্যান্ড গত শুক্রবার নামিবিয়ার পরে রোববার (৯ জুন) হারিয়েছে ওমানকেও। তিন ম্যাচে পাঁচ পয়েন্ট নিয়ে স্কটল্যান্ড এখন ‘বি’ গ্রুপের শীর্ষে। অস্ট্রেলিয়া দুই ম্যাচের দু’টিতে জিতে চার পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে। সমান-সংখ্যক ম্যাচে ইংল্যান্ডের অর্জন মাত্র এক পয়েন্ট।
ইংল্যান্ড তাঁদের পরবর্তী দুই ম্যাচে জিতলেও পয়েন্টের দিক থেকে স্কটল্যান্ডকে পেছনে ফেলতে পারবে-না। আর স্কটল্যান্ড যদি অস্ট্রেলিয়ার কাছে পরাজিত হয়, তবুও নেট রান রেটে দলটির এগিয়ে থাকার সম্ভাবনাই রয়েছে। এই মুহূর্তে স্কটল্যান্ডের নেট রান রেট +২.১৬৪, অস্ট্রেলিয়ার +১.৮৭৫ আর ইংল্যান্ডের -১.৮০০।
স্কটল্যান্ডের এই বড়সড় রান রেটের কারণ – ওমানের বিপক্ষে বড় জয়। অ্যান্টিগায় ভিভ রিচার্ডস স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাট করে ওমান করেছে সাত উইকেটে ১৫০ রান। রান তাড়ায় স্কটল্যান্ড লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ৪১ বল আর সাত উইকেট হাতে রেখেই। ১১ ছক্কা আর ১৩ চারে করা এই রানের মধ্যে তিনে নামা ব্রান্ডন ম্যাকমুলেন খেলেছেন ৬১ রানের অপরাজিত ইনিংস। তাঁর ৩১ বলে খেলা ইনিংসে ছিল নয়টি চার ও দুইটি ছয়। ওপেনিংয়ে জর্জ মান্সি খেলেছেন দুই চার ও চার ছয়ে ২০ বলে ৪১ রানের ইনিংস।
স্কটল্যান্ড গ্রুপে নিজেদের শেষ ম্যাচ খেলবে আগামী রোববার অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। ইংল্যান্ডের বাকি দুই ম্যাচ শেষ হয়ে যাবে এর আগেই। বৃহস্পতিবার ওমানের বিপক্ষে; আর ১৫ জুন প্রতিপক্ষ নামিবিয়া। জস বাটলারের দল এই দুটি ম্যাচে বড় ব্যবধানের জিতকে পারলে নেট রান রেট বৃদ্ধি পারে।
যাহােক, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মাঠে নামার আগেই স্কটল্যান্ড জেনে যাবে – কেমন ব্যবধানে হারলেও সুপার এইট-এ উত্তরণ নিশ্চিত হবে তাঁদের।
