loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • সচিবদের দ্রুত সংস্কার কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়নের নির্দেশ দিলেন প্রধান উপদেষ্টা

  • বিএনপি চেয়ারপার্সনের সঙ্গে ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সাক্ষাৎ

  • পবিত্র ঈদ-এ-মিলাদুন্নবী (সা.) ১৬ সেপ্টেম্বর

  • প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ পাঁচ সদস্যের নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগ

  • এটুআই-এর অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প বাদ দিতে বললেন নাহিদ ইসলাম

আফগানিস্তানকে হারিয়ে ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকা


আফগানিস্তানকে হারিয়ে ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকা

সংক্ষিপ্ত স্কোর
আফগানিস্তান: ১১.৫ ওভারে ৫৬ (আজমতউল্লাহ ১০, গুলবদিন ৯; ইয়ানসেন ৩-১৬, শামসি ৩-৬, নর্কিয়া ২-৭)
দক্ষিণ আফ্রিকা: ৮.৫ ওভারে ৬০-১ (হেনড্রিক্স ২৯*, মার্করাম ২৩*, ডি কক ৫; ফারুকি ১-১১)
ফলাফল: দক্ষিণ আফ্রিকা নয় উইকেটে জয়ী
ম্যাচ-সেরা: মার্কো ইয়ানসেন (দক্ষিণ আফ্রিকা)

আফগানিস্তান দল ২০০৪ সালে এসিসি ট্রফিতে প্রথম অফিশিয়াল ম্যাচ খেলার মাত্র ২০ বছরের মধ্যে এবার আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠে সবাইকে চমকে দিয়েছিল। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্রায়ান লারা স্টেডিয়ামে বুধবারের (২৬ জুন) সেমিফাইনাল ম্যাচের আগে আফগানদের নিয়ে প্রশংসার তুবড়ি ছুটিয়েছিলেন অনেকে; কিন্তু দলটি হতাশ করলো।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকা-আফগানিস্তান ম্যাচটি শুরু হওয়ার আগে কেউ কেউ ভেবেছিলেন – একদিকে এর আগে কখনো বিশ্বকাপের এই পর্যায়ে উঠে না-আসা আফগানিস্তান, অন্যদিকে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে একাধিকবার পোড় খাওয়া দক্ষিণ আফ্রিকা; অর্থাৎ, আফগানিস্তান যদি এমন বড় ম্যাচের চাপ নিতে পারে – তাহলে তাঁদেরও ফাইনালে ওঠার ভালো সুযোগ থাকবে। কারণ, দক্ষিণ আফ্রিকা শক্তিশালী দল হলেও অতীতে সেমিফাইনালে এসে ভেঙে পড়েছে। কিন্তু ত্রিনিদাদের ব্রায়ান লারা স্টেডিয়ামে ঘটলো ঠিক উল্টোটা। সেমিফাইনালে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে হুড়মুড় করে ভেঙে পড়লো আফগানিস্তান। দক্ষিণ আফ্রিকা সেই সুযোগে নয় উইকেটের জয়ে প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠে গেলো। 

দক্ষিণ আফ্রিকা ১৯৯৮ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়ের পরে আইসিসি’র ইভেন্টে এবারই প্রথম ফাইনালে উঠলো।

এদিন আফগানিস্তান টস জিতে কিছুটা কঠিন উইকেটে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে মাত্র ৫৬ রানে অলআউট হয়। দক্ষিণ আফ্রিকা ৮.৫ ওভারেই এই রান অতিক্রম করেছে।

দি প্রোটিয়াস ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের ফাইনালে ওঠার পথে দ্বিতীয় ওভারে কুইন্টন ডি কককে (৫) হারায়। আফগান পেসার ফজলহক ফারুকির বলে বোল্ড হন বাঁহাতি এই ওপেনার। চার বল পরে নাভিন-উল-হকের (২.৪ ওভার) বলে উইকেটকিপার রহমানউল্লাহ গুরবাজকে ক্যাচ দিয়েছিলেন এইডেন মার্করাম। ব্যাটের কানা ছুঁয়ে গুরবাজের গ্লাভসে জমা পড়েছিল বল। কিন্তু গুরবাজ টের না-পাওয়ায় আফগান অধিনায়ক রশিদ খানও রিভিউ নেননি। এরপর আর কোনো বিপদ ঘটেনি। দ্বিতীয় উইকেটে রিজা হেনড্রিক্স ও মার্করামের ৪৩ বলে ৫৫ রানের জুটিতে সহজ জয়ে স্বপ্নের ফাইনালে পৌঁছেছে দক্ষিণ আফ্রিকা।

হেনড্রিক্স ২৫ বলে ২৯ রানে অপরাজিত ছিলেন। প্রোটিয়া অধিনায়ক মার্করাম ২৯ বলে ২৩ রানে অন্য প্রান্ত ধরে রেখেছিলেন।

চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এখনো অপরাজিত দক্ষিণ আফ্রিকা। আর এক ম্যাচ (ফাইনাল) জিতলেই ইতিহাসের প্রথম দল হিসেবে টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করবে মার্করামের দল।

সেমিফাইনাল জয়ের পরে প্রোটিয়া অধিনায়ক বলেছেন, ‘ভালো লাগছে। দারুণ দলীয় প্রচেষ্টা। টস হেরে সৌভাগ্যবান লাগছে। আমরাও ব্যাট করতাম। এমন কন্ডিশনে বোলাররা আলাদা কিছুই করেনি। ঠিক জায়গায় বল করে গেছে। ব্যাটসম্যানদের জন্য কাজটা কঠিন হলেও আমরা জানতাম, একটি জুটি গড়তে পারলেই হবে।’

আগামী শনিবার ব্রিজটাউনের কেনসিংটন ওভালে ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রতিপক্ষ এখনো নির্ধারিত হয়নি। গায়ানায় বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় রাত ৮টা ৩০ মিনিটে দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ভারত-ইংল্যান্ড মুখোমুখি হবে। এই ম্যাচে জয়ী দল ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে খেলবে।

Loading...