loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • সচিবদের দ্রুত সংস্কার কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়নের নির্দেশ দিলেন প্রধান উপদেষ্টা

  • বিএনপি চেয়ারপার্সনের সঙ্গে ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সাক্ষাৎ

  • পবিত্র ঈদ-এ-মিলাদুন্নবী (সা.) ১৬ সেপ্টেম্বর

  • প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ পাঁচ সদস্যের নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগ

  • এটুআই-এর অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প বাদ দিতে বললেন নাহিদ ইসলাম

চাঁদে যাওয়ার প্রস্তুতি নাও: শিশুদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী


চাঁদে যাওয়ার প্রস্তুতি নাও: শিশুদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিশুরা যাতে ভবিষ্যতে চাঁদে যেতে পারে, সেজন্য জ্ঞান-বিজ্ঞান ও গবেষণায় উৎকর্ষ সাধনের মাধ্যমে নিজেদের যোগ্য করে তুলতে এখন থেকেই প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা একদিন চাঁদে যাবো; কাজেই এখন থেকেই সেভাবে তোমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে।’ প্রধানমন্ত্রী শনিবার (৬ জুলাই) গিমাডাঙ্গা টুঙ্গীপাড়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ‘বঙ্গবন্ধু কর্নার’ উদ্বোধনকালে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে এ-কথা বলেন। ১৯১২ সালে প্রতিষ্ঠিত বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি বিজড়িত এই স্কুলটিতে তিনি এ-সময় বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের আঁকা ‘এসো বঙ্গবন্ধুকে জানি’ শীর্ষক অ্যালবামেরও মোড়ক উন্মোচন করেন। খবর – স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের।

শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোটবেলা থেকেই মানুষের জন্য আলাদা একটা দরদ ছিল। অন্নহীন, ছিন্ন কাপড় পরিহিত মানুষ, থাকার জায়গা নেই – এই বিষয়গুলো তাঁকে খুব ব্যথিত করতো। সেজন্য ছোটবেলা থেকেই তিনি মানুষের জন্যই কাজ করতেন। নিজের জীবনের কোনো সুখ, সুবিধা – কিছুই দেখেন নি। শুধু একটাই চিন্তা ছিল – এদেশের মানুষকে কীভাবে দারিদ্রের হাত থেকে মুক্তি দেবেন; কিভাবে একটা উন্নত জীবন দেবেন এবং ছোট্ট শিশুরা যাতে একটা সুন্দর জীবন পেতে পারে – সেটাই তাঁর লক্ষ্য ছিল।

সরকার-প্রধান বলেন, তিনি মনে করেন, যে-উদ্যোগ এখানে নেওয়া হয়েছে, অথবা বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন যেসব শিশু, তাদের আঁকা ছবি দিয়ে অ্যালবাম করা বা ছবির মাধ্যমে ইতিহাসকে যে তুলে ধরা হয়েছে; এর মাধ্যমে শিশুদের ইতিহাস জানার সুযোগ হচ্ছে। তিনি এই উদ্যোগের জন্য শিক্ষক, প্রশাসন এবং জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান এবং বলেন, ‘আর আমার ছোট্ট সোনামনি, তোমাদের জন্য দোয়া ও আশীর্বাদ রইল। তোমরা লেখাপড়া শিখে বড় হও। কারণ যে-স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলবো – তোমরাই হবে তার স্মার্ট নাগরিক, যাঁরা দেশ চালাবে।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘তোমাদের মাঝ থেকেই বের হয়ে আসবে আমার মতো প্রধানমন্ত্রী-মন্ত্রী। তোমরা বড় বড় জায়গায় যাবে; গবেষণা করবে, বিজ্ঞানী হবে। আর আমরা একসময় চাঁদেও যাবো, কোনো চিন্তা নেই। কাজেই সবাইকে এখন থেকে সেভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে, পড়াশোনা করতে হবে।’

এর আগে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অধ্যয়নকৃত বিদ্যালয়ে পৌঁছালে শিক্ষার্থীরা তাঁকে স্বাগত জানায়। শেখ হাসিনা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন এবং তাদের খোঁজখবর নেন। তিনি সেখানে কিছুক্ষণ সময় কাটান এবং শিক্ষার্থীদের নিয়ে বঙ্গবন্ধু কর্নার ঘুরে দেখেন, যেখানে জাতির ওপর রচিত বিভিন্ন বই রাখা হয়েছে। পরে তিনি টুঙ্গিপাড়া মাল্টিপারপাস পৌর সুপার মার্কেট পরিদর্শন করেন।

শেখ হাসিনা এর আগে সকালে টুঙ্গিপাড়ায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি সেখানে ফাতেহা পাঠ করেন ও জাতির পিতা এবং ১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট হত্যাকাণ্ডের শহীদদের আত্মার চিরশান্তি কামনা করে মোনাজাতে যোগ দেন।

প্রধানমন্ত্রী মুন্সীগঞ্জের মাওয়ায় পদ্মা বহুমুখী সেতুর নির্মাণকাজ সমাপ্তি উপলক্ষ্যে আয়োজিত নাগরিক সংবর্ধনায় যোগ দিয়ে শুক্রবার বিকেলে পৈতৃক নিবাসে আসেন।

Loading...