বাংলাদেশের সংগীত তারকা শাফিন আহমেদ গত ২৫ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। এই শিল্পীর সেখানে ২০ জুলাই একটি কনসার্টে অংশ নেওয়ার কথা ছিল; তবে তার আগেই তিনি অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। শাফিনের মৃত্যুর পরের দিন যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার একটি স্থানীয় মসজিদে তাঁর প্রথম জানাজা হয়। শাফিনের মরদেহ সোমবার (২৯ জুলাই) বিকেলে ঢাকায় আসার কথা রয়েছে। জানাজা হবে মঙ্গলবার বাদজোহর গুলশান আজাদ মসজিদে। এরপর বনানী কবরস্থানে বাবা কমল দাশগুপ্ত ও মা ফিরোজা বেগমের পাশে তাঁকে দাফন করা হবে। শিল্পীর পরিবার থেকে জানানো হয়েছে, শুক্রবার (২ অগাস্ট) জুম্মার নামাজের পরে গুলশান কমিউনিটি মসজিদে হবে শাফিনের কুলখানি। খবর – স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের।
শাফিন আহমেদের জন্ম ১৯৬১ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি, পশ্চিমবঙ্গে। তিনি বাংলাদেশের সংগীতাঙ্গনের দুই মহারথী – সংগীতশিল্পী ফিরোজা বেগম ও সুরকার কমল দাশগুপ্তের কনিষ্ঠ পুত্র। তাঁর বড় ভাই হামিন আহমেদ জনপ্রিয় ব্যান্ড ‘মাইল্স’-এর গায়ক ও গিটারবাদক।
শাফিন শৈশবে বাবার কাছে উচ্চাঙ্গসংগীত শিখেছেন আর মায়ের কাছে শিখেছেন নজরুলসংগীত।
শাফিনের গাওয়া তুমুল জনপ্রিয় কিছু গানের মধ্যে রয়েছে – ‘আজ জন্মদিন তোমার’, ‘চাঁদ তারা সূর্য’, ‘জ্বালা জ্বালা জ্বালা’, ‘ফিরিয়ে দাও’, ‘ফিরে এলে না’, ‘হ্যালো ঢাকা’, ‘জাতীয় সংগীতের দ্বিতীয় লাইন’ প্রভৃতি।
তিনি দীর্ঘদিন ‘মাইল্স’-এর বেইস গিটারিস্ট, সুরকার ও প্রধান গায়ক হিসেবে কাজ করেছেন।
শাফিন আহমেদ তাঁর বাবা কমল দাশগুপ্তের কিছু গান নিয়েও একক অ্যালবাম করেছিলেন। কিছুদিন রাজনীতির সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। তিনি একটি রাজনৈতিক দলের ব্যানারে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র প্রার্থী হয়েও আলোচনা সৃষ্টি করেন।
শাফিন আহমেদ স্ত্রী ও তিন সন্তান রেখে গেছেন।