ম্যানচেস্টার সিটি কমিউনিটি শিল্ডে আগের তিন বছর আর্সেনাল, লিভারপুল ও লেস্টার সিটির কাছে হেরেছিল। আর গত এফএ কাপ ফাইনালেও দলটি এই ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কাছেই পরাজিত হয়েছিল। পেপ গার্দিওলার ম্যানসিটি শনিবার (১০ অগাস্ট) এরিক টেন হাগের দলকে হারিয়ে সেটারই প্রতিশোধ নিলো। সিটি এনিয়ে সপ্তমবারের মতো কমিউনিটি শিল্ড জিতলো।
এদিন ৮২ মিনিটে আলেহান্দ্রো গারনাচো যখন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে এগিয়ে দিলেন, ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামের লাল অংশে তখন উৎসবের আমেজ। ৮৯ মিনিটে বের্নার্দো সিলভার গোলে ইউনাইটেডের ক্ষণিকের উৎসব বিলীন হয়ে গেলে ওয়েম্বলির আকাশী-নীল অংশ আনন্দে ভাসে।
এরপর সেই সিলভা-ই টাইব্রেকারের শুরুতে গোল করতে ব্যর্থ হলে আবারও শুরু হয় লাল-উৎসব। প্রথম শট নিতে আসা ব্রুনো ফার্নান্দেজ গোল করার পরে তো মনেই হচ্ছিল – টানা চতুর্থবারের মতো এফএ কমিউনিটি শিল্ডে হারতে চলেছে ম্যানসিটি। যাহােক, সিটি নির্ধারিত সময়ের পর পেনাল্টি শুট আউটেও দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায়। রোমাঞ্চকর টাইব্রেকারে নগর প্রতিদ্বন্দ্বী ইউনাইটেডকে ৭–৬ ব্যবধানে হারিয়ে মৌসুমের সূচনাসূচক ট্রফি এফএ কমিউনিটি শিল্ড ঘরে তুলল পেপ গার্দিওলার দল।
১১৫ বছরের এতিহ্যবাহী কমিউনিটি শিল্ডে নির্ধারিত ৯০ মিনিটের পর অতিরিক্ত ৩০ মিনিট খেলা হয়-না। সমতায় থাকলে ম্যাচ সরাসরি চলে যায় টাইব্রেকারে। সেখানে বের্নার্দো সিলভা প্রথম শটে গোল করতে ব্যর্থ হলেও কেভিন ডি ব্রুইনা, আর্লিং হালান, সাভিনিও, এদেরসন, মাথেউস নুনেস, রুবেন দিয়াজ ও মানুয়েল আকানজি জাল স্পর্শ করেন।
আটটি করে শটের টাইব্রেকারে ইউনাইটেডের জেডন সাঞ্চোর শট রুখে দেন সিটি গোলরক্ষক এদেরসন; এছাড়া জনি ইভান্সের শট চলে যায় বারপোস্টের ওপর দিয়ে।