অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরে এ-পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়সহ আটজন উপাচার্য (ভিসি) পদত্যাগ করেছেন। এছাড়া একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে উপ-উপাচার্য, প্রক্টর, প্রভোস্টসহ বিভিন্ন প্রশাসনিক গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকেও অনেকে পদত্যাগ করেছেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখে আরও অনেক উপাচার্য পদত্যাগ করতে পারেন বলে গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে।
পদত্যাগ করা উপাচার্যরা হলেন – ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নূরুল আলম, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. শহীদুর রশীদ ভূঁইয়া, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমদ, টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ফরহাদ হোসেন, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হাসিবুর রশীদ এবং ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক শেখ আবদুস সালাম।
ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল শনিবার (১০ অগাস্ট) পদত্যাগ করেছেন। এছাড়া সাতটি হলের প্রভোস্টরাও পদত্যাগ করেছেন।
গত বছর ১৫ অক্টোবর অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৯তম উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পান। ৪ নভেম্বর তিনি দায়িত্ব বুঝে নিয়েছিলেন। আট মাস দায়িত্ব পালন শেষে তিনি পদত্যাগ করলেন।
ঢাবির সাত হল রোকেয়া হল, শামসুন নাহার, বিজয় ৭১, বঙ্গবন্ধু হল, মুক্তিযোদ্ধা জিয়া হল, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল, স্যার সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের প্রভোস্ট ছাড়াও জহুরুল হক হলের চারজন আবাসিক শিক্ষকও পদত্যাগ করেছেন। এর আগে গত বৃহস্পতিবার ঢাবির প্রক্টর ও প্রক্টরিয়াল বডির সব সদস্য পদত্যাগ করেন।
দেশে বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ প্রশাসন একে একে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করতে শুরু করেছে। শনিবার বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়। গত কয়েক দিনে একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়েছে।