loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • ইনজুরি কাটিয়ে ফিরেই মেসির দুই গোল, মায়ামি জয়

  • কুমিল্লা ইপিজেড-এ ৪০ লাখ ডলার বিনিয়োগ করবে চীনা কোম্পানি

  • সিটির জয়ে হালানের গোল, অ্যানফিল্ডে অঘটনের শিকার লিভারপুল

  • এমবাপে-ভিনির গোলে রিয়াল মাদ্রিদের জয়

  • বিএনপি’র সমাবেশ রোববারের পরিবর্তে মঙ্গলবার

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিক


জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিক

দ্রোহ, মানবতার প্রেম ও সাম্যবাদের চেতনায় দীপ্ত জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিক মঙ্গলবার, ১২ ভাদ্র। বাংলা সাহিত্য ও সংগীতের এই অনন্য সাধারণ প্রতিভার জীবনপ্রদীপ নিভে গিয়েছিল ১৩৮৩ বঙ্গাব্দের (১৯৭৬ খ্রিস্টাব্দ) এই দিনে, ঢাকার তৎকালীন পিজি হাসপাতালে (বর্তমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়)। বাংলাদেশের মানুষ বরাবরের মতােই মঙ্গলবারও জাতীয় কবির মৃত্যুবার্ষিকীতে তাঁর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন।

কাজী নজরুল ইসলাম বাংলা সাহিত্যে বিদ্রোহী কবি হিসাবে পরিচিত হলেও ছিলেন একাধারে কবি, সংগীতজ্ঞ, ঔপন্যাসিক, গল্পকার, নাট্যকার, প্রাবন্ধিক, সাংবাদিক ও  চলচ্চিত্রকার। তিনি বৈচিত্র্যময় অসংখ্য রাগ-রাগিনী সৃষ্টি করে বাংলা সংগীত জগৎকে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করেছেন।

“... মসজিদেরই পাশে আমায় কবর দিও ভাই/যেন গোর থেকে মুয়াজ্জিনের আজান শুনতে পাই” ...। মৃত্যুর পরে কবিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে সমাহিত করা হয়।

দেশের বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক ও পেশাজীবী সংগঠন কবির মৃত্যুবার্ষিক স্মরণে কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে – ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদসংলগ্ন কবির সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, ফাতেহা পাঠ, দোয়া মাহফিল এবং আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বাংলাদেশ বেতার, টেলিভিশন ও বিভিন্ন বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল কবির মৃত্যুবার্ষিক উপলক্ষ্যে বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচার করবে। খবর – স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের।

জাতীয় কবির মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বাংলা একাডেমি বিশেষ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। বাংলা একাডেমির পক্ষ থেকে সোমবার (২৭ অগাস্ট) সকালে জাতীয় কবির সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে। বেলা ১১টায় একাডেমির কবি শামসুর রাহমান সেমিনার কক্ষে একক বক্তৃতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে নজরুলবিষয়ক একক বক্তৃতা প্রদান করবেন বাংলা একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক, বিশিষ্ট গবেষক অধ্যাপক মাহমুদ শাহ কোরেশী। সভাপতিত্ব করবেন বাংলা একাডেমির সচিব ও ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক মোহা. নায়েব আলী।

কাজী নজরুল ইসলামের জন্ম ১৩০৬ বঙ্গাব্দের ১১ জ্যৈষ্ঠ পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে। তাঁর ডাকনাম ছিল ‘দুখু মিয়া’। তিনি শৈশব থেকেই সীমাহীন দারিদ্র্য মোকাবেলা করেছেন।

কাজী নজরুল ইসলাম সৃষ্টিশীল ছিলেন মাত্র ২৩ বছর। নজরুলের এই ২৩ বছরের সাহিত্যজীবনের সৃষ্টিকর্ম বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের অমূল্য সম্পদ। কবি নজরুলের কবিতা, গান ও সাহিত্যকর্ম বাংলায় নবজাগরণ সৃষ্টি করেছিল। তাঁর কবিতা ও গান মানুষকে যুগে যুগে শোষণ-বঞ্চনা থেকে মুক্তির পথ দেখিয়ে চলেছে।

আরেকদিকে তিনি ছিলেন চিরপ্রেমের কবি।

তাঁর রচিত ‘চল্ চল্ চল্’ গানটি বাংলাদেশের রণসংগীত।

কবি নজরুলকে সপরিবারে ঢাকায় নিয়ে আসা হয় বাংলাদেশের স্বাধীনতার পরে, ১৯৭২ সালের ২৪ মে শেখ মুজিবুর রহমানের উদ্যোগে; ভারত সরকারের অনুমতি নিয়ে। তাঁকে দেওয়া হয় জাতীয় কবির মর্যাদা। কবিকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বসবাসের ব্যবস্থা করে ধানমন্ডিতে একটি বাড়ি দেওয়া হয়।

কাজী নজরুল ইসলামকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৭৪ সালে সম্মানসূচক ডি-লিট উপাধিতে ভূষিত করে। সরকার তাঁকে ১৯৭৬ সালে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব দেয়। তিনি একই বছরের ২১ ফেব্রুয়ারি একুশে পদকে ভূষিত হন।

Loading...