loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • ইনজুরি কাটিয়ে ফিরেই মেসির দুই গোল, মায়ামি জয়

  • কুমিল্লা ইপিজেড-এ ৪০ লাখ ডলার বিনিয়োগ করবে চীনা কোম্পানি

  • সিটির জয়ে হালানের গোল, অ্যানফিল্ডে অঘটনের শিকার লিভারপুল

  • এমবাপে-ভিনির গোলে রিয়াল মাদ্রিদের জয়

  • বিএনপি’র সমাবেশ রোববারের পরিবর্তে মঙ্গলবার

সরকার মুক্ত গণমাধ্যমে বিশ্বাস করে: প্রধান উপদেষ্টা


সরকার মুক্ত গণমাধ্যমে বিশ্বাস করে: প্রধান উপদেষ্টা

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, বর্তমান সরকার মুক্ত গণমাধ্যমে বিশ্বাস করে এবং দেশে একটি গতিশীল ও প্রাণবন্ত গণমাধ্যম দেখতে চায়। মুহাম্মদ ইউনূস রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় ২০টি পত্রিকার সম্পাদকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় এ-কথা বলেন। সভা শেষে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও উপ-প্রেস সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। প্রেস ব্রিফিংয়ে উপ-প্রেস সচিব অপূর্ব জাহাঙ্গীরও উপস্থিত ছিলেন। খবর – স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের।

প্রধান উপদেষ্টাকে উদ্ধৃত করে শফিকুল আলম বলেন, সরকার দেশে একটা গতিশীল গণমাধ্যম দেখতে চায়; এর জন্য যা-যা প্রয়োজন – তার সবটুকু করা হবে। একইসাথে তিনি সরকার দেশে মুক্ত গণমাধ্যমের প্রতিষ্ঠায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে উল্লেখ করেন।

মতবিনিময় সভায় সম্পাদকগণ সাংবাদিকদের জন্য যে-সব কালাকানুন রয়েছে – সেগুলো বাতিল বা সংশোধনের করার প্রস্তাব করেন। 

সরকারের পক্ষ থেকে মিডিয়ার ওপর কোনো ধরনের চাপ নেই – উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম মজুমদার বলেন, ‘একটি প্রাণবন্ত ও মুক্তগণমাধ্যমের জন্য মিডিয়া কমিশন গঠনের কথা বলা হয়েছে। এই কমিশন আমাদের দেশে মিডিয়া কিভাবে চলবে – তা ঠিক করবে।’ তিনি বলেন, ‘সাংবাদিকতা করতে গিয়ে কেউ যেন বিপত্তির মুখে না পড়েন, বাধার সম্মুখীন না-হন – তা নিশ্চিতে এই কমিশন গঠনের প্রস্তাব এসেছে। সরকার এই কমিশন গঠনের বিষয়টি সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করছে।’

রাষ্ট্র-ব্যবস্থা সংস্কার সম্পর্কে প্রেস সচিব জানান, প্রধান উপদেষ্টা সম্প্রতি রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক করেছেন এবং রাজনৈতিক নেতারা অধ্যাপক ইউনূসকে ‘যৌক্তিক সময়সীমার’ মধ্যে সংস্কার কাজ শেষ করতে বলেছেন।

তিনি বলেন, অধ্যাপক ইউনূস যৌক্তিক সময় কতদিন হওয়া উচিত – তা সম্পাদকদের কাছে জানতে চেয়েছেন। সকল সম্পাদক একমত হয়েছেন যে – সংস্কার পরিচালনার সময়সীমা কমপক্ষে দুই বছর হওয়া উচিত এবং কেউ উল্লেখ করেছেন যে, অন্তর্বর্তী সরকার যে-সংস্কারগুলো করছে – তা ‘যৌক্তিক সময়’ নির্ধারণ করবে।

শফিকুল আলম জানান, প্রধান উপদেষ্টা উল্লেখ করেছেন যে, ছাত্র-জনতার বিপ্লব রাষ্ট্র মেরামতের একটি সুযোগ তৈরি করেছে এবং এটিকে কাজে লাগাতে হবে। অধ্যাপক ইউনূস সংস্কারগুলোকে টেকসই করতে জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার ওপর জোর দেন। বৈঠকে তিনি বলেন, সম্পাদকরা সংবিধান সংস্কার এবং আইন কমিশন ও পাবলিক সার্ভিস কমিশনের সংস্কার নিয়েও কথা বলেছেন।

সম্পাদকরা উপদেষ্টা পরিষদ আরও সক্রিয় করার এবং ক্ষমতা বিকেন্দ্রীকরণের পরামর্শ দিয়েছেন জানিয়ে প্রেস সচিব বলেন, তাঁরা দেশের সংবিধান পুনর্লিখনের জন্য একটি সাংবিধানিক সভা করার প্রয়োজনীয়তার ওপরও জোর দেন।

মতবিনিময় সভায় অংশ নেওয়া সম্পাদকরা ‘যৌক্তিক সময়সীমার’ সংস্কার কার্যক্রম বা কার্যপদ্ধতি ঠিক করে ফেলার পরামর্শ দেন।

এই সভায় দি ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম, প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান, নিউ এইজ সম্পাদক নুরুল কবির, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস)-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক মাহবুব মোর্শেদ, দৈনিক যুগান্তরের সম্পাদক সাইফুল আলম, কালের কণ্ঠ সম্পাদক হাসান হাফিজ, বণিক বার্তার সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ, দি বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের সম্পাদক এনাম আহমেদ, কালবেলা সম্পাদক সন্তোষ শর্মা, দৈনিক আমাদের সময়ের সম্পাদক আবুল মোমেন, দৈনিক সংবাদ সম্পাদক আলতামাশ কবির, দৈনিক আজাদীর সম্পাদক এম এ মালেক, দেশ রূপান্তরের সম্পাদক মোস্তফা মামুন ও প্রতিদিনের বাংলাদেশ-এর সম্পাদক মুস্তাফিজ শফি উপস্থিত ছিলেন।

Loading...