ফাইল ছবি
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তন ও মহড়া কক্ষ ১১ অক্টোবর থেকে সাময়িকভাবে খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সোমবার (৭ অক্টোবর) এ-তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সোমবার শিল্পকলা একাডেমির সাথে সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের সমন্বয় সভায় জাতীয় নাট্যশালার মূল থিয়েটার হল এবং ১ ও ২নং কক্ষ নাটক ও মহড়ার জন্য আগামী ১১ অক্টোবর থেকে সীমিত পরিসরে খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। হল ও মহড়া কক্ষ বরাদ্দের ক্ষেত্রে বিদ্যমান নীতিমালার পাশাপাশি বিরাজমান পরিস্থিতি বিবেচনায় বিশেষ কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা হবে।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন ও ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পরে বাংলাদেশের সার্বিক নিরাপত্তার স্বার্থে শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার বিভিন্ন কক্ষে সেনাবাহিনীর বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা ও সেনাসদস্যরা অবস্থান করছেন। ৫ অগাস্ট-পরবর্তী সময় থেকে জাতীয় নাট্যশালার তিনটি মিলনায়তন, ছয়টি মহড়া কক্ষ, সেমিনার কক্ষ, আর্কাইভ কক্ষ সাংস্কৃতিক সংগঠনের অনুকূলে বরাদ্দ দেওয়া সম্ভব হয়নি। দেশের সার্বিক পরিস্থিতি উন্নতির সাথে সাথে সাংস্কৃতিক কর্মী ও সংগঠনের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে স্বল্প পরিসরে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তন ও দুইটি মহড়া কক্ষ নাটক মঞ্চায়ন ও মহড়ার জন্য খুলে দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়।
একাডেমি সূত্র জানায়, জাতীয় নাট্যশালার মূল হল, নাটক মঞ্চায়নের জন্য বিবেচ্য নাট্যদলকে এক শিফটে একটি প্রদর্শনীর করার জন্য বরাদ্দ দেওয়া হবে। মিলনায়তন বরাদ্দ চূড়ান্ত করার সময় বরাদ্দপ্রাপ্ত দলকে অবশ্যই তাঁদের উপস্থিত সদস্যবৃন্দের তালিকা সংগঠনের প্যাডে লিখিতভাবে নাট্যকলা ও চলচ্চিত্র বিভাগের দপ্তর কক্ষে জমা দিতে হবে। এই তালিকা মিলনায়তন ব্যবহারের নির্ধারিত দিনে সকল গেটে প্রবেশ নিয়ন্ত্রণের জন্য সরবরাহ করা হবে। জাতীয় নাট্যশালার মূল গেটে দর্শক প্রবেশের জন্য নাটক প্রদর্শনীর দুই ঘন্টা আগে খুলে দেওয়া হবে। হল বরাদ্দ ছাড়া জাতীয় নাট্যশালার মূল গেট খোলা হবে-না।
জাতীয় নাট্যশালার মূল হলে যেসব সংগঠন বা দল নাটক মঞ্চায়ন করবে, দুইটি মহড়া কক্ষ অগ্রাধিকারভিত্তিতে বরাদ্দ দেওয়া হবে। মিলনায়তন ব্যবহারকারী নাট্যদল মহড়া কক্ষ ব্যবহার করতে না-চাইলে, অন্যদলকে কেবল নাটকের মহড়ার জন্য বরাদ্দ দেওয়া হবে। সেক্ষেত্রে বরাদ্দ প্রাপ্ত দলকে অবশ্যই সদস্যবৃন্দের তালিকা সংগঠনের নিজস্ব প্যাডে লিখিতভাবে নাট্যকলা ও চলচ্চিত্র বিভাগের দপ্তর কক্ষে প্রদান করতে হবে।
সূত্র জানায়, মূল গেট দিয়ে কেবল বরাদ্দ প্রাপ্ত সংগঠনের সদস্য, মহড়াকক্ষ ব্যবহারকারী সংগঠনের সদস্য,শিল্পকলা একাডেমির স্টাফ, সেনাসদস্য এবং টিকেট বা আমন্ত্রণপত্র প্রদর্শনী সাপেক্ষে দর্শনার্থী প্রবেশ করতে পারবেন। কোনোক্রমেই টিকেট বা আমন্ত্রণপত্র বা দর্শনার্থী প্রবেশ করতে পারবে-না।
সাংবাদিকদের প্রবেশের সময়ে অফিস পরিচয়পত্র দেখাতে বলা হয়েছে। জাতীয় নাট্যশালার মূল হল ও মহড়া কক্ষ ব্যবহারকারী নাট্যকর্মী, সাংবাদিক ও টিকেট নিয়ে আসা বা আমন্ত্রণপত্রধারী দর্শনার্থীদের যানবাহন নির্ধারিত সময়ে নাট্যশালার নিচতলার পার্কিং ব্যতীত অন্য কোথাও পার্কিং করা যাবে না।
এছাড়া জাতীয় নাট্যশালার মূল থিয়েটার হল ব্যবহারের জন্য নাট্যসংগঠনগুলো অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।