বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের উইঙ্গার ঋতুপর্ণা চাকমা ২০২৪ সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালসহ পুরো আসরে নজরকাড়া নৈপুণ্যের স্বীকৃতি পেলেন সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জয়ের মাধ্যমে।
কোচ পিটার বাটলারের শিষ্যরা দর্শকে ঠাসা কাঠমান্ডুর দশরথ রঙ্গশালা স্টেডিয়ামে বুধবার (৩০ অক্টোবর) রোমাঞ্চকর ফাইনালে স্বাগতিক নেপালকে ২-১ গোলে হারিয়েছে। ঋতুপর্ণা বাংলাদেশের পক্ষে জয়সূচক গোলটি করেন। তিনি ৮১তম মিনিটে ডিফেন্ডার শামসুন্নাহার সিনিয়রের থ্রো-ইনে বল পেয়ে বাঁ প্রান্তে ডি-বক্সের বাইরে থেকে হাওয়ায় ভাসিয়ে এক শট নেন; নেপালের গোলরক্ষক আনজিলা তুম্বাপো সেটি ফেরানোর সর্বোচ্চ চেষ্টাই করেছেন। যাহোক, তাঁর হাত ছুঁয়ে ক্রসবারে লেগে বল গোললাইন অতিক্রম করে।
ঋতুপর্ণা সদ্যসমাপ্ত আসরে লাল-সবুজ জার্সিতে লেফট উইংয়ে প্রতিপক্ষের জন্য আতঙ্ক ছিলেন। তিনি মাঝমাঠ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করা ও ফরোয়ার্ডদের বল যোগান দেওয়ার পাশাপাশি করেছেন দুই গোল। তিনি সেমিফাইনালে ভুটানের বিপক্ষেও লক্ষ্যভেদ করেছিলেন।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তাঁকে সবচেয়ে ‘মোস্ট ভ্যালুয়েবল প্লেয়ার’ হিসেবে বেছে নেওয়া হয়। তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় উচ্ছ্বসিত ঋতুপর্ণা বলেছেন, ‘(সেরা খেলোয়াড় হয়ে) আমার অনেক ভালো লাগছে। প্রথমবারের মতো এই পুরস্কার পেলাম; আমার স্বপ্ন পূরণ হয়েছে।’ ‘আমার পরিবার আমাকে অনেক সমর্থন করেছে। বাংলাদেশের মানুষদের কৃতজ্ঞতা জানাই; তাঁদের সমর্থন ও দোয়ায় আমরা দ্বিতীয়বারের মতো সাফ চ্যাম্পিয়ন হয়েছি।’
দ্রুতগতিসম্পন্ন ঋতুপর্ণা এই প্রতিযোগিতায় আরও দুই গোল পেতে পারতেন; কিন্তু ভাগ্য সহায় ছিল-না তাঁর। গ্রুপ পর্বে পাকিস্তান ও ভারতের বিপক্ষে তাঁর একটি করে দূরপাল্লার শট ক্রসবারে বাধা পায়।
তৎকালীন কোচ গোলাম রব্বানী ছোটনের অধীনে বাংলাদেশ দল সাফ-এর গত আসরে (২০২২ সালে) নেপালকেই একই ভেনুতে হারিয়ে প্রথমবারের মতো দক্ষিণ এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট জিতেছিল। সেবার সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জিতেছিলেন অধিনায়ক সাবিনা খাতুন।