loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • নভেম্বরে দেশে রপ্তানি আয় বেড়েছে ১৫.৬৩ শতাংশ

  • চিন্তার ক্ষেত্রে ভেঙে পড়া সেতুগুলো মেরামত করতে হবে: সংস্কৃতি উপদেষ্টা

  • বাংলাদেশ ২০২৬ সালের নভেম্বরে এলডিসি থেকে উত্তীর্ণ হতে চলেছে: বাণিজ্য উপদেষ্টা

  • বিএনপি ঐকমত্য চায়, সঙ্গে নির্বাচনী রোডম্যাপ

  • ক্যারিয়ার সেরা র‌্যাংকিংয়ে নাহিদা; উন্নতি পিংকি, জ্যোতি ও সুপ্তার

সাফজয়ী নারী ফুটবল দলকে প্রধান উপদেষ্টার সংবর্ধনা


সাফজয়ী নারী ফুটবল দলকে প্রধান উপদেষ্টার সংবর্ধনা

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ী বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলকে সংবর্ধনা প্রদান করেছেন। তিনি ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় শনিবার (২ নভেম্বর) সকালে এই সংবর্ধনা প্রদান করেন। এ-সময় নারী ফুটবল দলের সদস্যরা তাঁদের স্বপ্ন ও খেলোয়াড় জীবনের প্রতিদিনের সংগ্রামের কথা প্রধান উপদেষ্টার সামনে তুলে ধরেন। অধ্যাপক ইউনূস বিজয়ী খেলোয়াড়দের বিভিন্ন দাবি ও কথাগুলো মনোযোগ দিয়ে শোনেন এবং অগ্রাধিকারভিত্তিতে সমাধানের প্রতিশ্রুতি দেন।

গত ৩০ অক্টোবর কাঠমান্ডুতে সপ্তম সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে নেপালকে ২-১ গোলে পরাজিত করে শিরোপ জিতে নেয় বাংলাদেশ দল।

নারী ফুটবলারদের উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘এই সাফল্যের জন্য আমি পুরো জাতির পক্ষ থেকে তোমাদেরকে অভিনন্দন জানাই। জাতি তোমাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। আমাদের দেশের মানুষ সাফল্য চায়, আর তোমরা সেই সাফল্য এনে দিয়েছ।’

বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুন সংবর্ধনায় আমন্ত্রণ জানানোর জন্য প্রধান উপদেষ্টাকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, আমরা সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পেরে সম্মানিত বোধ করছি।

তিনি বলেন, ‘অনেক বাধা পেরিয়ে আমরা এই পর্যায়ে পৌঁছেছি। শুধু নারী ফুটবল দলই নয়, বাংলাদেশের নারীদের সামগ্রিকভাবে নানা সংগ্রামের মধ্য দিয়ে যেতে হয়।’

২০০৯ সালে ফুটবল ক্যারিয়ার শুরু করা সাবিনা তাঁর আগের প্রজন্মের অবদানের কথা স্মরণ করে বলেন, আগের প্রজন্ম  ফুটবলকে তাঁদের ভালোবাসা হিসেবে বেছে নেওয়ার সাহস দেখিয়েছিলেন।

সাবিনা আরও বলেন, আমাদের অনেকে সাধারণ পরিবার থেকে এসেছে এবং তাঁর পরিবারকে আর্থিকভাবে সাহায্য করতে হয়। তিনি বলেন, ‘আমাদের বেতন খুব বেশি নয়। এই বেতন দিয়ে পরিবারকে তেমন কোনো সাহায্য করতে পারি না।’

এই তারকা স্ট্রাইকার তাঁর কয়েকজন সহযোদ্ধার সংগ্রামের গল্প, যেমন মারিয়া মান্দারের কথা বলতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন।

ময়মনসিংহের বিখ্যাত কলসিন্দুর গ্রামের মারিয়া, যেখান থেকে সাফবিজয়ী দলের ছয়জন খেলোয়াড় এসেছেন, ছোটবেলায় তাঁর বাবাকে হারান এবং মা তাঁকে বড় করেন।

উইঙ্গার কৃষ্ণা রানী সরকার ঢাকায় তাঁদের আবাসন সমস্যার কথা উল্লেখ করেন, আর মিডফিল্ডার মানিকা চাকমা খাগড়াছড়ি জেলার দূরবর্তী লক্ষ্মীছড়ি উপজেলার ফুটবলার হিসেবে উঠে আসার সংগ্রামের কথা তুলে ধরেন।

মিডফিল্ডার স্বপ্না রানী তাঁর নিজ জেলা দিনাজপুরের রানীশংকৈল উপজেলায় তাঁর গ্রামের দূর্বল অবকাঠামোর কথা বলেন।

উইঙ্গার কৃষ্ণা প্রধান উপদেষ্টার কাছে অনুরোধ করেন যেন তাঁদের জন্য এশিয়ার বাইরে একটি প্রীতি ম্যাচের আয়োজন করা হয়, বিশেষ করে ইউরোপিয় চ্যাম্পিয়ন্স লিগ বিজয়ী বার্সেলোনার সঙ্গে।

প্রধান উপদেষ্টা প্রত্যেক খেলোয়াড়কে তাঁদের ব্যক্তিগত আশা-আকাঙ্ক্ষা, সংগ্রাম ও তাদের বিভিন্ন দাবি আলাদাভাবে কাগজে লিখে তাঁর কার্যালয়ে জমা দেওয়ার জন্য বলেন।

অধ্যাপক ইউনুস বলেন, ‘তোমরা যা কিছু চাও তা লিখতে দ্বিধা করো-না; আমরা তোমাদের দাবিগুলো পূরণ করার চেষ্টা করবাে। যদি কিছু এখনই করা সম্ভব হয়, আমরা তা করবো’।

কোচ পিটার বাটলার ও ম্যানেজার মাহমুদা আক্তার অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূইয়া, সুপ্রদীপ চাকমা, অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার ও নূরজাহান বেগম।

Loading...