সাফজয়ী বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলকে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এক কোটি টাকা পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ জাতীয় নারী দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুনের হাতে এক কোটি টাকার চেক তুলে দেন। এ-সময় জাতীয় দলের কোচ পিটার বাটলার-ও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। খবর – স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের।
এর আগে দুপুরে শামসুন্নাহার, মণিকা চাকমা, ঋতুপর্ণা চাকমা, রুপনা চাকমারা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ছাদখোলা বাসে রওয়ানা দিয়ে তিন ঘন্টা শহরের বিভিন্ন স্থান প্রদক্ষিণ করে সন্ধ্যায় বাফুফে ভবনে উপস্থিত হন। ক্রীড়া উপদেষ্টা সেখানে বাংলাদেশ দলের অপেক্ষায় ছিলেন। তিনি পরে বাফুফে ভবনের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ দলের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
এরপর সংবাদ সম্মেলনে ক্রীড়া উপদেষ্টা জানান, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস শনিবার (১ নভেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় সাফজয়ী এই দলকে সংবর্ধনা দেবেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে নারী দলকে এক কোটি টাকা প্রদান করা হচ্ছে। আমরা নারী ফুটবলের উন্নয়নের সঙ্গী হিসেবে রয়েছি।’
যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আরও বলেন, আমরা বিশেষভাবে নারী দলকে পুরো জাতি ও একইসাথে অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। নেপালের মাটিতে স্বাগতিক সমর্থকদের বিপক্ষে বাংলাদেশের মেয়েরা যেভাবে জয় ছিনিয়ে এনেছে, এজন্য তাঁরা ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য।
নারী ফুটবলারদের পক্ষ থেকে কোনো চাওয়া ছিল কি-না – এমন প্রশ্নের উত্তরে উপদেষ্টা বলেন, ‘তাঁদের সব সময় একটাই চাওয়া থাকে – সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি এবং বেশি-বেশি ম্যাচ খেলা। আমরা বলেছি, নারী ফুটবলে উন্নয়নে ক্রীড়া মন্ত্রণালয় পাশে থাকবে, তাঁদের চাহিদা ও অভাব পূরণে কাজ করবে।’
এ-সময় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
বাফুফে ভবনে আসার পথে রাস্তার দুই পাশে বিপুলসংখ্যক ভক্ত সমর্থক বাংলাদেশ নারী দলকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানিয়েছে। বাফুফে ভবনেও ছিল ভক্ত ও সাংবাদিকদের ভিড়।
বাংলাদেশ দল কাঠমান্ডুর দশরথ রঙ্গশালা স্টেডিয়ামে গত বুধবার (৩০ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত ফাইনালে নেপালকে ২-১ গোলে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা অক্ষুন্ন রাখে। সাবিনা-সান্জিদারা ২০২২ সালেও নেপালকে হারিয়েই প্রথমবারের মতো সাফ-এর শিরোপা জিতেছিল।