loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • জীবনের লক্ষ্য অর্জনে স্বপ্ন দেখতে হবে : তরুণদের উদ্দেশে অধ্যাপক ইউনূস

  • ব্রিটিশ লেখক সামান্থা হার্ভি বুকার পুরস্কার জিতলেন

  • এফটিএ বাণিজ্য সম্ভাবনাকে উজ্জ্বল করবে: বাণিজ্য উপদেষ্টা

  • ঋণ একটি মানবাধিকার: ড. ইউনূস

  • একাদশ বিপিএল-এর সূচি প্রকাশিত

সাইবার বুলিং বন্ধে অন্তর্বর্তী সরকার ফ্রেমওয়ার্ক তৈরি করছে: নাহিদ ইসলাম


সাইবার বুলিং বন্ধে অন্তর্বর্তী সরকার ফ্রেমওয়ার্ক তৈরি করছে: নাহিদ ইসলাম

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম বলেছেন, বাংলাদেশের নারীরা সাইবার বুলিংয়ের শিকার হচ্ছেন। এটি বন্ধে অন্তর্বর্তী সরকার আলাদা ফ্রেমওয়ার্ক তৈরি করছে। তিনি রাজধানীর আগারগাঁওয়ের আইসিটি টাওয়ারে তাঁর অফিসকক্ষে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অলাভজনক প্রতিষ্ঠান কার্টার সেন্টারের এক প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে রোববার (১০ নভেম্বর) এ-কথা বলেন। খবর – স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের।

কার্টার সেন্টারের সিনিয়র অ্যাডভাইজার জেনি কে লিংকন বলেন, তথ্য অধিকার আইন প্রয়োগের মাধ্যমে বাংলাদেশের নারীরা কিভাবে তাঁদের জীবনমান উন্নয়ন ঘটাতে পারে – সে-বিষয়ে তাঁরা কাজ করছেন।

নাহিদ ইসলাম বলেন, জুলাই-অগাস্ট গণঅভ্যুত্থান ছাত্রদের মাধ্যমে সৃষ্টি হয়েছে। এই আন্দোলনের মাঝপথে ইন্টারনেট বন্ধ করে গুম ও খুনের তথ্য গোপন করে জনগণের তথ্য প্রাপ্তির অধিকার ক্ষুন্ন করা হয়েছে। বাংলাদেশে আর কেউ যেন এভাবে ইন্টারনেট বন্ধ করে মানুষের তথ্য প্রাপ্তির অধিকার ক্ষুণ্ন করতে না-পারে – সে-বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকার কাজ করছে।

তিনি বলেন, ডিজিটালাইজেশনের নামে বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার ব্যাপক অনিয়ম দুর্নীতি করেছে। ফলে মানুষ কাঙ্ক্ষিত সুফল পায়নি। সেক্ষেত্রে এক ধরনের ডিজিটাল ডিসক্রিমিনেশন তৈরি হয়েছে; আমরা তা দূর করতে চাই। বাংলাদেশের মানুষের ডিজিটাল লিটারেসি দরকার। এজন্য প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ এবং জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য অন্তর্বর্তী সরকার কাজ করছে।

জেনি কে লিংকন জানান, জনগণ তথ্য পাওয়ার জন্য উদগ্রীব। এ-সময় তাঁরা সঠিক তথ্য না-পেলে ভুল এবং বিভ্রান্তকর তথ্য ছড়িয়ে পড়তে পারে।

কিভাবে দেশব্যাপী বিভিন্ন তথ্য ছড়িয়ে দেওয়া যায় – সে-ব্যাপারে কার্টার সেন্টারের প্রতিনিধি জানতে চাইলে মো. নাহিদ ইসলাম বলেন, প্রত্যেকটি মন্ত্রণালয়ে জনসংযোগ কর্মকর্তারা দেশব্যাপী তথ্য প্রচারের দায়িত্ব পালন করেন, যাঁরা তথ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা। দেশব্যাপী তথ্য প্রচারের এই কার্যক্রম প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকেও মনিটর করা হয়।

উপদেষ্টা আরও বলেন, সংস্কারের জন্য ইতোমধ্যে যে-সকল কমিশন গঠন করা হয়েছে – তাঁরা নিজস্ব ওয়েবসাইট চালু করে জনগণের মতামত সংগ্রহ করছে। এ-সব বিষয়ে কার্টার সেন্টারের কোনো মতামত থাকলে – তা প্রদানের জন্য উপদেষ্টা প্রতিনিধিদলকে আহ্বান জানান।

দ্যা কার্টার সেন্টারের প্রতিনিধি জানান, জনগণের তথ্য প্রাপ্তির অধিকার নিশ্চিত করতে এবং তথ্য অধিকার আইনের ব্যবহার সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করার মাধ্যমে তথ্য প্রাপ্তিতে নারীদের অধিকতর সক্ষম করে তুলবে। জাতীয় ও কর্ম এলাকার স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসমূহকে কার্যকর এবং শক্তিশালী করার পাশাপাশি সামাজিক দায়বদ্ধতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ভূমিকা রাখবে।

সাক্ষাৎকালে তথ্য ও যোগাযোগ-প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী, দ্যা কার্টার সেন্টার বাংলাদেশের চিফ অফ পার্টি সুমনা সুলতানা মাহমুদসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

Loading...