ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) পায়রা চত্বরে আবৃত্তি, নৃত্য, সংগীত, নাটক, যাদু প্রদর্শনী, পালাগান, পুথিঁপাঠসহ বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে উদযাপন করা হলো পহেলা অগ্রহায়ণ নবান্ন উৎসব। বিপ্লবী সাংস্কৃতিক ঐক্যর আয়োজনে শনিবার (১৬ নভেম্বর) সাংস্কৃতিক উৎসব, র্যালি ও মেলার আয়োজন করা হয়। উৎসবে লালনগীতি পরিবেশন করেন একক এবং বিভিন্ন সংগঠনের শিল্পীরা। এ-উপলক্ষে নবান্ন মেলা স্টলে, পিঠাপুলি, বাহারি পোশাক, রঙিন সজ্জায় বাঁশির ধ্বনি এবং দর্শকদের অংশগ্রহণে মুখর হয়ে উঠে পুরো চত্বর। প্রধান অতিথি হিসেবে উৎসব উদ্বোধন করেন কবি আবদুল হাই শিকদার। খবর – স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের।
প্রধান অতিথি তার বক্তৃতায় বলেন, ৫ অগাস্ট যে-স্বাধীনতা অর্জন করেছি – তা অর্থবহ করতে হবে সংস্কৃতি দিয়ে। হাফ-ডান স্বাধীনতা থেকে আমরা পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতা পেয়েছি। সংস্কৃতিকে মোকাবেলা করতে হবে সংস্কৃতি দিয়ে, নাটককে মোকাবেলা করতে হবে নাটক দিয়ে। আমরা যদি জাতীয় সংহতিকে সমৃদ্ধ রাখতে পারি, তাহলে আমাদের অবস্থা সিকিমের মতো হবে-না।
বিপ্লবী সাংস্কৃতিক ঐক্যর আহবায়ক, মিন্ময় মিজানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিপ্লবী সাংস্কৃতিক ঐক্যর নির্বাহী সদস্য এস এম বিপাশ আনোয়ার। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন, আবৃত্তি শিল্পী ও গবেষক নাসিম আহমেদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংকিং অ্যান্ড ইন্সুরেন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. শহীদুল জাহীদ।