জ্যামাইকা টেস্ট (সমাপ্ত ৩ ডিসেম্বর)
বাংলাদেশ: ১৬৪ ও ২৬৮ (জাকের ৯১, সাদমান ৪৬, মিরাজ ৪২, শাহাদাত ২৮; রোচ ৩-৩৬, আলজারি ৩-৭৭)
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ১৪৬ ও ১৮৫ (হজ ৫৫, ব্রাফেট ৪৩; তাইজুল ৫-৫০, হাসান ২-২০, তাসকিন ২-৪৫)।
ফলাফল: বাংলাদেশ ১০১ রানে জয়ী
সিরিজ: দুই ম্যাচ সিরিজে ১-১ সমতা
ম্যাচ-সেরা: তাইজুল ইসলাম
সিরিজ-সেরা: তাসকিন আহমেদ ও জেইডেন সিলস (ওয়েস্ট ইন্ডিজ)
বাংলাদেশ পুরুষ দল কিংস্টনে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১৮৫ রানে অলআউট করে ১০১ রানে জিতেছে। এই জয়ে দুই টেস্টের সিরিজে ১-১ সমতা তো হলোই, সেই সঙ্গে ঘুচলো ১৫ বছর এবং সাত টেস্ট পরে আবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে টেস্ট জয়ের দীর্ঘ অপেক্ষাও। আর যদি ঘরে-বাইরের সব ম্যাচ বিবেচনায় নেওয়া হয়, তা-ও ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে জয় এলো ছয় বছর পরে। বাংলাদেশ সর্বশেষ ২০১৮ সালে দেশের মাটিতে দুই টেস্টেই জিতেছিল।
টাইগাররা ২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে গিয়ে দুই টেস্টেই জিতেছিল। সেটি ছিল দ্বিতীয় সারির এক ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল। বাংলাদেশ মাঝে আরও তিনবার ক্যারিবীয় অঞ্চলে গিয়ে টেস্টে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে। যাহোক, ১৫ বছর পরে কাটলো জয়-খরা। কিংস্টনের স্যাবাইনা পার্কে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে বাংলাদেশ তুলে নিয়েছে ১০১ রানের বড় জয়। ফলে, সিরিজ শেষ হলো ১-১ সমতায়।
প্রথম টেস্টে ২০১ রানে বড় পরাজয়ের পরে ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষ্যে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে টস জিতে ব্যাটিং নেন নেতৃত্বভার পাওয়া মেহেদী হাসান মিরাজ। ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে তাঁর দল অলআউট হয় মাত্র ১৬৪ রানে। ওপেনার সাদমান ইসলাম সর্বোচ্চ ৬৪ রান করেন। তরুণ পেসার নাহিদ রানা ওয়েস্ট ইন্ডিজকে দুর্দান্ত বোলিংয়ে ১৪৬ রানে অলআউট করেন। তিনি ক্যারিয়ারে প্রথমবার ইনিংসে পাঁচ উইকেট পেলেন (৬১ রানে)। বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস থেকে ১৮ রানের লিড পেয়ে যায়।
বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংসে জাকের আলীর দৃঢ়তায় ২৬৮ রান করে। জাকের ৯১ রানের ইনিংস খেলেছেন। এছাড়া সাদমান ৪৬ ও মিরাজ ৪২ রান যোগ করেন। টাইগাররা জয়ের জন্য স্বাগতিক দলকে ২৮৭ রানের লক্ষ্য দেয়।
ক্যারিবীয়রা বাঁ হাতি স্পিনার তাইজুল ইসলামের ঘূর্ণিতে ১৮৫ রানে অলআউট হয়ে যায়। দলটির পক্ষে ওপেনার ও অধিনায়ক ব্রাথওয়েট ৪৩ রান করেন। কাভেম হগ ৫৫ রান যোগ করেন। তাইজুল ১৭ ওভারে ৫০ রান দিয়ে শিকার করেন পাঁচ উইকেট।
তাইজুল দুই ইনিংস মিলিয়ে ছয় উইকেট আর ব্যাট হাতে প্রতিরোধের কারণে ম্যাচ-সেরার পুরস্কার পেয়েছেন। যৌথভাবে সিরিজ-সেরা হয়েছেন দুই দলের দুই পেসার – তাসকিন আহমেদ ও জেইডেন সিলস্। দুই টেস্টে তাসকিন পেয়েছেন ১১ উইকেট।