একুশে পদকপ্রাপ্ত বাংলাদেশি রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী পাপিয়া সারোয়ার (৭১) আর নেই। তিনি রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) সকালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। পাপিয়া সারোয়ারের স্বামী সারওয়ার আলম গণমাধ্যমকে খবরটি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, প্রয়াতের মরদেহ বৃহস্পতিবার বারডেমের হিমঘরে রাখা হবে। শুক্রবার জুমার নামাজের পরে জানাজা শেষে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে।
জানা গেছে, পাপিয়া সারোয়ার ক্যান্সার-আক্রান্ত হয়ে তিন বছর ধরে ভুগছিলেন। ২০২১ সালে একুশে পদকপ্রাপ্ত এ শিল্পী দেশ-বিদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। সম্প্রতি অবস্থার অবনতি হলে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁকে ‘লাইফ সাপোর্ট' রাখা হয়েছিল।
পাপিয়া সারোয়ারের জন্ম বরিশালে। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী ছিলেন। তিনি ১৯৭৩ সালে ভারত সরকারের বৃত্তি নিয়ে শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে রবীন্দ্রসংগীতে ডিগ্রি নিতে ভারত যান। পাপিয়া এর আগে ১৯৬৬ সালে ছায়ানটে ওয়াহিদুল হক, সন্জীদা খাতুন ও জাহেদুর রহিমের কাছে এবং পরে বুলবুল ললিতকলা একাডেমিতে সংগীতে দীক্ষা নেন।
পাপিয়া সারোয়ার ১৯৯৬ সালে ‘গীতসুধা’ নামে একটি গানের দল প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি দীর্ঘ ক্যারিয়ারে রবীন্দ্রসংগীতের জন্য শ্রোতাদের ভালোবাসা পেয়েছেন। এই শিল্পীর জনপ্রিয়তা ছিল আধুনিক গানেও। তাঁর গাওয়া ‘নাই টেলিফোন নাইরে পিয়ন নাইরে টেলিগ্রাম’ গানটি তাঁকে বাংলা গানের শ্রোতাদের মাঝে পরিচিতি এনে দেয়। তিনি ২০১৩ সালে বাংলা একাডেমির রবীন্দ্র পুরস্কার লাভ করেন।
২০১৫ সালে বাংলা একাডেমি তাঁকে ফেলোশিপ প্রদান করে। তিনি ২০২১ সালে একুশে পদক অর্জন করেন।