loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • পোশাক খাতের শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করা হয়েছে

  • রিজার্ভ ২৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত

  • চীনা বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

  • ঢাকা ও বেইজিং-এর মধ্যে নয়টি চুক্তি স্বাক্ষরিত

  • বিএমইউ বহির্বিভাগ ২৯ মার্চ ও ২ এপ্রিল খোলা

বিপিএল-এ বরিশালের টানা দ্বিতীয় শিরোপা জয়


বিপিএল-এ বরিশালের টানা দ্বিতীয়  শিরোপা জয়

ফরচুন বরিশাল শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) টি-টোয়েন্টির একাদশ আসরের ফাইনালে রেকর্ড ১৯৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করে তিন বল হাতে রেখে তিন উইকেটে ম্যাচ জিতে চিটাগং কিংসের স্বপ্ন ভেঙে শিরোপা নিজেদের কাছেই রাখলো। দলটি ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্স ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের পরে তৃতীয় দল হিসাবে টানা দ্বিতীয়বার বিপিএল-এর শিরোপা ঘরে তুললো। বিপিএল-এর এবারের আসরটি খেলােয়াড়দের পারিশ্রমিক নিয়ে বিড়ম্বনা, স্পট-ফিক্সিংয়ের অভিযোগসহ সব বিতর্ক পেছনে ফেলে জমজমাট এক ফাইনালের মধ্যদিয়ে শেষ হলো।

টানা দ্বিতীয় শিরোপা জিততে হলে বরিশালকে গড়তে হতো ফাইনালে সর্বোচ্চ রান তাড়ার রেকর্ড; সঙ্গে ছিল উপচে পড়া গ্যালারির দর্শকদের প্রত্যাশার চাপ। সব বাধা পার করেই ট্রফি উঁচিয়ে ধরলো দলটি।

চিটাগং কিংসের ১৯৪ রানের জাবাবে উদ্বোধনী জুটিতে তামিম ইকবাল ও তাওহিদ হৃদয় (২৮ বলে ৩২) নান্দনিক ব্যাটিংয়ের পসরা সাজান। হাফ সেঞ্চুরি করে আউট হওয়া তামিমের (২৯ বলে ৫৪) ঝড়ো ব্যাটিংয়ের পরে কাইল মায়ার্স (২৮ বলে ৪৬) দলকে আরও এগিয়ে দেন। তবুও নাটকীয় কিছুর আভাস দেখা যাচ্ছিল।

শেষের দিকে দ্রুত উইকেট পড়তে থাকলেও চিটাগংয়ের ফিল্ডিংয়ের কারণে হতাশায় পুড়তে হয়নি বরিশালকে। সঙ্গে রিশাদের দারুণ ফিনিশিং শেষ হাসিই এসেছে বরিশালের মুখে। রিশাদ ছয় বলে দুই ছক্কায় করেছেন ১৮ রান। পক্ষান্তরে, ৩৪ রানে শরীফুল ইসলামের চার উইকেট প্রাপ্তি বৃথা গেলো।

এর আগে, চিটাগং কিংস পারভেজ হোসেন ও খাজা নাফির উদ্বোধনী জুটিতে ১২১ রান করলেও দল ২০০ করতে পারেনি। মোহাম্মদ মিঠুনের দলকে সাত উইকেট হাতে রেখেও ১৯৪ রানে ইনিংসের ইতি টানতে হয়। 

ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমনের ক্যারি থ্রু দি ইনিংস এবং তাঁর উদ্বোধনী জুটি ডান-হাতি পাকিস্তানি ব্যাটার খাজা মুহাম্মদ নাফির দুরন্ত ব্যাটিংয়ে চিটাগং ২০০ পার করার আভাস দিলেও তা আর হয়নি।

এই দু’জনের পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংসই ছিল চিটাগংয়ের মোট রানের ভিত্তি। নাফির প্রস্থান ঘটে ১২.৪ ওভারে ৪৪ বলে ৬৬ রান করার পরে। তাঁর ইনিংসে সাতটি চার ও তিনটি ছয়। তিনি ইবাদতের বলে উইকেটের পেছনে মুশফিককে ক্যাচ দেন।

তবে বাঁ-হাতি ওপেনার ইমন তাঁর চেয়েও চিত্তাকর্ষক ইনিংস খেলেছেন। তিনি মাত্র ৩০ বলে ৫০* পূর্ণ করেন। এবারের বিপিএল-এ তাঁর দ্বিতীয় ফিফটি এবং চিটাগংয়ের ১০০ রান এসেছে হাত ধরাধরি করে। ইমন ছয়টি চার ও চারটি ছয়ের সহায়তায় ৪৯ বলে ৭৮ রান করে অপরাজিত ছিলেন। ওয়ানডাউনে নামা ডান-হাতি ব্যাটার ইংল্যান্ডের গ্রাহাম ক্লার্কের অবদান ২৩ বলে ৪৪ রান। তাঁর ইনিংসে দুটি চার ও তিনটি ছয়।

শেষ ওভারে চিটাগং তিন বলের ব্যবধানে দুই উইকেট হারায় ক্লার্ক ও শামীম হোসেনের (২)। একটি করে উইকেট নেন মোহাম্মদ আলী ও ইবাদত হোসেন।

প্রথম পাঁচ ওভারে ৫১ রান করা চিটাগং ১০ ওভারে ৯৩ রান করে। এভাবে তাঁদের ইনিংস এগোয় ১৫ ওভারে ১৪১-১ এবং ২০ ওভারে ১৯৪-৩। হাতে সাত উইকেট থাকার পরও ২০০ পার করতে না-পারার জন্য চিটাগং দায়ী করতে পারে শুধু নিজেদেরই। তাঁদের ব্যাটাররা যদি আরেকটু ঝুঁকি নিয়ে ব্যাটিং করতেন – তাহলে কাজটা অসম্ভব ছিল না।

টুর্নামেন্ট সেরা: মেহেদী হাসান মিরাজ (খুলনা টাইগার্স)
ফাইনালে ম্যাচ-সেরা: তামিম ইকবাল (ফরচুন বরিশাল)

Loading...