loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • পোশাক খাতের শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করা হয়েছে

  • রিজার্ভ ২৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত

  • চীনা বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

  • ঢাকা ও বেইজিং-এর মধ্যে নয়টি চুক্তি স্বাক্ষরিত

  • বিএমইউ বহির্বিভাগ ২৯ মার্চ ও ২ এপ্রিল খোলা

অমর একুশে বইমেলায় অষ্টম দিনে এলো ১০২টি বই


অমর একুশে বইমেলায় অষ্টম দিনে এলো ১০২টি বই

অমর একুশে বইমেলা ২০২৫-এর অষ্টম দিনে (৮ই ফেব্রুয়ারি ২০২৫/২৫শে মাঘ ১৪৩১ শনিবার) নতুন বই এসেছে ১০২টি। এদিন মেলা শুরু হয় দুপুর দুইটায় এবং চলেছে রাত নয়টা পর্যন্ত।

অমর একুশে উদযাপনের অংশ হিসেবে এদিন সকাল সাড়ে নয়টায় বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে শিশু-কিশোর সংগীত প্রতিযোগিতার প্রাথমিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে ‘ক’ শাখায় ৩৪ জন, ‘খ’ শাখায় ৬৬ জন এবং ‘গ’ শাখায় ৩৯ জন। সর্বমোট ১৩৯ জন প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করেছে।

বিকেল চারটায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় ‘একজন মোহাম্মদ হারুন-উর-রশিদ’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রফিক-উম-মুনীর চৌধুরী। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন আবদুস সেলিম এবং মোহাম্মদ হারুন রশিদ। সভাপতিত্ব করেন খালিকুজ্জামান ইলিয়াস।  

প্রাবন্ধিক বলেন, মোহাম্মদ হারুন-উর-রশিদ ছিলেন একাধারে শিক্ষক, শিক্ষাবিদ, প্রশাসক, কবি, লেখক, অনুবাদক ও সুফিবাদ চর্চাকারী। তাঁর লেখালেখির জগৎ বিচিত্র। তিনি ভাষা-সমাজ-শিক্ষা প্রসঙ্গে জ্ঞানগর্ভ প্রবন্ধ যেমন লিখেছেন, তেমনি রচনা করেছেন সুখপাঠ্য ভ্রমণকাহিনি। অনুবাদের ক্ষেত্রেও তিনি তাঁর প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন। তাঁর লেখনি ও ভাষার অন্যতম আকর্ষণীয় বিষয় হলো – সহজবোধ্যতা ও রসবোধ। সময়ের পেক্ষাপটে তাঁর চিন্তাচেতনা বেশ আধুনিক ও সময়োপযোগী ছিল, যার আবেদন বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে আরও অর্থবহ হয়ে উঠেছে।

আলোচকদ্বয় বলেন, অধ্যাপক মোহাম্মদ হারুন-উর-রশিদ ছিলেন একজন সৎ, সাহসী, আপসহীন, ক্ষণজন্মা, মেধাবী ও আত্মমর্যাদাসম্পন্ন মানুষ। তিনি বাংলাদেশের সুফিবাদ ও সুফি-সাহিত্যের একজন বিশিষ্ট লেখক। অনুবাদকর্মের পাশাপাশি সংস্কৃতি ও সাহিত্য সমালোচক হিসেবেও তিনি তাঁর গভীর জ্ঞানের পরিচয় দিয়েছেন। তিনি ছিলেন সংবেদনশীল এবং বন্ধুবৎসল একজন মানুষ। ব্যক্তিজীবনে অত্যন্ত স্বাধীনচেতা মোহাম্মদ হারুন-উর-রশিদ একজন শুদ্ধ, লড়াকু এবং গভীর প্রজ্ঞাময় মানুষ হিসেবে আমাদের জন্য আদর্শ হয়ে থাকবেন।

সভাপতির বক্তব্যে খালিকুজ্জামান ইলিয়াস বলেন, অধ্যাপক মোহাম্মদ হারুন-উর-রশিদ উচ্চশিক্ষার মাধ্যম হিসেবে বাংলা প্রচলনের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছিলেন। তিনি ছিলেন বহুমাত্রিক প্রতিভার অধিকারী বিরল প্রকৃতির একজন মানুষ। 

লেখক বলছি মঞ্চে নিজেদের নতুন বই নিয়ে আলোচনা করেন – কবি ও প্রাবন্ধিক মজিদ মাহমুদ এবং কবি জব্বার আল নাইম। 

এদিন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কবিতা আবৃত্তি করেন – কবি ফরিদ সাইদ এবং কবি প্রদীপ মিত্র। আবৃত্তি পরিবেশন করেন আবৃত্তিশিল্পী কামাল মিনা এবং ফারহানা পারভীন হক তৃণা। আরও ছিল আরিফুজ্জামান চয়নের পরিচালনায় নৃত্য সংগঠন ‘উদ্ভাস নৃত্যকলা একাডেমী’-এর পরিবেশনা। সংগীত পরিবেশন করেন শিল্পী ফারাহ দিবা খান লাবণ্য, সুষ্মিতা দেবনাথ সূচি, বিজন চন্দ্র মিস্ত্রী, গার্গি ঘোষ, শার্লি মার্থা রোজারিও এবং মো. রেজওয়ানুল হক। যন্ত্রাণুষঙ্গে ছিলেন চন্দন দত্ত (তবলা), শ্যামা প্রসাদ মজুমদার (কি-বোর্ড), শেখ আবু জাফর (বাঁশি), দীপঙ্কর রায় (অক্টোপ্যাড)। 

৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫/২৬ মাঘ ১৪৩১ রবিবার, অমর একুশে বইমেলার নবম দিন মেলা শুরু হবে বিকেল তিনটায় এবং চলবে রাত নয়টা পর্যন্ত। বিকেল চারটায় বইমেলার মূলমঞ্চে আয়োজন করা হবে ‘স্মরণ : মাকিদ হায়দার’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন চঞ্চল আশরাফ। আলোচনায় অংশগ্রহণ করবেন আসিফ হায়দার এবং সৈকত হাবিব। সভাপতিত্ব করবেন আতাহার খান।

– তথ্যসূত্র: বাংলা একাডেমি’র সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

Loading...