loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • পোশাক খাতের শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করা হয়েছে

  • রিজার্ভ ২৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত

  • চীনা বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

  • ঢাকা ও বেইজিং-এর মধ্যে নয়টি চুক্তি স্বাক্ষরিত

  • বিএমইউ বহির্বিভাগ ২৯ মার্চ ও ২ এপ্রিল খোলা

বইমেলার একাদশ দিনে নতুন বই ৯১টি


বইমেলার একাদশ দিনে নতুন বই ৯১টি

অমর একুশে বইমেলা ২০২৫-এর একাদশ দিনে (১১ই ফেব্রুয়ারি ২০২৫/২৮শে মাঘ ১৪৩১ মঙ্গলবার) নতুন বই এসেছে ৯১টি।

এদিন বিকেল চারটায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় ‘আদর্শায়িত কল্পলোক ও শাহেদ আলীর দ্বিধাচিত্ত মন’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন শিবলী আজাদ। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন মোস্তাক আহমাদ দীন। সভাপতিত্ব করেন চঞ্চল কুমার বোস।

প্রাবন্ধিক বলেন, শাহেদ আলীর গল্পে যেমন দার্শনিক প্রতীতি রূপায়ণের চেষ্টা রয়েছে, তেমনি রয়েছে সামাজিক বৈষম্য আর অনাচার ফুটিয়ে তোলার প্রয়াস। তাঁর রচনাগুলো উত্তাল সময়, ঝঞ্ঝা-বিক্ষুব্ধকালের বৌদ্ধিক ও নান্দনিক প্রতীতির প্রতি লেখকের এক ধরনের প্রতিক্রিয়া। সমকালের অন্যান্য লেখকের মতো তিনি উচ্চকন্ঠী নন। তাঁর গল্পে নেই হুল্লোড় কিংবা মতাদর্শিক উচ্ছ্বাস। বিমূর্ত দার্শনিকতা ও সৌন্দর্য অনুসন্ধান শাহেদ আলীর লেখার গুরুত্বপূর্ণ এক বৈশিষ্ট্য। তাঁর গল্পে উঠে আসে গ্রামীণ মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত, হতদরিদ্র প্রান্তিক চাষি এবং শহুরে মুটে-ভিখিরি চরিত্রগুলো। শিল্পের দাবি অক্ষুণ্ণ রাখার ক্ষেত্রে শাহেদ আলী যথেষ্ট সফল একজন লেখক।

আলোচক বলেন, রাজনীতি-সচেতন সক্রিয় ব্যক্তিত্ব শাহেদ আলী সাহিত্যের বিভিন্ন অঙ্গনে তাঁর প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন। তবে তাঁর রাজনৈতিক ও সৃষ্টিশীল জীবনকে কখনও একাত্ম করেননি। এমনকি তাঁর গল্পের মধ্যে কঠোর নীতিবোধও আরোপ করেননি। তাঁর রচনায় জীবনবাস্তবতার যে-চিত্র তিনি এঁকেছেন – সেখানে নিম্ন ও নিম্ন-মধ্যবিত্ত শ্রেণির উপস্থিতিই আমাদের চোখে পড়ে। ভাষার ক্ষেত্রে তিনি লোকজ, আরবি, ফারসি, উর্দু শব্দরাজিকে সাবলীলভাবে তাঁর সাহিত্যে স্থান দিয়েছেন।

সভাপতির বক্তব্যে চঞ্চল কুমার বোস বলেন, শাহেদ আলীর রচনায় বাংলার কৃষিভিত্তিক জীবনের ছন্দ, সুর, কথা ও উপকথা ধরা পড়ে। তাঁর লেখার অনুষঙ্গ হলো সাধারণ বাঙালি ঘরের সাংস্কৃতিক উপকরণ। তাঁর বিস্তৃত সাহিত্যকর্ম নিবিড় পাঠ ও গভীর পর্যালোচনার দাবি রাখে।

লেখক বলছি মঞ্চে নিজেদের নতুন বই নিয়ে আলোচনা করেন – নাসির আলী মামুন ও মামুন সারওয়ার।

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে আবৃত্তি করেন কবি মুস্তাফা মজিদ। আবৃত্তি পরিবেশন করেন আবৃত্তিশিল্পী শফিকুল ইসলাম বাহার ও আনজুমান আরা। এদিন ছিল সালমা মাহবুবের পরিচালনায় সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘বাংলাদেশ সোসাইটি ফর দ্যা চেঞ্জ এন্ড অ্যাডভোকেসি নেক্সাস (বি-স্ক্যান)’-এর পরিবেশনা।

সংগীত পরিবেশন করেন শিল্পী  মো. সালমান, মাহমুনুল হক সিদ্দিক, জাকির হোসেন আখের, সঞ্জয় কুমার দাস, শরণ বড়ুয়া, শ্রাবন্তী আক্তার জেরিন, নুরুন্নাহার হায়াত ও মো. শাহীনুর ইসলাম। যন্ত্রাণুষঙ্গে ছিলেন এনামুল হক ওমর (তবলা), আবুল কালাম আজাদ (কি-বোর্ড), এফ এম আলমগীর কবীর (বাঁশি) ও মো. ফারুক (অক্টোপ্যাড)।

বুধবার (১২ই ফেব্রুয়ারি ২০২৫/২৯শে মাঘ ১৪৩১) অমর একুশে বইমেলার দ্বাদশ দিন বিকেল চারটায় বইমেলার মূলমঞ্চে আয়োজন করা হবে ‘গণ-অভ্যুত্থান ২০২৪-এর কবিতা’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন হাসান রোবায়েত। আলোচনায় অংশগ্রহণ করবেন মঈন জালাল চৌধুরী ও আশফাক নিপুন। সভাপতিত্ব করবেন ফরহাদ মজহার।

অন্যান্য কর্মদিবসের মতো এদিনও মেলা শুরু হবে বিকেল তিনটায় এবং চলবে রাত নয়টা পর্যন্ত।

– তথ্যসূত্র: বাংলা একাডেমি’র সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

Loading...