অধিনায়ক সাবিনা খাতুনসহ বাংলাদেশ জাতীয় নারী দলের ১৮ জন ফুটবলার ইংলিশ কোচ পিটার বাটলারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছিলেন; তাঁরা আসেননি দলের অনুশীলনেও। ফলে, কোচ তাঁদেরকে বাদ দিয়েই নতুন দল গঠন করেছেন। দুইটি সাফ-শিরোপা জেতা দলের অনেকেই নেই বর্তমান দলে।
বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দল সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে দুই প্রীতি ম্যাচের প্রথমটিতে ৩-১ গোলে পরাজিত হয়েছে। অধিনায়ক আফঈদা খন্দকার আমিরাত ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন মাঠে বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশের হয়ে একমাত্র গোলটি করেছেন। আমিরাতের হয়ে দুই গোল করেন জর্জিয়া, এক গোল এসেছে এলিজাবেথের কাছে থেকে।
স্বপ্না-সুরভীরা আগামী ২ মার্চ একই দলের বিপক্ষে দ্বিতীয় ও শেষ প্রীতি ম্যাচ খেলবেন।
কোচ পিটার বাটলার একাদশ সাজিয়েছিলেন ৩-৪-৩ ফর্মেশনে। এদিন জাতীয় দলে তনিমা বিশ্বাসের অভিষেক হয়েছে। আক্রমণভাগে ছিলেন – মুনকি আক্তার, মোসাম্মত সুলতানা ও শাহেদা আক্তার রিপা। গোলপোস্ট রক্ষার দায়িত্বটা দেওয়া হয়েছিল ইয়ারজান বেগমকে। ২০২৪ সালের সাফ অনূর্ধ্ব-১৬ টুর্নামেন্টে দীপ্তি ছড়ানো এই গোলরক্ষক বুধবারও পোস্ট অরক্ষিত রাখার চেষ্টাই করেছেন; যদিও শেষ পর্যন্ত পারেননি।
এদিন বাংলাদেশ দল প্রথমার্ধে দারুণ লড়াই করেও ২-১ গোলে পিছিয়ে পড়ে। আফঈদা স্পট কিক থেকে একমাত্র গোলটি করেন। বাংলাদেশ দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচে সমতা ফেরানোর জন্য আক্রমণের ধার বৃদ্ধি করেও সুবিধা করতে পারেনি; উল্টো আরেকটি গোল হজম করতে হয়েছে তাঁদের।
গত ৩০ জানুয়ারি ১৮ জন সিনিয়র ফুটবলার কোচের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণার পরে পিটার বাটলার নতুনদের নিয়ে অনুশীলন চালিয়ে গেছেন। যদিও ১৬ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)’র নারী উইংয়ের চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ জানান, মেয়েরা অনুশীলনে ফিরতে রাজি হয়েছে।
যাহােক, লম্বা সময় অনুশীলনের বাইরে থাকায় বিদ্রোহীদের ছাড়াই ২০ ফেব্রুয়ারি আমিরাত সফরের জন্য ২৩ সদস্যের দল ঘোষণা করে বাফুফে।
কোচ বাটলারের জন্য এই সফরটা একটু বেশিই চ্যালেঞ্জিং। তিনি একেবারে নতুনদের নিয়ে শুরু করলেন। আর সেই শুরুটাতে প্রথমেই এলো আমিরাত-পরীক্ষা। যদিও সেই দলের বিপক্ষে দুইটি ম্যাচই এএফসি উইমেন্স এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের প্রস্তুতির জন্য।
এএফসি উইমেন্স এশিয়ান কাপ ২০২৬ সালের মার্চে অস্ট্রেলিয়ায় আয়োজন করা হবে। তার আগে এ-বছরের ২৩ জুন থেকে ৫ জুলাই হবে প্রতিযোগিতাটির বাছাইপর্ব।