বাংলাদেশে নিযুক্ত শ্রীলংকার হাইকমিশনার ধর্মপাল বীরাক্কোদি জানিয়েছেন, তাঁর দেশের উদ্যোক্তারা বাংলাদেশের সিনথেটিক ফেব্রিক্স খাতে বিনিয়োগ করতে চান। শ্রীলংকার হাইকমিশনার এছাড়াও স্বাস্থ্যসেবা, পর্যটন, তথ্যপ্রযুক্তি, শিক্ষা এবং ওষুধ শিল্পে দুই দেশের উদ্যোক্তাদের যৌথ বিনিয়োগের প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে বলে উল্লেখ করেন। তিনি ঢাকা চেম্বার কার্যালয়ে রোববার (১৬ মার্চ) ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)’র সভাপতি তাসকীন আহমেদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাতে এ-সব কথা বলেন। খবর – স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের।
বৈঠকে ধর্মপাল বীরাক্কোদি বাংলাদেশের স্থানীয় পর্যটন খাতের উন্নয়নে শ্রীলংকার অভিজ্ঞতা ও প্রযুক্তিগত দক্ষতা কাজে লাগানোর জন্য বাংলাদেশের উদ্যেক্তাদের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, শ্রীলংকা ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি দেশের সাথে পিটিএ স্বাক্ষর করেছে। তিনি বাংলাদেশ ও শ্রীলংকার দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণে অতি দ্রুত পিটিএ স্বাক্ষর দরকার বলে মন্তব্য করেন।
সাক্ষাৎকালে ডিসিসিআই সভাপতি তাসকীন আহমেদ বলেন, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ১৩৪.০৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য প্রতি বছর প্রায় ৯.৫ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। তিনি আর্থিক খাত, টেক্সটাইল, বিদ্যুৎ, নির্মাণ এবং ওষুধ শিল্প খাতে শ্রীলংকার বেশ কিছু ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যে বাংলাদেশে প্রায় ৪২৮.৫৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিনিয়োগ করেছে বলে উল্লেখ করে বাংলাদেশের কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ, নির্মাণ শিল্প, স্বাস্থ্য সেবা, পর্যটন, তথ্যপ্রযুক্তি এবং এফএমসিজি খাতে আরও বিনিয়োগ করার জন্য শ্রীলংকান উদ্যোক্তাদের আহ্বান জানান।
ডিসিসিআই প্রধান সেই সাথে গভীর সমুদ্রে মৎস্য আহরণ, পর্যটন, শিপিং প্রভৃতি খাতে শ্রীলংকার অভিজ্ঞতা ও প্রযুক্তিগত সহায়তার উপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ ও শ্রীলংকার মধ্যকার প্রস্তাবিত অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি (পিটিএ) স্বাক্ষরের বিষয়টি দুই দেশের সরকারি পর্যায়ে আলোচনার মাধ্যমে দ্রুত সম্পন্ন করা প্রয়োজন, যার মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বহুলাংশে বৃদ্ধি পাবে।
এ-সময় ডিসিসিআই-এর ঊর্ধ্বতন সহসভাপতি রাজিব এইচ চৌধুরী, সহ-সভাপতি মো. সালিম সোলায়মান এবং শ্রীলংকা দূতাবাসের কনস্যুলর (কমার্শিয়াল) শ্রীমালি জয়ারত্নে উপস্থিত ছিলেন।