loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • পোশাক খাতের শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করা হয়েছে

  • রিজার্ভ ২৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত

  • চীনা বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

  • ঢাকা ও বেইজিং-এর মধ্যে নয়টি চুক্তি স্বাক্ষরিত

  • বিএমইউ বহির্বিভাগ ২৯ মার্চ ও ২ এপ্রিল খোলা

ঈদের ছুটিতে চিকিৎসাসেবা নিশ্চিতে ১৬ নির্দেশনা জারি


ঈদের ছুটিতে চিকিৎসাসেবা নিশ্চিতে ১৬ নির্দেশনা জারি

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আসন্ন ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষ্যে সরকারি হাসপাতালগুলোতে জরুরি চিকিৎসা সেবা নিশ্চিতে ১৬ নির্দেশনা দিয়েছে। অধিদপ্তরের এক অফিস আদেশে মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) এ-তথ্য জানা যায়। এতে বলা হয়েছে, এ-বছর পবিত্র লাইলাতুল কদর (শবে কদর), ঈদ-উল-ফিতর ও সাপ্তাহিক ছুটির কারণে দীর্ঘ ছুটি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই ছুটির সময় হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা সেবা-ব্যবস্থাপনার জন্য ১৬ নির্দেশনা রয়েছে।

ঈদ-উল-ফিতর ২০২৫ এর ছুটির সময়ে হাসপাতালসমূহে চিকিৎসা-ব্যবস্থাপনার জন্য নিম্নলিখিত নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে –

১. জরুরি বিভাগে প্রয়োজনে অতিরিক্ত চিকিৎসক পদায়নপূর্বক সার্বক্ষণিক চিকিৎসকের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে।

২. জরুরি বিভাগ ও লেবার রুম, ইমারজেন্সি ওটি, ল্যাব সার্বক্ষণিক চালু রাখতে হবে।

৩. কর্মস্থলে পর্যাপ্ত জনবল ও চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে ঈদের আগে ও পরে সমন্বয় করে জনবলকে পর্যায়ক্রমে ছুটি দেওয়া যেতে পারে।

৪. প্রতিষ্ঠান প্রধান নিরবচ্ছিন্ন জরুরি চিকিৎসা কার্যক্রম ও জনস্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে ছুটি মঞ্জুর করবেন।

৫. সিভিল সার্জন, বিভাগীয় পরিচালককে অবহিত করে শুধু মাত্র ঈদের ছুটিকালীন সময়ে নিজ জেলার মধ্যে অতি প্রয়োজনীয় জনবল সমন্বয় করতে পারবেন।

৬. হাসপাতালের অন্তঃবিভাগ ইউনিট প্রধানগণ প্রতিদিন তাঁদের বিভাগীয় কার্যক্রম তদারকি করবেন। মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বিশেষায়িত হাসপাতাল, জেলা সদর হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সমূহে জরুরি ল্যাব, এক্সরে সেবা সার্বক্ষণিক চালু রাখতে হবে। উপজেলা পর্যায়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের অনকল সেবা চালু রাখতে হবে।

৭. ছুটি শুরু হওয়ার পূর্বেই ছুটিকালীন সময়ের জন্য পর্যাপ্ত ওষুধ, আইভি ফ্লুইড, কেমিক্যাল রি-এজেন্ট, সার্জিক্যাল সামগ্রী মজুদ ও তাৎক্ষণিকভাবে সরবরাহের ব্যবস্থা রাখতে হবে। এক্ষেত্রে স্টোরকিপার অথবা ছুটিকালীন দায়িত্বপ্রাপ্ত স্টাফ অবশ্যই নিজ জেলা ও উপজেলায় অবস্থান করবেন।

৮. অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস সার্বক্ষণিক চালু রাখতে হবে।

৯. ছুটিকালীন সময়ে হাসপাতালের নিরাপত্তার জন্য স্থানীয় প্রশাসন ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে আগামপত্র দিতে হবে।

১০. ছুটিকালীন সময়ে সকল স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে অগ্নি-নির্বাপণবিষয়ক সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

১১. প্রতিষ্ঠান প্রধান ও বিভিন্ন বিভাগের প্রধানরা ছুটিকালীন সেবা প্রদানকারী কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ করবেন এবং ঈদের দিন কুশল বিনিময় করবেন।

১২. প্রতিষ্ঠান প্রধান ছুটি নিলে অবশ্যই বিধি মোতাবেক কাউকে দায়িত্ব দিয়ে যাবেন এবং দায়িত্ব গ্রহণকারী কর্মকর্তা সকল দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে পালন করবেন। দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তির নাম ও মোবাইল নম্বর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করতে হবে।

১৩. প্রতিষ্ঠান প্রধান ঈদের দিন রোগীদের উন্নতমানের খাবার পরিবেশন তদারকি করবেন এবং রোগীদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন।

১৪. বহির্বিভাগ একাধারে ৭২ ঘণ্টার অধিক বন্ধ রাখা যাবে-না। এর ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠান প্রধানরা স্ব-স্ব প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন।

১৫. ক) সকল বেসরকারি ক্লিনিক/হাসপাতাল রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের অধীনে সার্বক্ষণিক জরুরি ও প্রসূতি বিভাগ খোলা রাখবে। 

খ) কোনো রোগী রেফার করার আগে প্রয়োজনীয় প্রাথমিক চিকিৎসা এবং যাত্রাপথের চিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে। 

গ) রেফার্ড রোগীদের ক্ষেত্রে অ্যাম্বুলেন্স প্রাপ্তির প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করতে হবে।

১৬. যেকোনো দুর্যোগ, অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা সম্পর্কে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কন্ট্রোলরুমকে তাৎক্ষণিকভাবে অবহিত করতে হবে।

Loading...