অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, দেশের অর্থনীতির নিয়ে হতাশ হওয়ার কিছু নেই। তিনি বলেন, অর্থনীতি সম্পর্কে আমি খুব ভালো করেই জানি – ভেতরে কি ঘটছে। তাই হতাশ হওয়ার কিছু নেই। অর্থ উপদেষ্টা বাংলাদেশ সচিবালয়ে মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থনৈতিক বিষয় ও সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির পৃথক দু’টি বৈঠকে সভাপতিত্ব শেষে সাংবাদিকদের এ-কথা বলেন। খবর – স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের।
২০২৬ সালে এলডিসি-উত্তরণ নিয়ে বাংলাদেশের প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সরকার এ-বিষয়ে একটি মসৃন উত্তরণ কৌশল (এসটিএস) অনুসরণ করছে। স্মুট মানে হঠাৎ করে নামা নয়, বরং বিমানের অবতরণের মতো। ‘আমরা এটা অলরেডি করছি।’
ড. সালেহউদ্দিন বলেন, কিছু ত্রুটি সত্ত্বেও দেশের পারফরম্যান্স সামগ্রিকভাবে সন্তোষজনক হওয়ায় অনেক দেশ বাংলাদেশের দিকে তাকিয়ে আছে। এমনকি অনেক দেশ এ-ও বলছে – আমরা যদি এটা করতে পারি, তাহলে তাঁরা উৎসাহিত হবে। আমরাও দেখবো, আমাদের গৌরব আরও বাড়বে।
অন্য এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরে পণ্য খালাসের জট দূর করা হয়েছে।
বাজারে ভোজ্য ও সয়াবিন তেলের প্রাপ্যতা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি সরকারের নজরে রয়েছে। ব্যবসায়ীরা অনেক সময় নানা পথ অনুসরণ করেন। তবে এ-ব্যাপারে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। ব্যবসায়ীরা যতই চালাক হোক না-কেন, পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমাদের আরও বুদ্ধিমান হতে হবে।
বাংলাদেশ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার পরিচালক তুলসি গ্যাবার্ড সম্প্রতি যে-বিবৃতি দিয়েছেন, তা দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে প্রভাব ফেলবে কি-না – জানতে চাইলে ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, বহুপক্ষীয় বা দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে এর কোনো প্রভাব পড়বে-না।
‘দি গার্ডিয়ান’-এর এক সাংবাদিকের বাংলাদেশ সম্পর্কে সাম্প্রতিক একটি নিবন্ধ সম্পর্কে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, তাঁরা অনেক কিছু লেখে। বাইরের সবাই কি সবকিছু জানে? তাঁরা মনের মাধুরী মিশিয়ে অনেক কিছু লেখেন (তাঁরা তাদের নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি এবং মতামত দিয়ে লেখেন)। আমরা আগে খাদের কিনারায় ছিলাম। কিন্তু, এখন আমরা ঘুরে দাঁড়িয়েছি এবং এগিয়ে চলেছি।