loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • বিশ্বের ১০০ প্রভাবশালীর তালিকায় ড. মুহাম্মদ ইউনূস

  • রিয়ালকে বার্নাবিউতেই বিদায় করে সেমিতে আর্সেনাল

  • ড্র করেই বায়ার্নকে বিদায় করলো ইন্টার

  • মৌলিক সংস্কার ছাড়া নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে-না: নাহিদ

  • বিদ্যমান পরিস্থিতি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টাকে বিএনপি’র চিঠি

ট্রান্সন্যাশনাল এজুকেশন নিয়ে ব্রিটিশ কাউন্সিলের গবেষণা প্রতিবেদন


ট্রান্সন্যাশনাল এজুকেশন নিয়ে ব্রিটিশ কাউন্সিলের গবেষণা প্রতিবেদন

ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশে ট্রান্সন্যাশনাল এজুকেশন (টিএনই)-এর বর্তমান পরিস্থিতি ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা নিয়ে একটি গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনে বাংলাদেশে ট্রান্সন্যাশনাল শিক্ষা লাভের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থী ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য বিদ্যমান সুযোগ-সুবিধা ও চ্যালেঞ্জগুলো তুলে ধরা হয়েছে। ঢাকার ফুলার রোড অডিটোরিয়ামে এক অনুষ্ঠানে মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়। এতে নীতিনির্ধারক, উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, শিক্ষা খাতের অংশীজন, একাডেমিক কমিউনিটি ও আন্তর্জাতিক শিক্ষা বিশেষজ্ঞগণ অংশগ্রহণ করেন এবং এ-সময়ে টিএনই-এর বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)’র চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক। ব্রিটিশ কাউন্সিলের দক্ষিণ এশিয়ার এজুকেশন ডিরেক্টর স্যালভাডোর কারবাজাল লোপেজ গবেষণা প্রতিবেদনের মূল তথ্য উপস্থাপন করেন।

ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশ-এর কান্ট্রি ডিরেক্টর স্টিফেন ফোর্বস বলেন, বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষার ভবিষ্যৎ গঠনে ট্রান্সন্যাশনাল এজুকেশন (টিএনই) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। এই প্রতিবেদনটি বাংলাদেশে টিএনই-এর প্রসার-সংক্রান্ত চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা চিহ্নিত করতে সহায়ক হবে এবং যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষা খাতে পারস্পরিক সহযোগিতার পথ সুগম করবে। টিএনই মানসম্মত উচ্চশিক্ষার সুযোগ বৃদ্ধি করে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখবে। বাংলাদেশে অংশীজনদের সঙ্গে কাজ করে এই প্রতিবেদনের সুপারিশগুলো বাস্তবায়ন করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

ইউজিসি চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এসএমএ ফায়েজ বলেন, ‘বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে ট্রান্সন্যাশনাল এজুকেশন সহযোগিতা বৃদ্ধিতে ব্রিটিশ কাউন্সিলের প্রচেষ্টার আমি সত্যিই প্রশংসা করি। এটি একাডেমিক উৎকর্ষ ও প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধির সুযোগ সৃষ্টি করছে। এই সম্পর্ক জোরদার করা উভয় দেশের জন্যই উপকারী হবে, যা উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়ন, জ্ঞান বিনিময় এবং এই খাতে বৈশ্বিক প্রতিযোগিতার সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করবে।’

বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক বলেন, ট্রান্সন্যাশনাল এজুকেশন বৈশ্বিক শিক্ষা অংশীদারিত্বের মাধ্যমে শিক্ষার ভবিষ্যৎ গঠনে এবং যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও দৃঢ় করতে দারুণ সুযোগ তৈরি করছে।

অনুষ্ঠানে ‘বাংলাদেশে ট্রান্সন্যাশনাল এডুকেশনের সম্ভাবনা ও সামাজিক মূল্য’ বিষয়ে একটি প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে অংশগ্রহণকারীরা তাঁদের মতামত তুলে ধরেন। সেশনটি পরিচালনা করেন ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশের ডিরেক্টর প্রোগ্রামস ডেভিড নক্স। এতে অংশ নেন ইউজিসি সদস্য মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসান, অ্যাসোসিয়েশন অফ প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিজ অফ বাংলাদেশ-এর সেক্রেটারি জেনারেল ইশতিয়াক আবেদিন এবং ব্রিটিশ কাউন্সিলের সাউথ এশিয়ার এজুকেশন ডিরেক্টর সালভাদর কারবাজাল লোপেজ।

ব্রিটিশ কাউন্সিল নিয়োজিত আন্তর্জাতিক যোগ্যতা মূল্যায়ন সংস্থা ইক্টিস গবেষণাটি পরিচালনা করেছে।

গবেষণা প্রতিবেদনের সুপারিশে বলা হয়, টিএনই প্রদানকারীদের জন্য নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়াগুলো সহজ করা ও সুস্পষ্ট নির্দেশনা প্রদান করা, ভাষাগত প্রতিবন্ধকতা দূর করতে ল্যাঙ্গুয়েজ প্রোগ্রাম চালু করা, রিমোট ও অনলাইন লার্নিংকে সহায়তা করতে ডিজিটাল অবকাঠামো উন্নত করা, মান নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়াগুলোতে স্বচ্ছতা ও সমন্বয় বৃদ্ধি করা, বিভিন্ন বিষয়ের শিক্ষায় নারীদের অংশগ্রহণ বাড়াতে লক্ষ্যভিত্তিক উদ্যোগ গ্রহণ এবং মধ্যম আয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য দ্বৈত ডিগ্রি প্রোগ্রাম চালুর উদ্যোগ গ্রহণ করা।

অনুষ্ঠানে টিএনই ২০২৫ অনুদানের বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়, যেখানে প্রতিটি নির্বাচিত ইউকে-বাংলাদেশ পার্টনারশিপ তাঁদের প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ২৫,০০০ পাউন্ড করে অনুদান পাবে।

Loading...