আর্জেন্টিনা পুরুষ ফুটবল দল থিয়াগো আলমাডার দুর্দান্ত গোলে উরুগুয়েকে ১-০ ব্যবধানে হারিয়ে ২০২৬ বিশ্বকাপে খেলার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে। বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়ন দেশটি মন্টিভিডিওতে শুক্রবার (২১ মার্চ) অন্তত ড্রয়ের লক্ষ্য নিয়েই মাঠে নেমেছিল। দলটি বাছাইপর্বের শুরুতে বুয়েনোস আইরেস-এ এই উরুগুয়ের কাছেই ২-০ গোলে পরাজিত হয়েছিল; যে-কারণে শুক্রবার শুরু থেকেই আর্জেন্টাইনদের বেশ নার্ভাস মনে হয়েছে। যদিও তাঁরা শেষ পর্যন্ত এস্তাদিও সেনটেনারিওর সমর্থকদের হতবাক করে দিয়ে পূর্ণ তিন পয়েন্ট নিয়েই ফিরেছে। ২৩ বছর বয়সী অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার আলমাডা দুর্দান্ত স্ট্রাইকে ৬৮ মিনিটে উরুগুইয়ান গোলরক্ষক সার্জিও রোশেকে পরাস্ত করেন।
বদলী খেলোয়াড় নিকোলাস গঞ্জালেজকে ম্যাচের শেষ মুহূর্তে ইনজুরি টাইমে উরুগুয়ের ডিফেন্ডার নাহিতান নানডেজকে অবৈধভাবে চ্যালেঞ্জের অপরাধে লালকার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয়েছে। এই একটি ঘটনা ছাড়া পুরো ম্যাচে আর্জেন্টিনাকে আর আটকানো যায়নি। অবশ্য এই লাল কার্ড ম্যাচের ফলাফলে কোনো প্রভাব ফেলতে পারেনি।
আর্জেন্টিনার কোচ লিওনেল স্কালোনি অধিনায়ক লিওনেল মেসিবিহীন দলের নৈপুণ্যের প্রশংসাই করেছেন। মেসি ইনজুরির কারণে এই ম্যাচে অনুপস্থিত ছিলেন।
স্কালোনি বলেন, ‘আমি কেন সন্তুষ্ট হবো-না? শুধুমাত্র জয়ের জন্য নয়, সার্বিকভাবে যেভাবে খেলোয়াড়রা নিজেদের এগিয়ে নিয়ে গেছে, তাতে তাঁরা প্রশংসার দাবিদার। তাঁরা আজ একটি পরিপূর্ণ ম্যাচ উপহার দিয়েছেন। একজন খেলোয়াড় যখন অনুপস্থিত থাকে, অন্য কেউ এসে তাঁর জায়গা পূরণ করে দেয়। পুরো দল তখন নতুনভাবে সবকিছুর সাথে মানিয়ে নেয়।’
আর্জেন্টিনা আগামী মঙ্গলবার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিলকে হারাতে পারলেই যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকোতে অনুষ্ঠেয় ২০২৬ বিশ্বকাপের টিকেট নিশ্চিত করে ফেলবে।
বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা ১০ দলের দক্ষিণ-আমেরিকান বাছাইপর্বে ১৩ ম্যাচ খেলে ২৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ইকুয়েডর ছয় পয়েন্ট পিছিয়ে রয়েছে। ব্রাজিলের অবস্থান ২১ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয়।
উরুগুয়ে ২০ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের চতুর্থ স্থানে রয়েছে। প্যারাগুয়ে গোল ব্যবধানে পিছিয়ে পঞ্চম স্থানে রয়েছে ।
টেবিলের শীর্ষ ছয়টি দল সরাসরি বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করবে।
দিনের আরেক ম্যাচে একুয়েডর ২-১ গোলে ভেনেজুয়েলাকে হারিয়ে চূড়ান্ত পর্বে খেলার লড়াইয়ে ভালোভাবেই টিকে থাকলো । দলের হয়ে দুই গোলই করেছেন অভিজ্ঞ স্ট্রাইকার এনার ভ্যালেন্সিয়া।