loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • প্রধান উপদেষ্টা দেশে ফিরেছেন

  • পোশাক খাতের শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করা হয়েছে

  • রিজার্ভ ২৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত

  • চীনা বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

  • ঢাকা ও বেইজিং-এর মধ্যে নয়টি চুক্তি স্বাক্ষরিত

আল্লাহর রহমত ও সকলের দোয়ায় ফিরে এসেছি: তামিম


আল্লাহর রহমত ও সকলের দোয়ায় ফিরে এসেছি: তামিম

ফাইল ছবি

বাংলাদেশ জাতীয় দলের ওপেনার তামিম ইকবাল চলমান ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ (ডিপিএল)-এর অষ্টম রাউন্ডের ম্যাচ খেলতে নামার আগে সোমবার (২৪ মার্চ) সাভারের বিকেএসপিতে হার্ট অ্যাটাক করেন । এরপর বিকেএসপি’র কেপিজে স্পেশালাইজড হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরে তাঁর হার্টে ব্লক ধরা পড়ে। এজন্য রিংও পরানো হয়। তিনি কিছুটা সুস্থ হয়ে মঙ্গলবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেওয়া এক বার্তায় নিজের সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা জানিয়েছেন।

মহান আল্লাহতা’আলার প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ভক্তদের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করে তামিম লিখেছেন, তিনি দুই বছর আগে এই রোজার সময়েই অনুপের কাছে গিয়েছিলেন। সেদিন তিনি জানতে পারেন, অনুপের বাবা চার বছরেও হার্টের অপারেশন করতে পারেননি।

দুই বছর আগে ই-কমার্স মোবাইল ব্যাংকিং ‘নগদ’ থেকে পেমেন্টে গাড়ি জিতেন ঢাকায় বসবাস করা অনুপ অধিকারী নামের একজন ব্যক্তি। তামিম ‘নগদ’-এর হয়ে অনুপের হাতে গাড়ির চাবি তুলে দিতে তাঁর বাসায় গিয়েছিলেন। তখনই তিনি জানতে পারেন, আর্থিক সমস্যায় চার বছর ধরে অনুপের বাবার হার্টের অস্ত্রোপচার করাতে পারছে-না তাঁর পরিবার। তামিম তখন অনুপের বাবার চিকিৎসার দায়িত্ব নেন। পরবর্তী সময়ে রাজধানীর একটি হাসপাতালে অনুপের বাবার হার্টের চিকিৎসা করানো হয়।

তামিম আরও লিখেছেন, হৃদয়ের স্পন্দনই আমাদের বাঁচিয়ে রাখে। কিন্তু এই স্পন্দন যেকোনো ধরনের ঘোষণা না-দিয়েই থেমে যেতে পারে – এই কথাটি আমরা বার বার ভুলে যাই। গতকাল দিনটি শুরু করার সময় কি আমি জানতাম – আমার সাথে কি হতে যাচ্ছে? আল্লাহতা’আলার অশেষ রহমত আর সকলের দোয়ায় আমি ফিরে এসেছি। আমার সৌভাগ্য, এই বিপদের সময়ে পাশে কিছু অসাধারণ মানুষকে পেয়েছিলাম, যাঁদের বিচক্ষণতা ও আপ্রাণ প্রচেষ্টায় এই সংকট কাটিয়ে ফিরে এসেছি।

কিছু ঘটনা আমাদের বাস্তবতা মনে করিয়ে দেয়, জানিয়ে দেয় যে জীবন আসলে কতটা ছোট। আর এই ছোট জীবনে আর কিছু করতে না-পারি, সবাই যেন একে অপরের বিপদে পাশে দাঁড়ায়  – এটিই আমার অনুরোধ। আপনাদের সবাইকে জানাই আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ভালোবাসা। সবাই আমার জন্য এবং আমার পরিবারের জন্য দোয়া করবেন। আপনাদের ভালোবাসা ছাড়া আমি তামিম ইকবাল কিছুই না।

এদিকে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক মো. আবু জাফর জানিয়েছেন, তামিম ইকবালের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে। তিনি তামিমকে দেখতে সাভার বিকেএসপি’র কেপিজে স্পেশালাইজড হাসপাতালে গিয়েছিলেন। এরপর তিনি সাংবাদিকদের জানান, তামিমকে নিয়ে শঙ্কা কেটে গেলেও পরবর্তী ৪৮ থেকে ৭২ ঘন্টা সংকটজনক।

অধ্যাপক আবু জাফর জানান, তামিমের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে ধীরে ধীরে। তিনি বলেন, তামিমের অবস্থার উন্নতি হচ্ছে এবং সে হাঁটাহাঁটি শুরু করেছে। তবে পরবর্তী ৪৮ থেকে ৭২ ঘন্টা সংকটজনক। খেলাধুলাসহ স্বাভাবিক কার্যক্রম পুনরায় শুরু করার জন্য তাকে কমপক্ষে তিন মাস অপেক্ষা করতে হবে।

তামিমকে দেখতে হাসপাতালে আরও গিয়েছিলেন জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. আবদুল ওয়াদুদ চৌধুরী। তিনি জানান, মঙ্গলবার সকালে করা ইকোকার্ডিওগ্রামে কোনো সমস্যা দেখা যায়নি। 

তিনি বলেন, ‘তাঁর হৃদযন্ত্রের কার্যকারিতা স্বাভাবিক বলে মনে হচ্ছে, তবে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। আবারও এবনরমাল বিট হতে পারে। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁকে স্থানান্তর না-করার পরামর্শ দিয়েছি। তামিমের হঠাৎ অবস্থার অবনতির সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায়-না। কম পরিশ্রম এবং কঠোর পর্যবেক্ষণ রাখা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’

পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে তামিমের পরিবার আলোচনা করছেন বলে জানান ওয়াদুদ। তিনি বলেন, ‘চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে তাঁর পরিবার। আমরা যেকোনো ঝুঁকি না-নিতে পরামর্শ দিয়েছি।’

Loading...