loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • প্রধান উপদেষ্টা দেশে ফিরেছেন

  • পোশাক খাতের শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করা হয়েছে

  • রিজার্ভ ২৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত

  • চীনা বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

  • ঢাকা ও বেইজিং-এর মধ্যে নয়টি চুক্তি স্বাক্ষরিত

ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচ গোলশূন্য ড্র


ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচ গোলশূন্য ড্র

ভারতের মাটিতে বাংলাদেশের পুরুষ ফুটবল দল  সর্বশেষ খেলেছিল ২০১৯ সালে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচ। কলকাতার সল্টলেকে সেই ম্যাচে এগিয়ে থেকেও ১-১ ড্র করতে হয়েছিল বাংলাদেশকে। পাঁচ বছর পর ভারতের মাটিতে আবারও ভারতের সঙ্গে ড্র। এবার এশিয়ান কাপে বাছাইপর্বের প্রথম ম্যাচটা থাকলো গোলশূন্য। তবে বাংলাদেশের একটা আক্ষেপ থাকছেই। প্রথমার্ধে এতগুলো সুযোগ না-হারালে হয়তো জয়ের উল্লাস করতে-করতেই মাঠ ছাড়া যেত। আবার এটিও স্বস্তির যে, ভারতের মাটিতে গিয়ে হারতে তো হয়নি! হামজা চৌধুরীর অভিষেক জিতে না-হোক অন্তত ড্র করেতো উদ্‌যাপন করা গেছে। আরেকদিকে, এই ড্র ভারতের কাছে পরাজয়ের চেয়ে কম নয়। নিজেদের মাটিতে এই ফলাফল মানতে পারেননি ভারতের কোচ মানোলো মার্কেজ। অন্যদিকে অখুশি মনে হয়নি হাভিয়ের কাবরেরাকে। তাঁর জন্য এই ড্র তো জয়ের চেয়ে কম নয় বৈকি। বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচটা গোলশূন্য থাকায় হামজা-সুনীল ছেত্রির দ্বৈরথও থেকে গেলো অমীমাংসিত।

বাংলাদেশ দল এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে ভারতের বিপক্ষে জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়েও জিততে পারেনি। তবে হামজা-তপুরা স্বাগতিক দেশের বিপক্ষে দুর্দান্ত লড়াইয়ে সকলের প্রশংসা ঠিকই কুড়িয়েছেন। শেষ পর্যন্ত গোলশূন্য ড্রয়ের হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে সফরকারী বাংলাদেশকে। কিন্তু শিলংয়ের জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামে এমন লড়াইয়ে নতুন বার্তাই হয়তো দিতে পেরেছেন লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।

এই ম্যাচের মাধ্যমে বাংলাদেশের জার্সিতে অভিষেক হয়েছে হামজা চৌধুরীর, যিনি এদিন ছিলেন দারুণ উজ্জ্বল। যদিও বিপরীতে ভারতের তারকা ফুটবলার সুনীল ছেত্রি নিজেকে মেলে ধরতে ব্যর্থ হয়েছেন। তিনি বাংলাদেশের গোলরক্ষক মিতুল মারমাকে তেমন কোনো পরীক্ষায় ফেলতে পারেননি। কয়েক দফা বলের নাগাল পাননি, আবার পেলেও ঠিকমতো টাইমিং করতে পারেননি। তাই ভারতীয় কোচ মার্কোস ৮১ মিনিটে সুনীলকে তুলে নেন।

বাংলাদেশ প্রথম মিনিটেই ম্যাচের সবচেয়ে সহজ সুযোগটা মিস করেছে। ভারতের গোলরক্ষক বিশাল কেইত বাংলাদেশের ফরোয়ার্ড জনির পায়ে বল তুলে দেন। জনি একেবারে ফাঁকা পোস্ট পেয়েও সাইড জালে শট নেন। কিছুক্ষণ পরে হামজার নেওয়া এক কর্নারে ভারতীয় গোলরক্ষক তালুবন্দী করলেও শট নেওয়ার সময় বল বাধাগ্রস্থ হয়ে আবার ভারতের পোস্টের দিকে যায়। হৃদয়ের শট ভারতীয় ডিফেন্ডার গোললাইন থেকে ক্লিয়ার করেন। বাংলাদেশ অধিনায়ক তপু বর্মণ ২২ মিনিটে চোট পেয়ে মাঠের বাইরে চলে যান। ফলে আরেক ডিফেন্ডার রহমত মিয়া আর্মব্যান্ড নিয়ে মাঠে নামেন।

৩১ মিনিটে ক্রস থেকে হেড করেছিলেন ভারতীয় স্ট্রাইকার উদান্ত, সেটি রুখে দেন মিতুল; কিন্তু ফিরতি বলে আবারো শট নেন ফারুক। কিন্তু এবারও বাংলাদেশকে রক্ষা করেন মিতুল। 

৩৭ মিনিটে একজন ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে শট নিয়েছিলেন রাকিব। কিন্তু বাংলাদেশের এই ফরোয়ার্ডের শট সহজেই রুখে দেন কেইত। ৪১ মিনিটে গোলরক্ষককে একা পেয়েও বল জালে পাঠাতে পারেননি জনি। প্রথমার্ধে অতিরিক্ত সময় দেওয়া হয়েছিল দুই মিনিট। কিন্তু এ-সময়ও কোনো দল সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি। বাংলাদেশ প্রথমার্ধে স্পষ্ট আধিপত্যই দেখিয়েছে । 

ভারত অবশ্য দ্বিতীয়ার্ধে নিজেদের অনেকটাই প্রমাণ করতে পেরেছে। ৫৫ মিনিটে লিস্টন কোলাসোর ক্রসে সুনীল ছেত্রি মাথা ছোঁয়াতে ব্যর্থ হন, না-হলে তাঁরা তখনই হয়তো এগিয়ে যেতে পারতো। কয়েক মিনিটের মধ্যে ভারত বেশ কয়েকটি কর্নার আদায় করেও সুবিধা করতে পারেনি।

৬০ মিনিটে বাংলাদেশ দলে দু’টি পরিবর্তন করেন কোচ হাভিয়ের কাবরেরা। শাহরিয়ার ইমন ও জনির বদল মাঠে নামেন চন্দন রায় ও ফয়সাল আহমেদ ফাহিম। ৭৫ মিনিটে রাকিবের থ্রু বলে ফাহিম সুযোগ নষ্ট করেন। দুই মিনিটের মধ্যে আরও দুইজন খেলোয়াড় পরিবর্তন করেও দলের ভাগ্য পরিবর্তন করতে পারেননি কাবরেরা।

বাংলাদেশ
মিতুল মারমা, তপু বর্মণ, তারিক কাজী, শাকিল তপু, সা’দ উদ্দিন, মোহাম্মদ হৃদয়, মজিবর রহমান জনি, হামজা চৌধুরী, রাকিব হোসেন, শেখ মোরছালিন, শাহরিয়ার ইমন
ভারত
ভিশাল কাইথ (গোলরক্ষক), রাহুল ভেকে, শুভাশীষ বোস, সন্দেশ ঝিংগান, লিস্টন কোলাচো, ফারুক চৌধুরী, উদান্ত সিং, সুনীল ছেত্রি, আয়ুশ ছেত্রি, আপুয়িয়া, বোরিস সিং

Loading...