ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষ্যে বাস টার্মিনাল কেন্দ্রিক গণপরিবহন মালিক-শ্রমিক, যাত্রী ও পথচারীদের জন্য বেশকিছু নির্দেশনা দিয়েছে। ডিএমপি’র এক গণবিজ্ঞপ্তিতে মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) এই নির্দেশনা দেওয়া হয়। গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা মহানগরবাসীর অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, আসন্ন পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষ্যে ঈদযাত্রা নিরাপদ, সুগম ও নির্বিঘ্ন করার জন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ কর্তৃক বিভিন্ন উদ্যোগ চলমান রয়েছে। এ-বিষয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের পক্ষ থেকে গণপরিবহন মালিক-শ্রমিক ও যাত্রী সাধারণকে নিম্নোক্ত বিষয়সমূহ মেনে চলার অনুরোধ জানানো হলো –
গণপরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের উদ্দেশে:
১. আন্তঃজেলা বাসসমূহকে টার্মিনালের ভিতরে যাত্রী উঠিয়ে সরাসরি গন্তব্যের উদ্দেশে যাত্রা করতে হবে, কোনো অবস্থাতেই টার্মিনালের বাহিরে সড়কের ওপরে বাস দাঁড় করানো যাবে-না।
২. অনুমোদিত কাউন্টার ব্যতীত রাস্তায় দাঁড়িয়ে যাত্রী উঠানো ও নামানো যাবে-না।
৩. ঢাকা মহানগরীতে প্রবেশ ও বাহির হওয়ার রাস্তা সমূহে কোনভাবেই গাড়ি পার্কিং করা যাবে-না।
৪. বিআরটিসি'র বাস সংশ্লিষ্ট ডিপো হতে বাহির হয়ে সংশ্লিষ্ট বিভাগের জেলাসমূহে গমন করবে, কোনোক্রমেই ঢাকা মহানগরী ক্রস করতে পারবে না (যেমন – কল্যাণপুর ও গাবতলী টার্মিনালের বাস গাবতলীর ডিপো হতে সরাসরি রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের দিকে চলে যাবে। তদ্রুপ ফুলবাড়িয়া ও কমলাপুর ডিপো হতে বাস সরাসরি চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দিকে চলে যাবে ইত্যাদি)।
৫. বাস যাত্রার সিডিউল অনুযায়ী টার্মিনাল হতে বাস ছাড়তে হবে।
৬. যাত্রীদের নিকট হতে নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা যাবে-না।
৭. যাত্রীদের সাথে দুর্ব্যবহার ও হয়রানি করা যাবে-না।
৮. একই সিটের টিকেট একাধিক যাত্রীর নিকট বিক্রয় করা যাবে-না।
৯. বাসের সিট ব্যতীত বাসের ছাদে অতিরিক্ত যাত্রী বহন করা যাবে-না।
১০. গতিসীমা মেনে গাড়ি চালাতে হবে, বেপরোয়া ও অতিরিক্ত গতিতে গাড়ি চালানো যাবে-না।
১১. ওভারটেকিং নিষিদ্ধ এলাকা, রাস্তার বাঁক ও সরু ব্রিজে ওভারটেকিং করা যাবে-না।
১২. নেশা জাতীয় দ্রব্য সেবন করে, ঘুমঘুম ভাব ও শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে গাড়ি চালানো যাবে-না।
১৩. বৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্স ও হালনাগাদ কাগজপত্র ছাড়া গাড়ি চালানো যাবে-না।
১৪. গাড়ি চালানো অবস্থায় মোবাইল ফোন বা এয়ারফোন ব্যবহার করা যাবে না এবং গাড়িতে উচ্চস্বরে গান বাজানো যাবে-না।
১৫. উল্টো রাস্তায় গাড়ি চালানো যাবে-না।
১৬. ড্রাইভিং লাইসেন্সের বৈধতা যাচাই করে গাড়ি চালক নিয়োগ করতে হবে।
১৭. মালিক কর্তৃক চালককে একটানা পাঁচ ঘন্টা ও দিনে আটঘন্টার বেশি গাড়ি চালাতে বাধ্য করা যাবে-না।
১৮. ফিটনেসবিহীন, যান্ত্রিক ত্রুটিযুক্ত, কালো ধোঁয়া নির্গমণকারী ও লক্করঝক্কর গাড়ি রাস্তায় নামানো যাবে-না।
যাত্রী সাধারণের উদ্দেশে:
১. সড়কের যত্রতত্র দাঁড়িয়ে বাসে না-উঠে নির্দিষ্ট টার্মিনাল বা কাউন্টারে গিয়ে বাসে উঠতে হবে।
২. অপরিচিত কারো দেওয়া কোনো খাবার বা পানীয় গ্রহণ করা যাবে-না।
৩. মালামাল নিজ হেফাজতে বা দায়িত্বে রাখতে হবে।
৪. বাসযাত্রার নির্ধারিত সময়ের পূর্বেই কাউন্টার বা টার্মিনালে হাজির হতে হবে।
৫. রাস্তা পারাপারে ফুট ওভারব্রিজ বা আন্ডারপাস বা জেব্রাক্রসিং ব্যবহার করতে হবে।
৬. চলন্ত গাড়িতে উঠানামা করা এবং পণ্যবাহী মোটরযানে যাত্রী হয়ে যাতায়াত করা যাবে-না।
৭. জরুরি প্রয়োজনে টার্মিনালের পুলিশ কন্ট্রোলরুম বা জরুরি সেবা নম্বর: ৯৯৯-এ যোগাযোগ করতে হবে।
পথচারীদের উদ্দেশে:
১. জেব্রা ক্রসিং, ফুট ওভারব্রিজ ও আন্ডারপাস দিয়ে রাস্তা পারাপার হতে হবে।
২. দৌড়ে বা মোবাইল ফোনে কথা বলতে বলতে রাস্তা পারাপার হওয়া যাবে-না।
৩. ফুটপাত দিয়ে চলাচল করতে হবে।
ডিএমপি ঈদযাত্রা নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন করার লক্ষ্যে এসব নির্দেশনা মেনে চলার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে বিশেষভাবে অনুরোধ জানিয়েছে।