loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • বিশ্বের ১০০ প্রভাবশালীর তালিকায় ড. মুহাম্মদ ইউনূস

  • রিয়ালকে বার্নাবিউতেই বিদায় করে সেমিতে আর্সেনাল

  • ড্র করেই বায়ার্নকে বিদায় করলো ইন্টার

  • মৌলিক সংস্কার ছাড়া নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে-না: নাহিদ

  • বিদ্যমান পরিস্থিতি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টাকে বিএনপি’র চিঠি

জুলাইয়ের মধ্যে নির্বাচনের কর্মপরিকল্পনা ঘোষণা


জুলাইয়ের মধ্যে নির্বাচনের কর্মপরিকল্পনা ঘোষণা

নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম জানিয়েছেন, বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন আগামী জুলাইয়ের মধ্যেই ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ বা অ্যাকশন প্ল্যান ঘোষণা করবে। এছাড়া নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের তফশিল ঘোষণার আগেই সকল রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপে বসবে। তিনি বলেন, ভোটার তালিকা হালনাগাদ, আরপিও-আচরণবিধি, নীতিমালাসহ আইন সংস্কার, সীমানা নির্ধারণ, নতুন দলের নিবন্ধনসহ সার্বিক কাজ শেষ করে তফসিলের আগে মতবিনিময় করা হবে। মো. আনোয়ারুল ইসলাম বুধবার (১৬ এপ্রিল) সংলাপ ও নির্বাচনের খসড়া রোডম্যাপ নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জানান, অন্তর্বর্তী সরকারের ঘোষিত ডিসেম্বরে ভোটগ্রহণ সামনে রেখে নির্বাচন কমিশনের সব ধরনের প্রস্তুতি চলমান রয়েছে। খবর – স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের।

মো. আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, নির্বাচন কমিশন এরই মধ্যে ডিসেম্বরের ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পথে প্রাক-প্রস্তুতিমূলক সব ধরনের কাজ গুছিয়ে জুলাইয়ে কর্মপরিকল্পনার মুদ্রিত কপি জনসম্মুখে প্রকাশ করতে চায়। ভোটের পথে নির্বাচন কমিশনর কাজগুলোকে ‘রোডম্যাপ’ না-বলে কর্মপরিকল্পনা (অ্যাকশন প্ল্যান/ওয়ার্ক প্ল্যান) হিসেবে অভিহিত করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, ‘রোডম্যাপের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে একটা নিজস্ব কর্মপরিকল্পনা ধরেই এগোচ্ছি। সেই কর্মপরিকল্পনার বহিঃপ্রকাশ হিসেবে প্রাথমিক পর্যায়ে আসনের প্রশাসনিক বিন্যাসের তথ্য, ভোটার তালিকার তথ্য সংগ্রহ ও শেষ পর্যায়ে গুছিয়ে এনেছি; নিবন্ধনের কাজও একটা পর্যায়ে আসছে। আইনের সংশোধনী পেলে মাস তিনেকের মধ্যে শেষ করতে পারবো আশা করি। সরকার ঘোষিত ডিসেম্বরের টাইমলাইন সামনে রেখেই কাজগুলো এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে।’

এক প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার জানান, এখন পর্যন্ত তিনটি নতুন দল নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছে। তবে তাঁরা সময় বৃদ্ধি করার জন্য বলেছে। এখন পর্যন্ত সিদ্ধান্ত হলো – ২০ এপ্রিল পর্যন্ত নিবন্ধন পেতে আগ্রহী দলগুলোর আবেদন নেওয়া হবে। সময় বৃদ্ধির এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি; এ-বিষয়ে পরে সিদ্ধান্ত হবে।

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘শিডিউল ঘোষণার পূর্বে স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে বসতে হবে। নতুন দল শর্তপূরণ করে আসার পরে, নতুন এবং পুরোনো যাঁরা আছে – তাঁদেরকে নিয়েই আমরা বসবো। এরমধ্যে যদি নিবন্ধনের কাজ শেষ না-করি, তাহলে নতুনদেরতো কষ্ট থাকবে – আমরা আসতে পারলাম-না।’

তিনি জানান, দল নিবন্ধন শেষ করে অগাস্ট-সেপ্টেম্বর, বা সম্ভব হলে আরও আগে মতবিনিময় করা হবে।

আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, তফশিল ঘোষণার আগে যাঁদের বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হবে, তাঁদেরকে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে। তবে বিদ্যমান আইন দিয়ে হবে-না, এজন্য আইন পর্যালোচনা করে সংশোধন করা হবে। তিনি জানান, এমন উদ্যোগ প্রথমবারের মতো নেওয়া হচ্ছে।

Loading...