স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের প্রধান অধ্যাপক তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের কারণে ইউনিয়ন, উপজেলা ও জেলা পরিষদ সব জায়গায় শূন্যতা তৈরি হয়েছে। এই শূন্যতার কারণে একটা অস্থিতিশীলতা তৈরি হতে পারে। তাই, স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে স্থানীয় সরকার নির্বাচন আশু আয়োজন করা প্রয়োজন। তবে স্থানীয় ও জাতীয় নির্বাচনের মধ্যে কোনটি আগে হবে – সেই সিদ্ধান্ত সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোকে একমত হয়ে নিতে হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। তিনি রোববার (২০ এপ্রিল) রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সন্ধ্যায় স্থানীয় সরকার কমিশনের প্রতিবেদন দাখিল পরবর্তী ব্রিফিংয়ে এ-কথা বলেন। খবর – স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের।
এর আগে বিকেলে, স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেয়। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় কমিশন প্রধান তোফায়েল আহমেদের নেতৃত্বে এই প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়।
ব্রিফিংয়ে তোফায়েল আহমেদ বলেন, স্থানীয় ও জাতীয় নির্বাচন – দুটোই গুরুত্বপূর্ণ। তবে একটা করলে আর একটা করা যাবে-না – এ-জাতীয় শর্ত মনে হয় ঠিক-না। কোনটা আগে, কোনটা পরে – সেই সিদ্ধান্ত সরকার নেবে; আমরা কেবল নির্বাচনের প্রয়োজনের কথা বলছি।
তিনি জানান, ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর পদে নির্বাচনের বিষয়ে সবার জন্য উন্মুক্ত রাখার সুপাশির রাখা হয়েছে।
তোফায়েল আহমেদ আরও বলেন, ইউনিয়ন পরিষদে নয়টি করে ওয়ার্ড আছে; কিন্তু কোনো কোনো ইউনিয়ন পরিষদে জনসংখ্যা অনেক বেশি। এজন্য কমিশনের পক্ষ থেকে সুপারিশ করা হয়েছে – একটা ইউনিয়নে নয়টা থেকে শুরু জনসংখ্যা বিবেচনায় ওয়ার্ডের সংখ্যা ৫৯টি পর্যন্ত করা যাবে।
অধ্যাপক তোফায়েল আহমেদ বলেন, জেলা পরিষদে জনগণের কোনো ভোটাধিকার নেই। এই যে বিভিন্ন ধরনের কাঠামো ও আইন – এটা একটা বিরাট বাধা। আমরা চেষ্টা করেছি, সংগঠন কাঠামো, আইন কাঠামো – দুটি সংস্কার করে সমপর্যায়ে নিয়ে আসা। সেজন্য আমরা তৃণমূল পর্যায় থেকে কিভাবে গণতান্ত্রিক পদ্ধতি চালু করা যায়, এবং সংসদীয় ব্যবস্থার একটা প্রতিরূপ স্থাপন করার চেষ্টা করেছি। একই সুপারিশ পৌরসভা এবং সিটি করপোরেশনের ক্ষেত্রেও। সুতরাং, এখন যদি আমাদের সুপারিশ অনুযায়ী পুনঃস্থাপন করা হয়, তাহলে কিন্তু ইউনিয়ন থেকে সিটি করপোরেশন – একই রকম কাঠামো হবে।