লা লিগায় রোববারের (২০ এপ্রিল) ম্যাচে দুই দলে দুইজন ভালভার্দে ছিলেন – একজন আর্নেস্টো, অন্যজন ফেদেরিকো। আর্নেস্টো ভালভার্দে তাঁর কাজটা ঠিকঠাক করে যাচ্ছিলেন; ডাগআউট থেকে তাঁর বাতলে দেওয়া কৌশলেই অ্যাথলেটিক বিল্বাও ৯৩ মিনিট পর্যন্ত রিয়াল মাদ্রিদকে আটকে রেখেছিল। যাহােক, এরপরই আলো কেড়ে নিলেন ফেদেরিকো ভালভার্দে। তাঁর জাদুকরি গোলে রিয়াল মাদ্রিদ ১-০ গোলে হারিয়েছে বিল্বাওকে। এই জয়ে রিয়ালের লা লিগা জেতার আশাও টিকে রইলো।
ফেদে ভালভার্দে তাঁর হাফ ভলিতে দুর্দান্তভাবে জালের উপরের কোনায় বল জড়িয়ে দেন খেলার ইনজুরি সময়ে। এটি ভালভার্দের চলতি লিগ মৌসুমে ষষ্ঠ গোল। যদিও তিনি ডিসেম্বর মাসে সেভিয়ার বিপক্ষে গোল করার পর আর গোলের দেখা পাননি তিনি। সেই খরা এদিন কাটলো। পরিস্থিতি বিচারে তো বটেই, গোলটা যেভাবে করলেন, তাতে একেই সবচেয়ে এগিয়ে রাখতে পারেন উরুগুইয়ান এই মিডফিল্ডার।
এই ম্যাচে খেলতে পারেননি রিয়ালের ফরাসি তারকা কিলিয়ান এমবাপে। তিনি গত খেলায় আলাভেসের বিপক্ষে লালকার্ড পাওয়ায় এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞায় ছিলেন।
রিয়াল মাদ্রিদ কয়েকদিন আগেই ইউয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে আর্সেনালের কাছে দুই লেগ মিলিয়ে ৫-১ ব্যবধানে পরজয়ের পরে সমালোচনার মুখে পড়েছিল। তারপর এই ম্যাচটার সময় যত গড়াচ্ছিল, ততই যেন চাপটা আসছিল দলটির ওপর। সান্টিয়াগো বার্নাবিউতে ম্যাচের শুরু থেকে স্বাগতিকরা বারবার আক্রমণ করেও গোল পাচ্ছিল-না। বিল্বাও গোলরক্ষক উনাই সিমন একের পর এক দুর্দান্ত সেইভ করেছেন। তিনি কামাভিঙ্গার শট এবং বেলিংহ্যামের হেড আটকে দেন।
খেলার শেষ দিকে ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের একটি দারুণ গোল অফসাইডের কারণে বাতিল হয়ে যায়। ওই সময় বল পায়ে ছিলেন তরুণ ফুটবলার এন্দ্রিক, যার সামান্য অবস্থানই অফসাইড ধরা পড়ে ভিএআরের মাধ্যমে। এরপর একটি পেনাল্টির দাবিও তুলেছিল রিয়াল; তবে রেফারি সেটি নাকচ করে দেন। তখন মনে হচ্ছিল – রিয়ালের জন্য আরেকটি হতাশার রাত অপেক্ষা করছে। যাহােক তখনই দৃশ্যপটে আসেন ভালভার্দে। তিনি আগেও দুইবার কাছাকাছি গিয়েছিলেন গোল করার, তবে এবার আর মিস করেননি। এই গোল কোচ কার্লো আনচেলত্তির ওপর থেকে কিছুটা চাপ কমিয়ে দেয়।
এই জয়ে রিয়াল মাদ্রিদ পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে থাকা বার্সেলোনার চেয়ে চার পয়েন্ট পেছনে রয়েছে; হাতে রয়েছে ছয়টি ম্যাচ। ৩২ ম্যাচ শেষে রিয়ালের সংগ্রহ ৬৯ পয়েন্টে। সমান-সংখ্যক ম্যাচে বার্সার অর্জন ৭৩ পয়েন্ট।
লস ব্লাঙ্কো’র পরবর্তী লক্ষ্য – বার্সেলোনার বিপক্ষে কোপা ডেল রে'র ফাইনাল। সেটিই হয়তো নির্ধারণ করে দেবে – এই মৌসুমে আনচেলত্তির ভাগ্য কেমন হবে।