বাংলাদেশ নারী দল অনেকটা ভাগ্যের জোরে আগামী ওয়ানডে বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পেলেও দলের দুইজন ব্যাটার যোগ্যতার বলেই টুর্নামেন্টের একাদশে স্থান পেয়েছেন। এই দুই ব্যাটার হলেন – অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি ও শারমিন আক্তার সুপ্তা। জ্যোতি ও সুপ্তা ছাড়া আরেকজন বাংলাদেশিও সুযোগ পেয়েছেন; তবে টুর্নামেন্টে ছয় উইকেট শিকার করা লেগ স্পিনার রাবেয়া খান রয়েছেন দ্বাদশ খেলোয়াড় হিসেবে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ শনিবার (১৮ এপ্রিল) থাইল্যান্ডকে বড় ব্যবধানে হারালেও সমান পয়েন্ট নিয়ে টাইগ্রেসরা (শ্রেয়তর রানরেটে) ভারতে অনুষ্ঠেয় নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পেয়েছে। অথচ, বাংলাদেশ দল যেভাবে টুর্নামেন্ট শুরু করেছিল – তাতে ভাগ্যের উপর নির্ভর করে মূলপর্বের টিকিট পেতে হতো-না, যদি টানা তিন ম্যাচ জয়ের পরে শেষ দুই ম্যাচের যেকেনো একটিতে জিততে পারতো। যাহোক, টাইগ্রেসদের কপালে বিশ্বকাপের মূলপর্বে অংশগ্রহণ হয়তো লেখাই ছিল।
অবশ্য ভাগ্যকে পাশে পাওয়ার পেছনেও জ্যোতি-সুপ্তাদের অবদান মোটেই কম নয়। বরং তাঁরা দুর্দান্ত না-খেললে দল এমন রান রেটই পেত-না। সুপ্তা ২৬৬ রান করে টুর্নামেন্ট দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হয়েছেন; আর অধিনায়ক জ্যোতি ২৪১ রান নিয়ে তৃতীয় সর্বোচ্চ স্কোরার। জ্যোতি থাইল্যান্ডের বিপক্ষে দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরিও করেছেন।
একাদশে দাপট দেখিয়েছে বাছাইপর্বে চ্যাম্পিয়ন পাকিস্তান। সেই দলে তাঁদের চারজন ক্রিকেটার জায়গা পেয়েছেন। তাঁরা চারজন হলেন – মুনিবা আলি ( ২২৩ রান), ফাতিমা সানা (১০৩ রান ও ১২ উইকেট) , নাসরা সান্ধু (১০ উইকেট) ও সাদিয়া ইকবাল (নয় উইকেট)।
অন্যদিকে, শেষ মুহূর্তে স্বপ্নভঙ্গের বেদনাহত ওয়েস্ট ইন্ডিজের তিনজন জায়গা পেয়েছেন। এঁরা হলেন – হেইলি ম্যাথিউস (২৪০ রান ও ১৩ উইকেট), চিনেলে হেনরি (১৭১ রান) ও আলিহা অ্যালেইন (৬৩ রান ১২ উইকেট)।
একাদশের বাকি দুইজন হলেন – স্কটল্যান্ডের দুই ক্যাথেরিন-ব্রাইস (২৯৩ রান ও ৬ উইকেট) ও ফ্রেজার (৭৭ রান ও ১০ উইকেট)। ব্রাইস আসরের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক।
দলীয় অধিনায়ক পাকিস্তানের ফাতিমা সানা।
নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের সেরা একাদশ
হেইলি ম্যাথুস (ওয়েস্ট ইন্ডিজ), মুনিবা আলি (পাকিস্তান), শারমিন আক্তার সুপ্তা (বাংলাদেশ), ক্যাথরিন ব্রাইস (স্কটল্যান্ড), নিগার সুলতানা জ্যােতি (বাংলাদেশ), ফাতিমা সানা (পাকিস্তান), চিনেলে হেনরি (ওয়েস্ট ইন্ডিজ), ক্যাথেরিন ফ্রেজার (স্কটল্যান্ড), আলিহা অ্যালেইন (ওয়েস্ট ইন্ডিজ), নাশরা সান্ধু (পাকিস্তান), সাদিয়া ইকবাল (পাকিস্তান)।
দ্বাদশ খেলোয়াড়: রাবেয়া খান