কোপা ডেল রে’র (স্প্যানিশ কাপ) ফাইনালে এল ক্লাসিকো হলো ১১ বছর পরে। ম্যাচটা রিয়াল মাদ্রিদের কারণে আলোচনায় এসেছে আরও বেশি। যাহােক, গোলের খেলা ফুটবলে এফসি বার্সেলোনা ৩-২ ব্যবধানে জিতে শিরোপা জয় করলো। ফলে, ক্যাটালান ক্লাবটির ট্রেবল জয়ের স্বপ্নও টিকে রইলো। সেভিয়ায় শনিবার (২৬ এপ্রিল) অনুষ্ঠিত ম্যাচটিতে ছিলে দারুণ রোমাঞ্চ; ম্যাচের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যা থামেনি এক মুহূর্তের জন্যও। শেষ পর্যন্ত অতিরিক্ত সময়ে জুল্স কুন্দের গোলে ৩-২ ব্যবধানে জয় পায় বার্সেলোনা।
এফ সি বার্সেলোনা কোপা ডেল রে’র (স্প্যানিশ কাপ) রোমাঞ্চকর ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদকে ৩-২ গোলে হারিয়ে শিরোপা জিতলো। স্পেনের এস্তাদিও দে লা কার্তুজায় শনিবার (২৬ এপ্রিল) রাতে অনুষ্ঠিত ফাইনালটিতে নির্ধারিত সময়ের খেলা ২-২ গোলে শেষ হলে অতিরিক্ত সময়ের দ্বিতীয়ার্ধে জুল্স কুন্দের দুর্দান্ত গোলে ক্যাটালান ক্লাবটির জয় নিশ্চিত হয়।
বার্সা এদিন ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল উপহার দিয়েছে। দলটি ২৮ মিনিটে পেদ্রির দূরপাল্লার শটে এগিয়ে যায়। রিয়াল মাদ্রিদ প্রথমার্ধে তেমন কোনো প্রতিরোধ গড়তে পারেনি।
অবশ্য দ্বিতীয়ার্ধে রিয়াল ম্যাচে ফিরে এসে এগিয়েও গিয়েছিল। ৭০ মিনিটে কিলিয়ান এমবাপে ফ্রি-কিক থেকে গোল করে সমতা ফেরান। এরপর ৭৭ মিনিটে আর্দা গুলের কর্নার থেকে অরেলিয়ে চুয়োমেনি গোল করে রিয়ালকে এগিয়ে নেন।
৮৪ মিনিটে ইয়ামালের পাস থেকে ফেরান টোরেস গোল করে বার্সাকে সমতায় ফেরান। ৯০ মিনিট ২-২ সমতায় শেষ হয়।
১১৬ মিনিটে জুল্স কুন্দে বল বল জালে জড়াতেই উল্লাসে ফেটে পড়ে বার্সা-শিবির।
কিলিয়ান এমবাপে ১১৮ মিনিটে বার্সেলোনার ডি-বক্সে পড়ে যান; কিন্তু অফসাইড হওয়ায় পেনাল্টি পায়নি রিয়াল। ম্যাচের শেষদিকে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। এন্টেনিয়ো রুডিগার, লুকাস ভাসকেস ও জুড বেলিংহাম রেফারির সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ হয়ে সাইডলাইনের ওপার থেকে কিছু একটা ছুঁড়ে মারায় লাল কার্ড দেখেন।
এটি চলতি মৌসুমে বার্সেলোনার এটি দ্বিতীয় শিরোপা। দলটি এর আগে স্প্যানিশ সুপার কাপেও রিয়ালকে হারিয়ে ট্রফি জিতেছিল।
এই জয়ে কোপা ডেল রে’র ইতিহাসে বার্সার শিরোপার সংখ্যা হলো সর্বোচ্চ ৩২।
কোচ হান্সি ফ্লিক ও তাঁর শিষ্যদের জন্য এটা ছিল বেশ বড় এক জয়। কারণ, দলটি এখনো দুইটি বড় শিরোপার দৌঁড়ে টিকে রয়েছে; যার একটি তাঁরা পেরিয়ে যেতে পারে লা লিগায় আর মাত্র দুই ম্যাচ পরেই, আরেকটি এল ক্লাসিকো ম্যাচে (১১ মে)। তবে তার আগে ১ মে ও ৭ মে দলটির জন্য অপেক্ষা করছে ইউয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালের প্রথম লেগে ‘ইন্টার মিলান-পরীক্ষা’।