বাংলাদেশ জাতীয় আরচ্যারি দলের কোচ মার্টিন ফ্রেডরিক বলেছেন, আগামী ৬-১১ মে চীনের সাংহাইয়ে অনুষ্ঠেয় আরচ্যারি বিশ্বকাপ স্টেজ-২’তে দলের লক্ষ্য – কোয়ার্টার-ফাইনালে খেলা। জার্মান কোচ ফ্রেডরিক বিশ্বকাপ উপলক্ষ্যে শনিবার (৩ মে) দুপুরে বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশনের ডাচ-বাংলা ব্যাংক অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এই মন্তব্য করেন। খবর – স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের।
বাংলাদেশ দল রিকার্ভ ও কম্পাউন্ড ডিভিশনে অংশ নেবে। রিকার্ভে তিনজন পুরুষ আরচ্যার হলেন – আব্দুর রহমান আলিফ, মো. সাগর ইসলাম ও রামকৃষ্ণ সাহা। কম্পাউন্ড ডিভিশনে অংশ নেবেন – হিমু বাছার ও বন্যা আক্তার।
ফ্রেডরিক জানান, জানুয়ারিতে উন্মুক্ত র্যাঙ্কিং প্রতিযোগিতার মধ্য থেকে সেরা আরচ্যারদের এই বিশ্বকাপের জন্য বাছাই করা হয়েছে। গত ফেব্রুয়ারিতে সেরা ৯-১০ খেলোয়াড়ের মধ্যথেকে ট্রায়ালের মাধ্যমে চূড়ান্ত দল গঠন করা হয়। ২০২৮ লস এ্যাঞ্জেলস অলিম্পিকে প্রথমবারের মতো কম্পাউন্ড মিক্সড টিম ইভেন্ট অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। সে-কারণে বিশ্বকাপে কম্পাউন্ড ডিভিশনে বাংলাদেশ দল নিজেদের প্রস্তুতি ঝালিয়ে নেওয়ার জন্য অংশ নিচ্ছে।
অবশ্য বাংলাদেশ দল বিশ্বকাপ থেকে এর আগে পদক পেয়েছে। এ-প্রসঙ্গে আরচ্যারি ফেডারেশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমানে অ্যাডহক কমিটির সদস্য কাজী রাজীব উদ্দীন আহেমদ চপল বলেন, ‘বিশ্বকাপে আমাদের অনেক সাফল্য আছে; সিলভার মেডেলও আমরা জিতেছি। আবার সাংহাইয়ে কোরিয়ার সাথে আমরা সেমিফাইনালে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করে এক পয়েন্টে হেরেছি। আশা করছি, সাফল্যের ধারাবাহিকতা আমরা এবারও ধরে রাখতে পারবো। কারণ আমাদের ছেলেদের রিকার্ভ টিম দুর্দান্ত। আমরা দল গঠনের ক্ষেত্রে সবসময় কোচের মতামতকে প্রাধান্য দিয়েছি। কোচের মতের বাইরে আমরা কখনও দল গঠন করিনি।’
আরচ্যারি ফেডারেশনের অ্যাডহক কমিটির সভাপতি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মোঃ মোখলেস উর রহমান বলেন, ‘দেশে-বিদেশে সব জায়গায় অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে আমাদের যেন কোনো গ্যাপ না-থাকে – সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।’
তিনি ভবিষ্যতে আরও বেশি আরচ্যার যাতে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন টুর্নামেন্টে অংশ নিতে পারে – সেই বিষয়টির প্রতি গুরুত্ব দিয়েছেন।
বাংলাদেশ দল বিশ্বকাপ শেষে আগামী ১২ মে দেশে ফিরবে। বিশ্বকাপে জাতীয় দলের প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে রয়েছে সিটি গ্রুপ।
এদিন সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন – আরচ্যারি ফেডারেশনের সহ-সভাপতি মালিক মোহাম্মদ সাইয়িদ, সাধারণ সম্পাদক তানভীর আহমেদ ও সদস্য রুবাইয়েত আহমেদ।