এফসি বার্সেলোনার কাছ থেকে ২০১৭ সালে নেইমারকে নিয়ে নেওয়া, কিংবা সেই বছরই ইউয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে প্রথম খেলা কিলিয়ান এমবাপেকে বড় অংকের অর্থ ব্যয় করে দলে টেনে নেওয়া; কিংবা বছর চারেক আগে লিওনেল মেসিকে দলে অন্তর্ভুক্তি – এসব প্যারিস সেইন্ট জার্মেই (পিএসজি) করেছিল একটা আশাতেই, আর তা হলো – চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা জয়। ক্লাবটির সেই আশা পূরণ হয়নি; খুব কাছে গিয়েও তাঁদেরকে ফিরতে হয়েছে শূন্য হাতে। যাহােক, এবার কোচ লুইস এনরিকের অধীনে ক্লাবটি আরও একবার শিরোপার খুব কাছাকাছি চলে এসেছে। তাঁরা বুধবার (৭ মে) রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে আর্সেনালকে ২-১ গোলে হারিয়ে মোট ৩-১ ব্যবধানে জিতে ফাইনালে উঠেছে।
পিএসজি ও আর্সেনালকে সেমিফাইনালের এই লড়াই এক সুতোয় গেঁথেছিল। দুইটি ক্লাবই চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপার খুব কাছাকাছি গিয়েছিল একবার করে; তবে দুই দলকেই ফিরতে হয়েছে শূন্য হাতে। এবারের লড়াইটা তাই ছিল পুরোনো দুঃখ ভোলার একদম কাছে চলে যাওয়ার এক লড়াই।
আর্সেনাল গত সপ্তাহে নিজেদের মাঠ এমিরেটস-এ ১-০ গোলে পরাজিত হয়ে আগেই পিছিয়ে ছিল। বুধবারও প্যারিসে পিএসজি’র মাঠ পার্ক দে প্রিন্সেস-এ ফাবিয়ান রুইজ ২৭ মিনিটে স্বাগতিক ক্লাবটিকে এগিয়ে দেন। তিনি বক্সের বাইরে থেকে দুর্দান্ত শটে বল জাল স্পর্শ করান।
এর আগে, আর্সেনাল বেশ কয়েকটি আক্রমণ করেছিল, তবে গোলরক্ষক জানলুইজি ডোনারুমা সেগুলো নস্যাৎ করে দেন।
এরপরও আর্সেনাল ম্যাচে ফেরার উপায় পেয়েছিল। পিএসজি পেনাল্টি পেয়ে গিয়েছিল, তবে ভিতিনিয়ার নেওয়া সেই পেনাল্টি ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক ডেভিড রায়া। আর্সেনাল সেই পরিস্থিতিটা কাজে লাগাতে পারেনি; বরং পিএসজি ধাক্কা সামলে ৭২ মিনিটে আবার গোল করে বসে। বদলি হিসেবে নামা উসমান ডেম্বেলের পাস থেকে আশরাফ হাকিমির করা গোলে দলটির জয় প্রায় নিশ্চিত হয়ে যায়।
আর্সেনাল অবশ্য ৭৬ মিনিটে একটা গোল শোধ করে। তবে, লিয়ান্দ্রো ত্রসার পাস থেকে বুকায়ো সাকার গোলটা যখন এলো, ততক্ষণে একটু দেরিই হয়ে গেছে। শেষ পর্যন্ত পিএসজি-ই জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে।
দলটি আগামী ৩১ মে মিউনিখের ফাইনালে ইন্টার মিলানের মুখোমুখি হবে।
পিএসজি ২০১৯-২০ মৌসুমে ফাইনালে উঠেছিল, তবে সেবার করোনা-মহামারির কারণে খেলা হয়েছিল ফাঁকা গ্যালারিতে। দলটি এবার প্রথমবারের মতো সমর্থকদের সামনে ফাইনাল খেলার সুযোগ পেলো। এবার নিশ্চয়ই তাঁরা শূন্য হাতে ফিরতে চাইবে-না – তা বলাই যায়।