বাংলাদেশ পুরুষ ফুটবল দলকে প্রত্যাবর্তন করতে হলে মঙ্গলবার (১০ জুন) রাতে দারুণ কিছু করতে হতো। তবে, ঢাকা জাতীয় স্টেডিয়ামে সেটি করতে পারেননি হামজা চৌধুরী ও শমিত সোমরা। ফলাফল, ঘরের মাঠে এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানের পরাজয়। বাংলাদেশ দল এই প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে গত দেখাতেও (২০১৫ সালে, ঢাকায়) একই ব্যবধানে হেরেছিল।
মঙ্গলবারের পরাজয়টা অবশ্য না-ও হতে পারতো, যদি ম্যাচের একদম শেষ মুহূর্তে তারিক কাজীর নেওয়া হেডটা বারে না-লাগতো। বাংলাদেশি ডিফেন্ডারের হেডটা এক ইঞ্চি নিচে লাগলে জালে জড়াতে পারতো। হাভিয়ের কাবরেরার দল সেক্ষেত্রে ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারতো।
বাংলাদেশ বিরতির আগমুহূর্তে গোল হজম করে। সিঙ্গাপুরকে লিড এনে দেন উইইয়াং। বিরতি শেষেই সিঙ্গাপুরের ডি বক্সে আক্রমণ শানিত করতে থাকে বাংলাদেশ। কয়েক মিনিটের মধ্যে দুইটি আক্রমণ করলেও জালের দেখা পায়নি। যাহােক, সিঙ্গাপুর ঠিকই দ্বিতীয় লিড পেয়ে যায়। ৫৯ মিনিটে হামি শাহিনের দূর থেকে নেওয়া শট মিতুল প্রতিহত করলেও তা চলে যায় সিঙ্গাপুরের ফরোয়ার্ড ইখসান ফান্ডির কাছে। তিনি বক্সের মধ্যে বল পেয়ে তা সহজেই জালে জড়িয়ে দেন।
৬৩ মিনিটে ব্যবধান কমানোর সুযোগ পেয়েছিলেন শাহরিয়ার ইমন। তবে বদলি নামা এই ফরোয়ার্ডের শট তালুবন্দি করেন সিঙ্গাপুরের গোলরক্ষক মাহবুদ। ৬৭ মিনিটে অবশ্য মাহবুদ দলকে রক্ষা করতে পারেননি; হামজার পাস ধরে বাংলাদেশকে গোল এনে দেন রাকিব। তাঁর নেওয়া শটটা সিঙ্গাপুরের গোলরক্ষকের হাতের ফাঁক গলে জালে জড়িয়ে যায়।
এদিন বাংলাদেশ দল ৮২ থেকে ৮৪ মিনিটে বেশ কিছু আক্রমণ করেছিল; কিন্তু সমতায় ফেরার গোলটা পায়নি। যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটেও সুযোগ পেয়েছিলেন ফাহিম। কিন্তু তিনি বক্সের মধ্যে থেকে যে-শটটা নেন, সেটি গোলপোস্ট থেকে অনেক দূরে ছিল। যোগ করা সময়ের ষষ্ঠ মিনিটেও সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ। তবে, হামজার শট ডান পোস্টের বাইরের জালে যায়।
শেষ দিকে একটা পেনাল্টিও পেতে পারতো বাংলাদেশ। তবে রেফারি স্বাগতিক খেলোয়াড়দের আবেদনে সাড়া দেননি। সিঙ্গাপুরের একজন ডিফেন্ডার ফাহিমকে বক্সের মধ্যে ফাউল করলে রেফারি কর্নার দেন।
হামজা-ফাহিমরা দ্বিতীয়ার্ধের শেষ দিকে আরও কিছু সুযোগ তৈরি করে উত্তেজনা বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। শুধু গোলই পাওয়া হয়নি। তাই ভালো খেলেও হারের হতাশা নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয়েছে দলকে।