ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে অন্তত ১৪৭টি দল নিবন্ধনের জন্য নির্বাচন কমিশনে আবেদন করেছে। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা রোববার (২২ জুন) এ-তথ্য জানিয়েছেন। তবে ডেসপ্যাচ থেকে তথ্য একীভূত করা হলে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের জনসংযোগ শাখা আনুষ্ঠানিকভাবে জানাবে – কতগুলো দল নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছে। রোববার নিবন্ধনের আবেদনের শেষ দিনে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), বাংলাদেশ আম জনগণ পার্টি, জনতার পার্টি বাংলাদেশ (জেপিপি)-সহ বেশ কিছু দল নির্বাচন কমিশনে আবেদন জমা দিয়েছে। আবেদন জমা দিয়ে সাংবাদিকদের কাছে প্রতীক ও দলের নাম উল্লেখ করে দলগুলোর নেতারা দাবি করছেন, নির্বাচন কমিশনের সব ধরনের শর্তপূরণ করেই নিবন্ধনের জন্য আবেদন করা হয়েছে। তাঁরা আশাবাদী যে, তাঁদের দল নিবন্ধন পাবে। খবর – স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের।
নির্বাচন ভবনে আবেদন জমা দিয়ে এনসিপি আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমরা প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে বলেছি, আমরা সকল শর্তাবলি এবং সকল আইন পর্যালোচনা করেই আবেদনটি করেছি এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিয়েছি। প্রত্যাশা করবো যে, উনারা নিরপেক্ষভাবে আইন অনুযায়ী উনারা উনাদের কার্যক্রম সম্পাদন করবেন। সেক্ষেত্রে এনসিপি যেন কোনো ধরনের বৈষম্যের বা কোনো ধরনের অবিচারের শিকার না-হয় – এটাই আমাদের প্রত্যাশা। আমরা আশাবাদী, দ্রুততম সময়ের মধ্যেই জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) নিবন্ধন পাবে। নিবন্ধিত দল হিসেবে জনগণের কাছে যাবে।’
আবেদন জমা দিয়ে জেপিবি’র মহাসচিব শওকত মাহমুদ বলেন, ‘রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছি। নিবন্ধন বিধিমালার যে-শর্ত আছে – সেগুলো পালন করা খুব কষ্টকর। নির্বাচন সংস্কার কমিশনের এই বিধিমালার কিছু কিছু বিধিমালা সংস্কারের প্রস্তাব রেখেছে। এই প্রস্তাবগুলো কিন্তু এখনো বাস্তবায়ন হয়নি। তারপরও পুরোনো বিধিমালা অনুযায়ী আমরা আবেদন জমা দিয়েছি এবং আমরা আশা করি – রাজনৈতিক দল হিসেবে নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন পাবো।’
জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে গত ১০ মার্চ আগ্রহী দলগুলোর কাছ থেকে নিবন্ধনের জন্য আবেদন আহ্বান করা হয়েছিল। ৬৫টি নতুন রাজনৈতিক দল ২০ এপ্রিলের মধ্যে আবেদন করে। তবে অনেক দলের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নিবন্ধন আবেদনের সময়সীমা দুই মাস বৃদ্ধি করে ২২ জুন পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়।