loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • জাতির পিতার জন্মবার্ষিকী উদযাপিত

  • টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী

  • অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে বাংলাদেশ নারী দল ঘোষণা

  • ভিনিসিয়ুসের নৈপুণ্যে ওসাসুনার বিরুদ্ধে রিয়ালের জয়

  • শিক্ষার্থীদের ওপর অতিরিক্ত চাপ না-দিতে প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান

সিনেমা রিভিউ: ইটস এ ওয়ান্ডারফুল লাইফ


সিনেমা রিভিউ: ইটস এ ওয়ান্ডারফুল লাইফ

গত এক মাস যাবত পিসির মুভি ড্রাইভের ওয়াচলিস্টের সিনেমাগুলো দেখে দেখে ডিলিট করছিলাম আর ড্রাইভটির জায়গা খালি করছিলাম।আজ দেখলাম "ইটস এ ওয়ান্ডারফুল লাইফ" (১৯৪৬)। সাদা-কাল সিনেমার প্রতি আমার অবসেশন আছে। যদিও ক্ষমা চেয়ে বলছি আমি রঙ্গিন প্রিন্টের ভার্সনটা দেখেছি, যা লিজেন্ড ফিল্ম এর অবদানে সম্ভব হয়েছে।

সিনেমাটির জনরে হল ড্রামা ও ফ্যান্টাসি। ভাবলাম এতো আগের সিনেমাতে ফ্যান্টাসি আর কি দেখাবে। তাই ড্রামা ভেবেই দেখা শুরু করলাম। কাহিনীর উত্থান-পতনের মাঝে ড্রামা বেশ ভালই ফুটে উঠেছে যা দেখতে দেখতে আমি প্রায় ভুলেই গিয়েছিলাম যে ফ্যান্টাসির কিছু আছে এটার মধ্যে। ফ্যান্টাসি অংশের সারমর্ম হল আমাদের জীবনের গুরুত্ব। আমরা অনেক সময় জীবনের মানে হারিয়ে ফেলি, অনেকে আত্মহত্যাকেও বেছে নেয়, কিন্তু অনেক সময়ই আমরা এটা ভাবতে ভুলে যাই যে জীবন নিজেই একটা আশির্বাদস্বরূপ।

ফ্যান্টাসি হলেও আমার কাছে সিনেমাটি পুরোপুরি লাইফ-ইন্সপায়ারিং একটা শিল্প ছিল। অভিনেতা জেমস স্টুয়ার্ট "এনাটমি অব এ মার্ডার - ১৯৫৯" এবং হিচককের "ভারটিগো - ১৯৫৮"এর জন্য আমার আগেই পছন্দের ছিলেন কিন্তু এই সিনেমায় তার ইয়াং বয়সের পেরফরমেন্স আমাকে পুরাই তাক লাগিয়ে দিল। যাদের "পারসুট অব হাপিনেস" টাইপের ইন্সিপায়ারিং/মোটিভেশনাল সিনেমা ভাল লাগে তারা দেখতে পারেন। আর যাদের সাদা-কাল ভাল লাগেনা তারাও একবার ভেবে দেখতে পারেন।

যদিও লিজেন্ড ফিল্ম এর অবদানে রঙ্গিন ভার্সন পাবেন। কিন্তু অনেস্টলি আমি নিজেও সাদা-কাল ভার্সনটা না দেখে একটু আফসোস করেছি। সাদা-কাল সিনেম্যাটোগ্রাফিতে যে আলোর খেলা আর পরিস্ফুটন সম্ভব হয় তা আসলে কালারাইজড রঙ্গিন ভার্সনে দেখানো সম্ভব না। পরিচালক ফ্যাঙ্ক কাপ্রা এর আরো কিছু ভাল কাজ আছে যা পরবর্তীতে দেখার সাহস করব। ব্যাক্তিগতভাবে ভাল লাগার কারনে সিনেমাটি আমার মুভি ড্রাইভের জায়গা খালি করতে পারেনি এবং অবশেষে সেনিমাটি আমার কালেক্টর'স এডিশন ফোল্ডারে গিয়ে জমা হল।

আই.এম.ডি.বি. রেটিংঃ ৮.৬/১০

ব্যাক্তিগত রেটিংঃ ৮.৫/১০ 

লেখকঃ কনামিক কনি খান

Loading...